ঢাকা ,
বার : সোমবার
তারিখ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ৯ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা দেশ সাতই মার্চের ভাষণ মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড-এ স্থান পাওয়ায় তেজগাঁও চার্চে বিশেষ...

সাতই মার্চের ভাষণ মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড-এ স্থান পাওয়ায় তেজগাঁও চার্চে বিশেষ প্রার্থনানুষ্ঠান

0
314

বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দিল ইউনেসকো। গত সোমবার ইউনেসকোর ওয়েবসাইটে দেওয়া একটি তালিকায় এ তথ্য রয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভাইজরি কমিটি ইউনেসকোর মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড (এমওডব্লিউ) কর্মসূচির অধীনে আন্তর্জাতিক তালিকায় (ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার) মোট ৭৮টি দলিলকে মনোনয়ন দিয়েছে। এ তালিকায় ৪৮ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণটিকে স্থান দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের এই গুরুত্বপূর্ণ অর্জনকে সামনে রেখে রাষ্ট্রীয়, দলীয় এবং সাংগাঠনিকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ খ্রীষ্টান ধর্মী কল্যাণ ট্রাস্ট এবং বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের আয়োজনে এই অর্জনের জন্য তেজগাঁও ধর্মপল্লীতে ফাদার কমল কোড়াইয়ার খ্রিষ্টযাগ অর্পনের মাধ্যমে ধন্যবাদের প্রার্থনানুষ্ঠান করা হয়েছে।

01৫ নভেম্বর, সকাল ৯টায় খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও এবং সেক্রেটারি জেনারেল হেমন্ত আই. কোড়াইয়ার নেতৃত্বে এই প্রার্থনানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এ ছাড়াও এদিন এসোসিয়েশনের অন্যান্য সদস্য এবং খ্রিষ্টভক্তরা উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্ব ঐতিহ্য ও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার আন্তর্জাতিক তালিকাই মূলত মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড। এর মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন অংশের ঘটনার সংরক্ষণ ও সবার কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে ইউনেসকো। এই তালিকায় ঠাঁই পেতে হলে পর্যাপ্ত গ্রহণযোগ্যতা ও ঐতিহাসিক প্রভাব থাকতে হয়।

প্যারিসে ইউনেসকোর প্রধান কার্যালয়ে ২৪ থেকে ২৭ অক্টোবর চার দিনের এক সভায় বসেছিল ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভাইজরি কমিটি (আইএসি)। সেখানে ইউনেসকোর মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড প্রোগ্রামের পক্ষ থেকে মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল নিবন্ধনের জন্য ৭৮টি দলিলকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। আইএসির এই কমিটিতে ছিলেন ১৫ জন বিশেষজ্ঞ। এর চেয়ারম্যান ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের ন্যাশনাল আর্কাইভের মহাপরিচালক আবদুল্লাহ আলরাইজি। তাঁরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে নতুন করে প্রস্তাব করা ঐতিহাসিক দলিল পরীক্ষা ও মূল্যায়ন করেন। দুই বছরের প্রক্রিয়া শেষে ২০১৬-১৭ সালের জন্য দলিলগুলোকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।

মনোনয়নগুলো সম্পর্কে সুপারিশ করে ইউনেসকোর মহাপরিচালক ইরিনা বকোভা বলেন, ‘আমি গভীরভাবে বিশ্বাস করি, এ কর্মসূচি পরিচালিত হওয়া উচিত দালিলিক ঐতিহ্য ও স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য। যাতে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সংলাপ, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, পারস্পরিক বোঝাপড়া ও শান্তির চেতনা তাদের মনে লালন করতে পারে।’

১৯৯২ সালে মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড প্রোগ্রাম চালু করে ইউনেসকো। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দালিলিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও ব্যবহারে সচেতনতার তাগিদে এটি চালু হয়। যুদ্ধ ও সামাজিক অস্থিরতা, সম্পদের অপ্রতুলতার কারণে দালিলিক ঐতিহ্য নিয়ে সমস্যা বেড়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন সংগ্রহশালা বিনষ্ট হয়েছে। লুটপাট, অবৈধ বিক্রি, ধ্বংস, অপর্যাপ্ত অবকাঠামো ও তহবিলের উদ্যোগে নষ্ট হয়েছে দলিল। অনেক দলিল নষ্টের ঝুঁকিতে।

আরবি/এসডিএস/৫ নভেম্বর, ২০১৭