শিরোনাম :
সরকারী নিষেধ সত্ত্বেও সিলেটে অটোরিকসার রাজত্ব
সরকারী নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও হরদম চলছে ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা।
সারাদেশের মহানগরগুলোতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলে তা মানা হচ্ছে না। ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হলেও পরে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে ট্রাফিক বিভাগ থেকে ছেড়ে দেয়া হয় জব্দকৃত এসব রিকশা। ফলে ঘটছে নানা দুর্ঘটনা।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, স্বাভাবিক রিকশার গতির চেয়ে দ্রুতগতির কারণে দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায় তিন চাকার এই যান। পাশাপাশি রিকশার ব্যাটারি বিদ্যুতের চার্জ করায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় বাড়ে চাপ। নানা সমস্যার কারণে সারা দেশে মহানগরীগুলোতে অটোরিকশা নিষিদ্ধ করা হয়। দেশের অন্য শহরের মতো সিলেট নগরেও বন্ধ করে দেয়া হয় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। ২০১৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে মহানগরগুলোতে এসব রিকশা অবৈধ ঘোষণা করেন আদালত।
সরকারি এই নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা মালিক সমিতি উচ্চ আদালতে রিট করে। ২০১৬ সালের ১৯ জানুয়ারি সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল সংক্রান্ত রিট খারিজ করেন হাই কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি এসএম মজিবুর রহমানের যৌথ বেঞ্চ শুনানি শেষে সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা মালিক সমিতির রিট খারিজ করে দেন।
সেই থেকে সিলেট মহানগর এলাকায় কার্যত ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল অবৈধ। কিন্তু উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও নগরে অনেকটা যেন নির্বিঘ্নে চলাচল করছে এসব রিকশা। দিনের বেলা সংখ্যায় কম থাকলেও রাতে এসব রিকশার সংখ্যা বেড়ে যায়।
যাদের এসব দেখার দায়িত্ব তারা কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না। উল্টো রিকশা চলাচলে তাদের গোপন সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে।
সিলেট মহানগর ট্রাফিক পুলিশের উপ-কমিশনার তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘সিলেট নগরে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলে আদালতের নিষেধ রয়েছে। তাই ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাগুলোর বিরুদ্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযান চলছে। তবে আটকের পর সরকারি কোষাগারে মুচলেকা জমা দিয়ে অনেকে ছাড়িয়ে নেন তাদের রিকশাগুলো। ট্রাফিক পুলিশের অনিয়মের বিষয়টি সত্য নয়।’
আরবি.এএম. ৩০ অক্টোবর ২০১৮