শিরোনাম :
রোহিঙ্গা শিবিরে কারিতাসের ত্রাণ বিতরণ শুরু
মানবিক বিপর্যয়ের শিকার রোহিঙ্গাদের পাশে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছে বাংলাদেশ কাথলিক মন্ডলীর সামাজিক হস্ত কারিতাস বাংলাদেশ। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের প্রথম থেকেই ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানোর মানবিক তাগিদ অনুভব করে কারিতাস। এ নিয়ে সরকারের নিকট আবেদনের প্রেক্ষিতে অবশেষে অনুমতি মেলে ত্রাণ বিতরণের।
গত ৮ অক্টোবর থেকে প্রথম পর্যায়ের ত্রাণ বিতরণ শুরু হয় কক্সবাজারের উখিয়ার শরণার্থী শিবিরে। সংস্থাটি দুইমাস ব্যাপী ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন পায় সরকারের নিকট থেকে। কারিতাস প্রায় ৭০,০০০ রোহিঙ্গাদের মাঝে শুকনা খাদ্যসামগ্রী, হাড়ি পাতিল, তৈজসপত্র ও অন্যান্য সামগ্রী বিতরণের অনুমোদন পায়। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংস্থা কাথলিক রিলিফ সার্ভিসেস ( ঈধঃযড়ষরপ জবষরবভ ঝবৎারপবং) এ ত্রাণ বিতরণে অর্থায়ন করছে। গত সপ্তাহে ১০,০০০ শরণার্থীর মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
দ্বিতীয় পর্যায়ে সরকারের সাথে যৌথভাবে শেল্টার নির্মাণ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সেবা কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে সংস্থাটির।
অন্যান্য সংস্থাগুলো যেখানে বিশেষ করে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছে, কারিতাস সেখানে নিত্যপ্রয়োজীয় সামগ্রী বিতরণ করছে, যা আসলেই শরণার্থীদের উপকারে আসবে বলে মন্তব্য করেন রোহিঙ্গা শিবিরের অধিবাসী এবং স্থানীয় লোকজন।
রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের মাননীয় এবং কারিতাস বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট এবং ন্যায্যতা ও শান্তি কমিশনের প্রেসিডেন্ট বিশপ জের্ভাস রোজারিও, সিএসসি বলেন, ’রোহিঙ্গাদের অবস্থা অত্যন্ত করুণ এবং অমানবিক’। মিয়ানমার সরকারের এ মানবিক নির্যাতন বন্ধ করা উচিত। বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মানবতার পরিচয় দিয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশের পক্ষে তাদের স্থায়ীভাবে আশ্রয় দেয়া সম্ভব নয়’। মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের মৌলিক চাহিদা পূরণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ফেরত নেবে বলে তিনি আশা করেন।
মোঃ শরিফ মিয়া (রোহিঙ্গা কৃষক) বলেন, ‘আমরা একেবারেই শুণ্য হাতে বাংলাদেশে এসেছি, এখানে আসার পর থেকে শুধু কিছু চাল পেয়েছি ত্রাণসামগ্রী হিসেবে’। কারিতাসের ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে চাল, ডাল, তেল, লবণ ইত্যাদি পেয়ে উপকৃত হয়েছি’।
আরবি/আরপি/১৫ অক্টোবর, ২০১৭