শিরোনাম :
সমবায়ীদের সফল উদ্যোগ মিল্ক ভিটা
ডিসি নিউজ:
মিল্ক ভিটা বাংলাদেশের একটি দুগ্ধ উৎপাদনকারী কোম্পানি। এর মালিক বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড যা বাংলাদেশের সরকারের পরিচালিত একটি সমবায় সমিতি। কোম্পানিটির মূল উদ্দেশ্য হল দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত পণ্য সামগ্রী উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও ভূমিহীন দুগ্ধ উৎপাদনকারী কৃষকদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন সাধন করা। অবাক করার বিষয়, মিল্ক ভিটার অধীনে বাংলাদেশের তরল দুধের ৭০ শতাংশ বাজার দখলে রয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিটি বিভাগে এই কোম্পানির কারখানা রয়েছে।
১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ সরকার ‘সমবায় দুগ্ধ প্রকল্প’ নামে একটি দুগ্ধ শিল্প উন্নয়ন প্রকল্প শুরু করে। দুগ্ধ উৎপাদনকারী কৃষকদের স্বার্থ সংরক্ষণ করে দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকারের ১৩ কোটি ১২ লাখ টাকা ঋণ সহায়তায় দেশের পাঁচটি দুগ্ধ এলাকায় কারখানা স্থাপন করা হয়। পরে ১৯৭৭ সালে “বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড” (মিল্ক ভিটা) নামে এর নামকরণ করা হয়।
‘মিল্ক ভিটা’ তরল দুধের পাশাপাশি কোম্পানিটি ঘি, মাখন, আইস ক্রিম, মিষ্টি দই, মিষ্টিহীন দই, ক্রিম, চকোলেট, লবঙ্গ বিক্রি করে।
জানা গেছে রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি মিল্ক ভিটা দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক উন্নয়নে ও কর্মসংস্থানে প্রত্যন্ত অঞ্চলে আরও ১০টি দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা করছে।
গবাদি পশুর ভ্যাকসিন বিদেশ থেকে আমদানি করা কষ্টসাধ্য ও সময়সাপেক্ষ হওয়ায় এসেনশিয়াল ড্রাগসের সঙ্গে পশুর ভ্যাকসিন উৎপাদনের একটি চুক্তি করা হয়েছে। এটি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।
দুগ্ধ শিল্পের সাথে গ্রামের কোটি মানুষের জীবিকার প্রশ্ন জড়িত। মিল্কভিটা বেশকটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে এবং কয়েকটি বড় প্রকল্প নিতে যাচ্ছে। মিল্কভিটা কর্তৃপক্ষকে লেটেস্ট মেশিন ও পরীক্ষার যন্ত্রপাতি সহযোগে একটি ল্যাব প্রতিষ্ঠার প্রকল্প নেয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছি যাতে করে সেখানে মিল্কভিটা সহ অন্যান্য বেসরকারি কারখানার দুধ পরীক্ষা করে কোয়ালিটি কন্ট্রোল নিশ্চিত করা যায় এবং দেশীয় দুধের মান নিয়ে যোগসাজশমূলক উধসধমরহম ঢ়ৎড়ঢ়ধমধহফধ এর অপ-সুযোগ আর না ঘটে। আমাদের উঠতি ও সম্প্রসারণশীল দুগ্ধশিল্প যেন মাঝপথে মাঝপথে ভেঙে না পড়ে। কারণ গুঁড়োদুধের এত বড় মার্কেট বিদেশি দুগ্ধ- কোম্পানিগুলো হারাতে চাইবে না এবং সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদেরও স্বার্থ আছে।
মিল্ক ভিটা কারখানার বিভিন্ন অঞ্চলে কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পের সর্বমোট ১৩হাজার ছয়টি ইউনিটে মোট ৫৯হাজার ৯৪২জন কর্মী রয়েছে।
আরো পড়ুন:
মানবতার মা মাদার তেরেসার জন্মদিন আজ