ঢাকা ,
বার : মঙ্গলবার
তারিখ : ১৪ জানুয়ারী ২০২৫
বাংলা : ১ মাঘ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা ঢাকা ক্রেডিট লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ঢাকা ক্রেডিট-এর যুগান্তকারী অগ্রগতি

লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ঢাকা ক্রেডিট-এর যুগান্তকারী অগ্রগতি

0
172

বাবু মার্কুজ গমেজের নেতৃত্বে কার্যকরী পরিষদ সমিতিকে একটি সুবৃহৎ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ৪র্থ ত্রি-বার্ষিক কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও তার সফল বাস্তবায়ন করেছেন। ঢাকা ক্রেডিটের কর্মকর্তা ও কর্মীদের (৮ জুলাই, ২০১৭ তারিখে) ঢাকা ক্রেডিটের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ৪র্থ ত্রি-বার্ষিক কৌশলগত পরিকল্পনার বাস্তবায়ন কতটুকু হয়েছে, তার মূল্যায়ন আলোচনায় নিম্নে উল্লিখিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের চিত্র উঠে এসেছে।

৩০ জুন ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে সমিতির সদস্য সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ৮০৭ জন। ৩০ জুন ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের জন্য সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৩৮ হাজার। এই লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজার ১০২ জনে।

৩০ জুন ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে সমিতির মোট সঞ্চয় আমানতের পরিমান ছিল ১৮১.৭৬ কোটি টাকা। ৩০ জুন ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের জন্য মোট আমানতের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৩৩০ কোটি টাকা। তার বিপরীতে ৩০ জুন ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে আমানতের পরিমান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭৭.৮৪ কোটি টাকা, যা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৪৮ কোটি টাকা বেশি।

৩০ জুন ২০১৪ সালে সমিতির ঋণ উদ্বৃত্তের পরিমান ছিল ২২৫.৫৭ কোটি টাকা। ৩০ জুন ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ঋণ উদ্বৃত্ত ৪০০ কোটি টাকায় উন্নীত করার এক দুরূহ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। ঋণ প্রদান পদ্ধতির আধুনিকায়ন ও যুগোপযোগী নতুন ঋণ সেবা উদ্ভাবনের ফলে বিগত তিন বছরে ঋণের পরিমান অতিরিক্ত ১১৪.৮৩ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৩০ জুন ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে দাঁড়িয়েছে ৩৪০.৪ কোটি টাকায়।

৩০ জুন ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে সমিতির খেলাপি ঋণের হার ছিল শতকরা ১৪.৬৭। ক্রমবর্ধমান খেলাপির এই হার নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে ৫-এ নামিয়ে নিয়ে আসার লক্ষ্যে চলতি ও বিগত মেয়াদে পরিচালক মন্ডলী যুগোপযোগী ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ফলে অত্যন্ত দুরুহ এ কাজ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির মাধ্যমে ৩০ জুন ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে মোট খেলাপির হার ১০.৬৭-এ আনা সম্ভব হয়েছে।

সমিতিতে পেশাদারিত্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে জুন ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে কর্মী, বোর্ড কর্মকর্তা ও সদস্যদের জন্য যথাক্রমে ১৮টি, ৯টি ও ২৪টি প্রশিক্ষণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। এর বিপরীতে ৩০ জুন ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত কর্মী, বোর্ড কর্মকর্তা ও সদস্যদের জন্য যথাক্রমে ৪০টি, ৮টি ও ৪৮টি প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।

৩০ জুন ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে সম্পদ-পরিসম্পদের পরিমান ছিল ২৯৪.৬৭ কোটি টাকা। ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে ঢাকা ক্রেডিটকে ক্রমান্বয়ে একটি সুবিশাল প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার নিমিত্তে ৩০ জুন ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের জন্য সম্পদ-পরিসম্পদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৫০০ কোটি টাকা। চলতি ও বিগত মেয়াদে দায়িত্বপাপ্ত বোর্ডের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৮ কোটি টাকা অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেয়ে সম্পদ-পরিসম্পদের পরিমান দাঁড়িয়েছে ৫৩৭.৯ কোটি টাকা।

বিভিন্ন লক্ষ্যমাত্র গ্রহণ ও বাস্তবায়ন কার্যক্রমে দৃশ্যতই প্রতীয়মান যে, চতুর্থ ত্রি-বার্ষিক পরিকল্পনা হাতে নেওয়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের চিত্র সন্তোষজন, যা ঢাকা ক্রেডিট ইউনিয়নের যুগান্তকারী উন্নয়নেরই স্বাক্ষর বহন করছে।

-সেক্রেটারিয়েট, ১১ জুলাই, ২০১৭