শিরোনাম :
রাঙ্গামাটিয়ায় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা
শেষ হলো হলো রাঙ্গামাটিয়ার শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ২০১৭।
রাঙ্গামাটিয়া মিশন খ্রীষ্টান যুব সমিতির আয়োজনে ১-৪ সেপ্টম্বর, রাঙ্গামাটিয়া চার্চ কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয় ১১তম শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ‘প্রতিভার বিকাশ-২০১৭’। এবারের প্রতিযোগিতার মূলসুর ছিল “জাগো, জাগাও আকাশ সমান তোমার প্রাণ।”
অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, গল্প বলা, নির্ধারিত বক্তব্য, সাধারণ জ্ঞান, বাইবেল (নতুন নিয়ম) জ্ঞান জিজ্ঞাসা, আবৃত্তি ও দেয়ালিকা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় প্রতিযোগীরা।
দ্বিতীয় দিনে ছড়া গান, দেশাত্মবোধক গান, রবীন্দ্র সঙ্গীত, নজরুল সঙ্গীত, আধুনিক গান, লোকগীতি, যন্ত্র সঙ্গীত ও জারী গান প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
তৃতীয় দিনে হাতের লেখা, চিত্রাঙ্কন, একক অভিনয়, দলীয় অভিনয় (বাইবেলের আলোকে), সাধারণ নৃত্য, দলীয় নৃত্য ও ফ্যাশন শোতে অংশ নেয় প্রতিযোগীরা।
সব প্রতিযোগীর অংশগ্রহণ শেষে চতুর্থ দিনে প্রতিযোগিতার ফলাফল ও পুরস্কার বিতরণী, উপবৃত্তি প্রদান এবং লটারি ড্র অনুষ্ঠিত হয়।
ফলাফল ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দি মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিঃ-এর চেয়ারম্যান আগষ্টিন পিউরীফিকেশন। এ ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দি খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ, ঢাকা (ঢাকা ক্রেডিট)-এর সেক্রেটারি পংকজ গিলবার্ট কস্তা, ঢাকা ক্রেডিটের ক্রেডিট কমিটির সেক্রেটারি সজল যোসেফ গমেজ, হাউজিং সোসাইটির ভাইস-চেয়ারম্যান অনিল লিও কস্তা, রাঙ্গামাটিয়া খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভের ভাইস-চেয়ারম্যান রাখাল সুবাস গমেজ, ৭ ওয়ার্ডের মেম্বার জনাব আঃ গাফফার মোল্লা।
অনুষ্ঠানে আগষ্টিন পিউরীফিকেশন বলেন, “রাঙ্গামাটিয়া মিশন খ্রীষ্টান যুব সমিতি আজ এখানে তাদেরকেই এক করেছে যারা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আজকের এসব প্রতিযোগীরাই আগামী দিনে জাতীয় এমনকি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাদের বিকাশ ঘটাবে। তাই তাদের ভবিষ্যতে কোথায়ও অংশগ্রহণে যেন সমস্যা না হয়, সেদিকে আমরা নজর রাখবো।”
পংকজ গিলবার্ট বলেন, “বর্তমানে যুবকরা যেভাবে ৪ দিন ব্যাপী একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে, সত্যি এটি অনেক বড় একটি চ্যালেঞ্জ। আমি আয়োজকদের সাধুবাদ জানাই।
তিনি বলেন, আজ যুবক-যুবতিরা মোবাইল টিপতে টিপতে তাদের ঘাড় বাকা হয়ে যাচ্ছে। মাদকসহ বিভিন্ন কুপ্রভাব তাদের গ্রাস করছে। তাই এরকম অনুষ্ঠান যদি মাঝে মাঝেই করা যেত, তাহলে সত্যি সবার মধ্যেই যে সুপ্তপ্রতিভা বা গুণ রয়েছে তার বিকাশ ঘটবে।”
এ সময় তিনি সকল অভিবাকদের অনুরোধ করেন, তারা যেন তাদের সন্তানদের উপর কোনো কিছু চাপিয়ে না দেন, বরং যে যেই দক্ষতা অর্জন করতে ইচ্ছুক, তাকে যেন সেখানেই প্রেরণ করা হয়।
যুব সমিতির সভাপতি শাওন এম. রিবেরু উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “আজকে যারা বিজয়ী হবে, আমরা তাদেরকে জাতীয় পর্যায়ে সুযোগ করে দিব। এর জন্য আমাদের যতটা পরিশ্রম করাতে হবে, আমরা তা করতে সচেষ্ট রয়েছি।
‘ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ দরিদ্র মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তি প্রদান করে আসছেন। আজ তিনি উপস্থিত নেই কিন্তু তারপরও তিনি উপবৃত্তির জন্য আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেছেন’ বলেন এম রিবেরু।
এরপর সকল শাখায় বিজয়ীদের এবং উপবৃত্তি পাওয়া ছেলেমেয়েদের হাতে অতিথিবৃন্দ পুরষ্কার ও উপবৃত্তি তুলে দেন।
আরবি/আরপি/৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭