শিরোনাম :
রাজশাহীর খ্রিস্টান মিশন হাসপাতালেও হবে করোনা রোগীর চিকিৎসা
ক্রমেই বাড়ছে করোনার প্রকোপ। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের সংক্রমণ এরই মধ্যে বিস্তৃত হয়েছে বিভাগীয় শহর রাজশাহীতেও।
মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) দুপুর পর্যন্ত রাজশাহীতে আটজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আরও বড় পরিসরে করোনার চিকিৎসার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল।
করোনার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মঙ্গলবার সভা করেছে রামেক হাসপাতাল পরিচালনা পর্ষদ। নিজস্ব সভাকক্ষে রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও হাসপাতাল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ফজলে হোসেন বাদশার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জানানো হয়, করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য রাজশাহীর খ্রিস্টিয়ান মিশন হাসপাতালও প্রস্তুত করা হয়েছে। গত ১৫ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রামেক হাসপাতালের চুক্তি হয়। মঙ্গলবার থেকে হাসপাতালটি পুরোপুরি প্রস্তুত। মিশন হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সদের পাশাপাশি রামেক হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সরাও সেখানে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
এছাড়া রামেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) ভবনটি কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার হবে। চিকিৎসার জন্য গঠন করা হয়েছে ১৫ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের একটি টিম।
এখন রামেক হাসপাতালে আসা সন্দেহভাজন রোগীদের রাজশাহীর সংক্রমক ব্যাধি (আইডি) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রামেকের ল্যাবে সন্দেভাজনদের নমুনাও পরীক্ষা হচ্ছে।
সভায় করোনার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় চিকিৎসা উপকরণ কেনাসহ নানা ধরনের সমস্যার কথাও উঠে আসে। সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, এ মুহূর্তে সমন্বিতভাবে কাজ করা খুব প্রয়োজন। প্রত্যেকটি সরকারি দফতর সমন্বিতভাবে কাজ করে আমরা করোনার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবো।
সভা পরিচালনা করেন রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমান। এসময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস, করোনার চিকিৎসা টিমের প্রধান ডা. আজিজুল হক আযাদ, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ খলিলুর রহমান, রাজশাহী মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার সাজিদ হোসেনসহ রামেক হাসপাতাল পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা। ( বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম )