শিরোনাম :
সংকটকালে আমাদের করণীয়
রাফায়েল পালমা || ঢাকা:
প্রতিদিনের রুটিনমাফিক জীবনযাত্রা থেকে আমরা হঠাৎ করে বিচ্ছিন্ন হওয়াতে আমাদের জীবনপট হয়েছে পরিবর্তিত। রাষ্ট্রীয় ঘোষণা মোতাবেক আমাদের প্রত্যেককেই পরিবারের মধ্যেই জীবনযাত্রাকে করতে হয়েছে সীমাবদ্ধ। এমনটি কোনোদিন হয়েছে বলে আমাদের মনে আসে না। এই মুহূর্তকে আমরা অনেকেই একঁেঘয়েমি মনে করতে পারি। এটা স্বাভাবিক। কিন্তু কীভাবে এই সময়কে আমাদের ব্যক্তিগত, পেশাগত ও পারিবারিক ও সামাজিকভাবে অর্থপূর্ণ করতে পারি তা সৃষ্টিশীলভাবে ভাবতে হবে।
কোভিড-১৯-এর গতি-প্রকৃতি-বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধে ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি। গণমাধ্যমের সহায়তায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টিও আমরা অবগত। ভাইরাসটির বৈশিষ্ট্য এমন যে, একজন ব্যক্তি এর দ্বারা সংক্রমিত হলে সে এক সপ্তাহের মধ্যেও সংক্রমেণের লক্ষণ বুঝে উঠতে পারে না। এই সময়কালটি তাই তাকে সামাজিক নানা আনুষ্ঠানিকতা থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাই সকল কিছুর আগে আমাদের প্রত্যেককেই নিজ নিজ পরিবারেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
ভাইরাসটি সম্বন্ধে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকেও প্রতিনিয়ত আমাদেরকে সচেতন করা হচ্ছে। অনেকে দেশ-বিদেশ থেকে তাদের ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে সাক্ষ্য প্রদানের মাধ্যমে তাদের সংক্রমণের করুণ-কাহিনি আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। এভাবে তারা আমাদের সচেতন করে তুলেছেন। তাদের উদাহরণ অনুসরণ করে অবশ্যই আমরা নিজেদের আরো সুরক্ষা করতে পারি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এই যে, আমরা তাদের আদেশ-উপদেশকে উপেক্ষা করে নিজেরাই নিজেদের বিপদ ডেকে আনছি প্রতিনিয়ত।
নেতিবাচক সমালোচনার উর্ধ্বে গিয়ে আমরা যদি আমাদের সাধারণ জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে সুশৃঙ্খল জাতির পরিচয় দিতে পারি, তবে আমাদের মৃত্যুর হারকে কমিয়ে আনতে পারবো। আর সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আমরা প্রত্যেকে ব্যক্তিগতভাবে আমাদের নিজেদেরকে ও রাষ্ট্রকে রক্ষা করতে পারি। একটা জাতি ধ্বংস হয়ে যাবে- এটা আমাদের কারোই কাম্য নয়।
সরকার প্রধান হিসেবে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে আদেশ-নির্দেশ ও দিকনির্দেশনা প্রতিনিয়ত দিয়ে যাচ্ছেন, তা মান্য করে আমরা প্রত্যেকেই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে হয়ে উঠতে পারি অকুতোভয় সৈনিক। আমরা প্রত্যেকেই ঘরে বসেই সেই সুশৃঙ্খল জাতির পরিচয় দিতে পারি।