শিরোনাম :
রাজশাহী রেশম কারখানা পরীক্ষামূলক চালু
১৬ বছর পর বন্ধ করে দেয়া রাজশাহী রেশম কারখানা পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদনে ফিরল। শুক্রবার থেকে কারখানার ৫টি লুমের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এদিন সকালে রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ রেশম বোর্ডের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফজলে হোসেন বাদশা আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, কারখানাটি চালুর পেছনে শ্রমিকদেরও অবদান আছে। তাদের আন্তরিকতা ছাড়া এটা চালু করা সম্ভব হতো না। আমরা রেশম কারখানাটিকে পূর্ণাঙ্গভাবেই চালু করতে চাই। এ শিল্পকে সামাজিক শিল্পে রূপ দিতে চাই। ঘরে ঘরে রেশম সুতা তৈরি হবে, মানুষ কারখানায় গিয়ে সুতা বিক্রি করে আয় করবে, আমরা এমন স্বপ্ন দেখি। আামদের সবারই আন্তরিকতা থাকলে এটা বাস্তবায়ন সম্ভব।সবকিছু ঠিক থাকলে রাজশাহীতে এই রেশম কারখানা একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে। পাশাপাশি অনেকের কর্মসংস্থান হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রেশম বোর্ডের মহাপরিচালক আবদুল হাকিম। তিনি বলেন, হঠাৎ একদিন রাজশাহী ও ঠাকুরগাঁও রেশম কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হলো।রাজশাহীতে হাহাকার শুরু হলো। চাষিদের মন ভেঙে গেল, তারা পলুচাষ বন্ধ করে দিলেন। এভাবে রাজশাহীর রেশম শিল্প প্রায় ধ্বংস হয়ে গেল।মহাপরিচালক বলেন, রাজশাহী রেশম কারখানায় প্রতিবছর গড়ে এক কোটি টাকা লোকসান হতো। সরকার কতো খাতেই তো ভুর্তকি দেয়। কারখানার এই লোকসান বহন করা সরকারের জন্য খুব বেশি কঠিন ছিল না। কিন্তু সেসমঢের সরকার তা দিতে চাইনি। কারখানায় এই ভর্তুকিটা দিলে আজ এই রেশমের মাধ্যমেই সরকার কোটি কোটি টাকা আয় করতে পারতো।
উল্লেখ্য, রাজশাহী নগরীর শিরোইল বাস টার্মিনাল এলাকায় ১৯৬১ সালে সাড়ে ১৫ বিঘা জমির ওপর স্থাপিত হয় এই রেশম কারখানা। এক কোটি ১৩ লাখ টাকা ঋণের বোঝা মাথায় রেখে ২০০২ সালে কারখানাটি বন্ধ হয়ে যায়।
আরবি.এসকে. ৩০ জুলাই ২০১৮