ঢাকা ,
বার : সোমবার
তারিখ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ৯ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা দেশ সংগীত পরিচালক শিল্পী সমর দাসের মৃত্যু বার্ষিকী পালন (ভিডিও)

সংগীত পরিচালক শিল্পী সমর দাসের মৃত্যু বার্ষিকী পালন (ভিডিও)

0
1441

|| সুমন কোড়াইয়া ||

আজ ভাবগাম্বীর্যের সাথে পালিত হলো সংগীত পরিচালক সমর দাসের ১৮তম মৃত্যু বার্ষিকী। খ্রিষ্টানদের মধ্যে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান স্বাধীনতা পদক পাওয়া এ শিল্পীর ঢাকার নারিন্দাস্থ খ্রিষ্টান কবরস্থানের সমাধিস্থলে বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে প্রয়াত এই শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা জানান। প্রার্থনার মাধ্যমে তাঁর আত্মার কল্যাণ কামনা করা হয়।

আরো পড়ুন: নকল করে সুর সৃষ্টি করা যায় না: সমর দাস

অনুষ্ঠানে সমর দাস স্মৃতি সংসদের সেক্রেটারি এবং বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও বলেন, ‘আমাদের উচিত সমর দাসের অবদানের কথা সর্বত্র প্রচার করা। অনুকরণীয় এ ব্যক্তি তাঁর কর্মের মাধ্যমে যুগে যুগে বেঁচে থাকবেন।’


সমর দাস স্মৃতি সংসদের সেক্রেটারি আরো বলেন, ‘তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ছিলেন। তাঁর সুর করা গান মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল। আজকের দিনে তাঁর পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করছি।’

সমর দাসের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন খ্রিষ্টান সমাজের সংগীত শিল্পী, গীতিকারসহ বাংলাদেশ খ্রিষ্টান এসোসিয়েশন, সমর দাস স্মৃতি সংসদ ও জাতীয় চার্চ পরিষদ বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ।

গীতিকার ও শিশুতোষ ম্যাগাজিন নির্মাতা লিটন অধিকারী রিন্টু অনুষ্ঠানে বলেন, ‘সমর দাস বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে সমানভাবে সমাদৃত। তিনি সংগীতসহ বহু গুণে গুণান্বিত। তিনি এক শ-সোয়াশ শিল্পীকে নেতৃত্ব দিয়ে গান গাওয়াতেন। রাষ্ট্রীয়ভাবে সংগীত পরিচালনার দায়িত্ব দিলে তিনি তা দক্ষতার সাথে পালন করতেন।’

জাতীয় চার্চ পরিষদ বাংলাদেশের জেনারেল সেক্রেটারি রেভা. ডেভিড অনিরুদ্ধ দাশ বলেন, আজ ঈশ^রের গৌরব প্রশংসা করি শ্রদ্ধেয় সমর দাসের জীবনের জন্য। তাঁর অবদান আমরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি।

বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের যুগ্ম মহাসচিব সুব্রত হালদার উল্লেখ করে বলেন, সমর দাসের আদর্শ মানুষকে অনুপ্রাণিত করে। তাঁর আদর্শ আমাদের অনুসরণ করা উচিত।

গীতিকার ও সুরকার ফ্রান্সিস বালা বলেন, ‘আমার সংগীত জীবনে সমর দাসের প্রভাব অত্যন্ত বেশি। ১৯৮৮ সনে আমার গান শুনে তিনি আমাকে সংগীত অঙ্গনে আনেন। তাঁর জীবনের জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি জাতীয় ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান সংগীতের মাধ্যমে সমৃদ্ধ করেছেন।’

সমর দাসের নাতনি-জামাই তিমন রাজু হালদার বলেন যে, সমর দাস কোলকাতার মঞ্চে ও রেডিও অনুষ্ঠানে ইলেকট্রিক হাওয়াইয়ান গীটার বাজাতেন। তাঁর পারফরমেন্স এতো উঁচুমানের হতো যে, ভক্তরা তার নাম রেখেছিল ‘দি গোল্ডেন ফিঙ্গার’।

সংগীতে সমর দাসের অবদান
১৯৫০ সালে তিনি কালিপদ সেনের ‘লটারি’ ছবির যুগ্ম সংগীত পরিচালক ও সলিল চৌধুরীর ‘জিঘাংসা’ ছবির অসমাপ্ত আবহ সংগীতের সার্থক রূপায়নের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৯৫৫ সালে বাংলাদেশের প্রথম চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’- এর সংগীত পরিচালনা করেন। ১৯৫৬ সনে ‘আছিয়া’, ১৯৫৭ সনে ডকুমেন্টারি ফিল্ম ‘নবারুন’, ১৯৬৩ সনে ‘মাটির পাহাড়’, ‘রাজা এলো শহরে’, ১৯৬৭ সনে ‘গৌরী’, ‘দুই বউ’ ছায়াছবি সংগীত পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধে তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রধান সংগীত পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। সেই সময়ে উল্লেখযোগ্য গানগুলোর মধ্যে ছিল পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে, নঙ্গর তোলো তোলো, মা গো ভাবনা কেন ইত্যাদি।