শিরোনাম :
সাতছড়ি ও নাসিমাবাদ জনগোষ্ঠীর আদিবাসী অধিকার-মানবাধিকার বিষয়ে আলোচনা সভা
হবিগঞ্জ চুনারুঘাট উপজেলার দূর্গম পাহাড়ি টিলার আঁকাবাঁকা পথ অতিক্রম করতেই দেখা যাই সাতছড়ি ও নাসিমাবাদ চা বাগান। কল্পনাই করা যাইনা এত জঙ্গলের ভিতরে এখানে অবহেলিত ও বিলুপ্ত প্রায় অনেক আদিবাসী বাস করে।
এই বিলুপ্ত প্রায় আদিবসীদের হারিয়ে যাচ্ছে মূল ভাষাসহ সংস্কৃতি-সভ্যতা। অন্যদিকে জানে না নিজেকে আদিবাসী হিসেবে পরিচয় দেবার। এখনো জানেনা কখন কবে আদিবাসী দিবস পালন হয়।
দুই গ্রামের স্হানীয়রা জানান, চা বাগান অঞ্চল যোগাযোগ ব্যবস্তাতো উন্নতই নেই বরং দরিদ্র সুবিধা বঞ্চিত আদিবাসী জনগোষ্ঠী সরকারী বা বেসরকারী সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। আরো জানান, বিভিন্ন ঋন ব্যবস্তা এনজিও গুলো আসলেও এটাই প্রথম মানবাধিকার বিষয়ে আলোচনা।
এ অবহেলিত চা জনগোষ্ঠি আদিবাসী থাকাই এবারই প্রথম সাতছড়ি ও নাসিমাবাদ চা বাগানের কাছে আসলো আইপিডিএস।
২৩ জুন (শনিবার) সাতছড়িতে ও ২৫ জুন (সোমবার) নাসিমাবাদে খ্রীষ্টান মিশন স্কুলে বিকেলে মানবাধিকার সচেতনতা সম্পর্কিত মূল্যায়ন সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভাই যুবা, নবীন-প্রবীন, নারী-পুরুষ (গারো, সাঁওতাল ও উঁড়াও আদিবাসীরা) অংশ গ্রহন করে। এখানে স্হানীয়দের মন্তব্য গারোদের যে পোষাক সেই পোষাক পাওয়া যাচ্ছেনা। পাওয়া গেলেও ক্রয় করার ক্ষমতা থাকে না। যার ধরুন নিজেদের সংস্কৃতি মধ্যে বড় বাধা বলে দাবী করেন। এছাড়াও নিজেদের আদিবাসী হিসেবে নিজেদের অর্থনৈতিক,সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার দাবী আদায় সম্পর্কে জানে না, এজন্য বড় বাধা হিসেবে দায়ী করেন সরকার ও চা বাগান কৃর্তপক্ষকে।
তবে আশার আলো দেখে স্হানীয় আদিবাসী জনগনরা এবার থেকে প্রতিবছর আদিবাসী দিবস পালন করার সিদ্ধান্ত ও বিভিন্ন নিজেদের অধিকার-মানবাধিকার নিয়ে চা বাগান কৃর্তপক্ষ এবং প্রশাসনের কাচ্ছে দাবী করবে বলে প্রতাশ্যা রাখেন।
আলোচনা সভাটি মানবাধিকার প্রকল্প-ইউএনডিপি এর সহযোগীতাই এবং “ইনডিজিনাস পিপিলস ডেভেলপমেন্ট সার্ভিসেস”-(আইপিডিএস) এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়।
আরবি.আরপি. ২৬ জুন ২০১৮