ঢাকা ,
বার : বৃহস্পতিবার
তারিখ : ০২ জানুয়ারী ২০২৫
বাংলা : ১৯ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা দেশ সমবায়ীদের ওপেন ফোরাম: কাককো

সমবায়ীদের ওপেন ফোরাম: কাককো

0
938
সমবায় হলো অর্থনৈতিক মুক্তির হাতিয়ার। আমাদের সমবায় নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে হবে।

‘সমবায় হলো উন্নয়নের প্রতিচ্ছবি’ বলে উল্লেখ করেন সমবায় অধিদপ্তরের যুগ্ম-নিবন্ধক জনাব লুৎফর রহমান।

২১-২৩ মার্চ, সাভার বাড়ইপাড়া সিসিডিবি হোপ ফাইন্ডেশনে দি সেন্ট্রাল এসোসিয়েশন অব খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভস্ (কাক্কো) লিঃ-এর ‘সমবায়ীদের ওপেন ফোরামে এ কথা বলেন।

২২ মার্চ সকালে কাককোর চেয়ারম্যান নির্মল রোজারিও’র সভাপতিত্বে ফোরামে প্রধান অতিথি হিসেবে সমবায় অধিদপ্তরের যুগ্ম-নিবন্ধক উপস্থিত ছিলেন।

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে খ্রিষ্টানদের ইউনিটি দেখে অবাক হই। সমবায়ের মাধ্যমে খ্রিষ্টান সমাজ অনেক সামনের দিকে এগিয়ে এসেছে। বাংলাদেশে সমবায় আন্দোলনে খ্রিষ্টান সমাজের ভূমিকা অপূরণীয়।’
প্রতিনিধির মাধ্যমে নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতিনিধির মাধ্যমে নির্বাচন একটি সদস্যদের জন্য কষ্টকর প্রক্রিয়া। নিজের ভোট নিজে না দিতে পারার বেদনা অনেক। প্রতিনিধির মাধ্যমে নির্বাচনের প্রক্রিয়া বাতিলের কার্যক্রম চলছে। আমি সব সময় বলে আসছি, বাংলাদেশে খ্রিষ্টান সমাজের অনেক সমবায় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই সকল প্রতিষ্ঠানের একটি মাতৃপ্রতিষ্ঠান হওয়া প্রয়োজন। আজ দেখে ভাল লাগছে, খ্রিষ্টান সমাজের সমবায়ের অভিভাবক হিসেবে কাককো প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং সুন্দরভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আশা করি দেশে সকল খ্রিষ্টান সমবায় প্রতিষ্ঠান কাককোর সদস্য হয়ে উন্নয়নের অংশীদার হবে।’

‘সমবায় হলো উন্নয়নের প্রতিচ্ছবি’

সাভার উপজেলার সমবায় অফিসার বলেন, ‘আমাদের জীবনমান উন্নয়নে সমবায় নিয়ে ভাবতে হবে। যেখানে সম্ভাবনা রয়েছে, সমবায় নিয়ে সেদিকে আগাতে হবে। সমবায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্থিতিশীল থাকতে হলে আমাদের উৎপাদনমুখী হতে হবে।’

সভাপতি নির্মল রোজারিও বলেন, ‘সমবায় হলো অর্থনৈতিক মুক্তির হাতিয়ার। আমাদের সমবায় নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে হবে। আমাদের সমাজে অনেক সমবায় প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এ ছাড়াও খ্রিষ্টান সমবায় প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যও একটি অভিভাবকত্ব প্রয়োজন হচ্ছিল। যে কারণে কাককো প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ইতিমধ্যে কাককোর মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।’

খ্রিষ্টান সমবায় প্রতিষ্ঠানগুলোর অভিভাবকত্বও প্রয়োজন। যে কারণে কাককো প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

‘সমবায়ী ট্রেনিং, বিভিন্ন সমবায়ের পরামর্শ, অন্যান্য সমিতির মূলধন গচ্ছিত ও নিরাপত্তাসহ নানা বিষয়ে কাককো কাজ করে যাচ্ছে। সমবায়কে অর্থনৈতিক মুক্তির হাতিয়ার করে এক সাথে এগিয়ে গেলে সমাজের উন্নয়ন সাধন নিশ্চিত’ বলেন সভাপতি রোজারিও।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ঢাকা ক্রেডিটের ভাইস-প্রেসিডেন্ট শীরেন সিলভেষ্টার গমেজ বলেন, ‘ঢাকা ক্রেডিট সমাজের মানুষের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। জীবনমান উন্নয়নে ঢাকা ক্রেডিট বিভিন্ন ধরণের প্রডাক্ট ও প্রকল্প নিয়ে কাজ করে। ঢাকা ক্রেডিটসহ বিভিন্ন সমবায় সমিতি যেমন উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে, তেমনি কাককোও সকল সমিতিগুলোর উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা অনুরোধ করবো, যে সকল সমিতি এখনো কাককোর সদস্য হয়নি, তারা যেন অতি শিঘ্রই কাককোর সদস্য হয়ে সমাজ উন্নয়নে আরো বেশি অবদান রাখে।’

ঢাকা ক্রেডিটের সেক্রেটারি পংকজ গিলবার্ট কস্তা বলেন, ‘ঋণ প্রদান সমিতিগুলোর প্রধান কাজ। কিন্তু কিভাবে ঋণখেলাপী রোধ করা এবং কমিয়ে আনা যান, সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে।’

কিভাবে ঋণখেলাপী রোধ করা এবং কমিয়ে আনা যান, সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে।

এ সময় তিনি ঋণখেলাপী নিরসনে উল্লেখযোগ্য দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

‘আমাদের সমবায় সমিতিগুলো নিয়ে উৎপাদনমুখী হতে হবে। আমরা ঢাকা ক্রেডিটের মাধ্যমে ঋণ প্রদানের পাশাপাশি উৎপাদন ও প্রকল্পভিত্তিক আয়ের দিকেও বিশেষ নজর দিচ্ছি। যে কারণে ঢাকা ক্রেডিটের গতিশীলতা বজায় রয়েছে’ বলেন সেক্রেটারি কস্তা।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলার সমবায় কর্মকর্তা মোল্লা মো. নিয়ামুল বাশার, ঢাকা ক্রেডিটের সেক্রেটারি পংকজ গিলবার্ট কস্তা, ঢাকা খ্রীষ্টান হাউজিং সোসাইটির চেয়ারম্যান আগস্টিন পিউরীফিকেশন, বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল হেমন্ত আই. কোড়াইয়া, কাককোর ভাইস-চেয়ারম্যান যোসেফ বিভাস গমেজ, কাককোর পরিচালনা পর্ষদসহ ঢাকার বিভিন্ন সমিতির কর্মকর্তা ও কর্মীরা।

২২ তারিখ সকালে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে ওপেন ফোরামের উদ্বোধন করা হয়। এর পর ওপেন ফোরামের বিভিন্ন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।

ফোরামে বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রেক্ষাপটে আগামী দশকে সমবায় ভাবনা নিয়ে কাককোর চেয়ারম্যান নির্মল রোজারিও, বাংলাদেশে সমবায় আন্দোলনের বর্তমান চ্যালেঞ্জলসমূহ ও করণীয় নিয়ে সমবায় অফিসার নিয়ামুল বাশার, আজকের সমবায় ও বিনিয়োগ ভাবনা নিয়ে শীরেন সিলভেষ্টার গমেজ, বর্তমান প্রেক্ষাপটে সমবায় সমিতি পরিচালনার চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনাসমূহ নিয়ে ফাদার ড. লিটন হিউবার্ট গমেজ সিএসসি, সমবায় সমিতির

ঋণখেলাপী নিরসনে করণীয় নিয়ে আলোচনা করেন পংকজ গিলবার্ট কস্তা।

এ ছাড়াও ছিল দলীয় কাজ, দলীয় আলোচনা, পর্যালোচনা, প্রতিবেদন প্রস্তুত ও পেশ, মুক্তালোচনাসহ নানা বিষয়।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন কাককোর সেক্রেটারি ডমিনিক রঞ্জন পিউরীফিকেশন।

‘আমাদের সমবায় সমিতিগুলো নিয়ে উৎপাদনমুখী হতে হবে। আমরা ঢাকা ক্রেডিটের মাধ্যমে ঋণ প্রদানের পাশাপাশি উৎপাদন ও প্রকল্পভিত্তিক আয়ের দিকেও বিশেষ নজর দিচ্ছি।

২৩ মার্চ বিকালে দি সেন্ট্রাল এসোসিয়েশন অব খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভস্ (কাক্কো)-এর ৮ম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় কাককোর বিভিন্ন বিষয়সহ বিগত অর্থ বছরের আয়-ব্যায়, চলমান অর্থ বছরের বাটেজ, বিভিন্ন প্রস্তাবনাসহ নানামুখী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করা হয়।