শিরোনাম :
রাজশাহীতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর হস্তশিল্প ও সংস্কৃতি মেলা
রাজশাহীতে ২৩-২৫ ফেব্রুয়ারি আয়োজন করা হয়েছিল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর হস্তশিল্প ও সংস্কৃতি মেলা।
২৩ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) সকালে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের গ্রীন প্লাজায় প্রধান অতিথি রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কলাচারাল একাডেমী পরিষদের সভাপতির নূর-উর-রহমান এ মেলার উদ্ধোধন করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলাপ্রশাসক জনাব মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফ।
এর আগে সকালে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের ব্যবহৃত বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। নগরীর অলোকার মোড় থেকে র্যালিটি নগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নগর ভবনের গ্রীনপ্লাজায় এসে শেষ হয়।
র্যালির পর একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠীত হয়। রাজশাহী অতিরিক্ত জেল প্রশাসক (সার্বিক) ও বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কালচারাল একডেমী পরিষদের উপপরিচালক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক হেলাল মাহমুদ শরীফ। উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কালচারাল একাডেমীল নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যাপক যোগেন্দ্রনাথ সরেন, কামিল্লা বিশ্বাস, চিত্ত রঞ্জন এবং গাব্রিয়েল হাসদা প্রমুখ।
২৪ ফেব্রুয়ারি, শনিবার মেলার দ্বিতীয় দিন “রাজশাহী বিভাগের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সংস্কৃতির বিকাশে প্রতিবন্ধকতা ও করণীয়’ শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠীত হয়। সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দ, ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন মহলের মানুষ।
মেলার শেষ দিন আলোচনা, পুরস্কার বিতরনী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনদিন ব্যাপী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর হস্তশিল্প ও সংস্কৃতি মেলা শেষ হয়।
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর হস্তশিল্প ও সংস্কৃতি মেলার প্রধান আকর্ষণ ছিল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের ২০টি স্টল। প্রতিটি স্টল সাজানো হয়েছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের নিজেদের হাতে তৈরী বিভিন্ন পোশাকশিল্প, খাবার, বই এবং তাদের ব্যবহৃত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও আত্মরক্ষার যন্ত্রপাতি। মেলার প্রতিদিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সাওতাল, চাকমা, মারমা, পাহাড়িয়া, ওড়াও জাতিস্বত্তার সংস্কৃতিকর্মীরা নৃত্য এবং গানের আয়োজন করে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের বিভিন্ন সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন বৈচিত্র্য এসব নাচ ও গানের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলেন তারা।
নৃগোষ্ঠীর গ্রাম সমাজ সংগঠনের প্রধান নিরঞ্জন কুজুর বলেন, ‘একদিন আদিবসীদের অতীত ঐতিহ্য সমৃদ্ধ ছিল। আধুনিক যন্ত্রপাতি ও কালের বিবর্তনে আদিবাসীদের সেই সংস্কৃতি হারিয়ে যাচ্ছে। একদিকে নিজেদের অস্তিত্বে ঐতিহ্য এবং অন্যদিকে মূলধারার মানুষের মাঝে নিজেদের তুলে ধরায় ও পরিচিত হওয়ায় এই মেলার লক্ষ্য।’
আরবি.আরপি. ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭