শিরোনাম :
সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন বাইবেল পন্ডিত রবি খ্রীষ্টফার ডি’কস্তা
সবাইকে কাঁদিয়ে বাংলাদেশের খ্যাতিমান বাইবেল পন্ডিত ও সকলের প্রিয় রবি খ্রীষ্টফার ডি’কস্তা পাড়ি জমালেন না ফেরার দেশে।
বরিশাল হাসপাতালে ৭ জানুয়ারি ভোর রাত সাড়ে ৩টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর। তাঁর মৃত্যুতে বরিশাল খ্রিষ্টান সমাজসহ সকল স্তরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
রবি খ্রীষ্টফার শ্বাসকষ্টজনি ও ঠান্ডার কারণে স্ট্রোকের সম্মুখীন হন এবং তাকে হাসাপাতে নিয়ে যাওয়া হয়। ভোররাতে চিকিৎসকরা তাঁর প্রাণত্যাগের খবর নিশ্চিত করেন। কিছু সময়ের মধ্যে তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতালে ভির জমায় জনসাধারণ।
আগামী ৯ জানুয়ারি তাঁকে বরিশাল কাথিড্রাল ধর্মপল্লীর কবরাস্থানে সমাহিত করা হবে।
রবি খ্রীষ্টফার ছিলেন সকলের প্রিয় রবি দা। আবাল-বৃদ্ধা-বনিতা সকলের কাছেই তিনি ছিলে রবি দা হিসেবে পরিচিত। বরিশালসহ বাংলাদেশের খ্রিষ্টমন্ডলীর খুব কম মানুষই রয়েছে যারা রবি খ্রীষ্টফারকে চিনে না।
তিনি ছিলেন একজন দক্ষ বাণী প্রচারক। পেশাগত জীবনে তিনি বাণী প্রচারক ও প্রশিক্ষক। এছাড়াও তিনি পালকীয় দলের সাথে ও ধর্ম শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন।
বাইবেল বিষয়ে তিনি ছিলেন প্রথিযশা একজন দক্ষ পন্ডিত। দেশে এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত পর্যন্ত তিনি মন্ডলীর আহ্বানে বাণী প্রচার ও ধর্মশিক্ষা দিয়ে গেছেন।
বাবা-মা, ছেলে-মেয়ে, নাতী-নাতনী সকলেই তাঁকে রবিদা বলেই ডাকতো।
ধর্মপ্রাণ এই মানুষটি স্বভাবসুলভ আচরণের মাধ্যমে সকলের সাথে সহজেই মিশে যেতেন। প্রার্থনা পরিচালনা, গান, নৃত্য, লেখালেখিতে তাঁর ছিল সিদ্ধহস্ত।
মান্ডলিক সেমিনারগুলোতে তিনি উপস্থিত না থাকলে যেন সব সময় অসম্পূর্ণা বিরাজ করতো। যুবক-যুবতীর কাছে তিনি ছিলেন একজন আদর্শ। শিশু, কিশোর, যুবা, বৃদ্ধদের কাছে ছিলেন সমান জনপ্রিয় একজন মানুষ।
আজ তিনি নেই! রেখে গেছেন কতগুলো জ্বলজ্বলে স্মৃতি। তাঁর রেখে যাওয়া শিক্ষা, মূল্যবোধ, পথনির্দেশ এখন সবাইকে শূণ্যতায় কাঁদায়।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, পুত্র, পুত্রবধু এবং এক মেয়ে রেখে গেছেন।
১১ নভেম্বর, ১৯৫৪ সালে রবি খ্রীষ্টফার ডি’কস্তা পাদ্রিশিবপুর জন্মগ্রহণ করেন।
বাইবেল পন্ডিত রবি খ্রীষ্টফারের আত্মা চিরশান্তি লাভ এবং তাঁর পরিবারে এই শোক বইবার শক্তি লাভ করুক।