শিরোনাম :
যৌতুকের জন্য আত্মহত্যায় প্ররোচনার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড
যৌতুক দাবির অপরাধের দণ্ড বাড়িয়ে যৌতুক নিরোধ আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
এরই মধ্যে ১৯৮০ সালে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় করা ‘যৌতুক নিরাধ আইন’ সংশোধনের খসড়া তৈরি করে নীতিগত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জমা দিয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র জানায়, ৩০ জানুয়ারি (সোমবার) মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে।
প্রস্তাবিত সংশোধনীতে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনকারীর শাস্তির বিধানও যুক্ত করা হয়। বিদ্যমান আইনে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের শাস্তির বিষয়ে কোনো বিধান নেই।
সংশোধনীতে বলা হয়, যৌতুকের দাবিতে কোনো নারীকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার সাজা হবে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
যৌতুক প্রথাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে এর প্রতিরোধ ও শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য ১৯৮০ সালে ‘দ্য ডওরি প্রহিভিশন অ্যাক্ট’ নামে একটি আইন করা হয়। বিদ্যমান এই আইনটিতে নয়টি ধারা রয়েছে।
যৌতুক দাবির শাস্তির বিষয়ে আইনের ৪ নম্বর ধারায় বলা হয়, কোনো বর বা বরপক্ষ কিংবা কোনো কনে বা কনেপক্ষ যদি পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে কনে বা কনেপক্ষ কিংবা বর বা বরপক্ষের কাছে যৌতুক দাবি করে তাহলে তিনি সর্বোচ্চ পাঁচ বছর, সর্বনিম্ন এক বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন বা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এই আইনে কারাদণ্ডের বিধানের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে বলা থাকলে অর্থদণ্ডের বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।
প্রস্তাবিত খসড়া সংশোধনীতে অর্থদণ্ড নির্দিষ্ট করার পাশাপাশি কারাদণ্ডের মেয়াদও বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
আরবি/আরএস/৩০ জানুয়ারি, ২০১৭