শিরোনাম :
সব ধর্মের ধর্মগ্রন্থ পাঠ করে সরকারি অনুষ্ঠান শুরুর দাবি
ডিসিনিউজ ।। ঢাকা
স্বাধীনতার সুর্বণ জয়ন্তী বছরের শুরুতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পূর্বে বঙ্গবন্ধু সরকারের আমলের মতো সকল ধর্মের ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের মধ্য দিয়ে পার্লামেন্টের অধিবেশনসহ সকল সরকারি অনুষ্ঠান শুরুর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। ১ জানুয়ারি ঐক্য পরিষদের অনলাইনে বর্ধিত সভায় সরকার ও জাতীয় সংসদের স্পিকারের প্রতি এই দাবি জানানো হয়।
এ লক্ষ্যে আগামি ফেব্রুয়ারি মাসের পূর্বে এ বিষয়ে সংবাদপত্রে বিবৃতি প্রদান এবং জাতীয় প্রেসক্লাবসহ সুবিধামত যে কোন সময়ে ও স্থানে সংবাদ সম্মেলন এবং পরবর্তীতে মাননীয় স্পিকারের সাথে সাক্ষাত করে স্মারকলিপি পেশ, একই সাথে মাঠের আন্দোলনে তা জোরালোভাবে উত্থাপন করবে ঐক্য পরিষদ।
একই সাথে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের সরকারি উদ্যোগের বিরোধিতাকারীদের আস্ফালনে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করে এদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানানো হয়েছে।
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক ও নির্মল রোজারিও পরপর দুটি অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. রানা দাশগুপ্ত কর্তৃক প্রতিবেদন পেশের পর অনুষ্ঠিত আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন পংকজ ভট্টাচার্য, কাজল দেবনাথ, এ্যাড. সুব্রত চৌধুরী, সাংবাদিক বাসুদেব ধর, জে এল ভৌমিক, মিলন কান্তি দত্ত, সঞ্জীব দ্রং, ড. জিনবোধি ভিক্ষু, যোসেফ সুধীন মন্ডল, স্বপন কুমার সাহা, রঞ্জন কর্মকার, মঞ্জু ধর, জয়ন্তী রায়, জয়ন্ত কুমার দেব, নির্মল চ্যাটার্জী, এ্যাড. তাপস পাল, ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয়, এ্যাড. শ্যামল রায়, এ্যাড. কিশোর রঞ্জন মন্ডল, হেমন্ত আই কোড়াইয়া, উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। সভা সঞ্চালনা করেন অন্যতম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ।
সভায় গৃহীত প্রস্তাবে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে সংগঠনের একাদশ জাতীয় সম্মেলন আয়োজনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। একই সাথে সরকারি দলের সংখ্যালঘু বিষয়ক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন ও পার্বত্য শান্তি চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়ন এবং সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন ও সমতলের আদিবাসীদের জন্যে পৃথক ভূমি কমিশনসহ সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি বাস্তবায়নে সরকারের কাছে জোর দাবি উত্থাপনের লক্ষ্যে নানাবিধ আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় স্বামীর সম্পত্তিতে বিধবার স্ত্রীর উত্তরাধিকারিত্ব নিশ্চিত করে আইন প্রণয়ন, বিবাহ নিবন্ধন আইন সংশোধনক্রমে তা বাধ্যতামূলক করা এবং দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইনে ইতোপূর্বে প্রস্তুতকৃত বিল প্রয়োজনীয় সংশোধন ও সংযোজনের মাধ্যমে পার্লামেন্টে উত্থাপনের জন্যে সরকারের কাছে জোর দাবি জানানো হয়েছে।
সংগঠনের অন্যতম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত কুমার দেব বিগত বর্ধিত সভার প্রস্তাবাবলী অনুমোদনের জন্য পেশ করেন । অন্যতম সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট দীপংকর ঘোষ শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন।