শিরোনাম :
সাভারে সেন্ট যোসেফস্ স্কুল এন্ড কলেজের সুবর্ণ জয়ন্তী ও ছাত্র পুনর্মিলনী
বিপুল আনন্দ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সাভারে যোসেফস্ স্কুল এন্ড কলেজের সুবর্ণ জয়ন্তী ও ছাত্র পুনর্মিলনী উদযাপন করা হয়।
প্রথম দিন জুবিলী উৎসবের অনুষ্ঠান শুরু হয়ে দ্বিতীয় দিন পুনর্মিলনী উৎসবের মাধ্যমে এই আনন্দ অনুষ্ঠান শেষ হয়।
উৎসবের ২য় দিনের প্রথম অধিবেশনে অনুষ্ঠিত হয় প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান।
শনিবার (২৬ জানুয়ারি) সেন্ট যোসেফস্ হাইস্কুল এন্ড কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে সকাল ১০টায় শুরু হয় প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’ রোজারিও’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাটিকানের রাষ্ট্রদূত আর্চ বিশপজর্জ কোচেরী।
প্রধান অতিথি জর্জ কোচেরী বলেন, ‘সারা পৃথিবীতে কাথলিক স্কুলগুলোর একটি বিশেষ মূল্য রয়েছে। কারণ সেখানে সব ধনের মূল্যোবোধের শিক্ষা দেওয়া হয়। বাংলাদেশেও এর মূল্য কোনো অংশে কম নয়।’
বাংলাদেশ খ্রিষ্টমন্ডলীকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে খ্রিষ্টানদের স্কুল, কলেজ এবং একটি বিশ^বিদ্যালয়ও আছে।’
ভবিষ্যতে আরো বিশ^বিদ্যালয় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।’
বিকালের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এমামুর রহমান বলেন, ‘এই স্কুল থেকে যারা পাশ করে বেরিয়েছে, তারা আজ সমাজে প্রতিষ্ঠিত এবং শৃঙ্খলিত। এই শৃঙ্খলিত মানুষ দিয়েই বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভব।’
তিনি বলেন, ‘আপনাদের ভোটের দ্বারাই আমি নির্বাচিত হয়েছি, আপনাদের যেকোনো প্রয়োজনে আমাকে জানাবেন, আমি সাধ্যমত আপনাদের প্রয়োজন মেটানোর চেষ্টা করব।’
সাভার উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে খ্রিষ্টান ও হিন্দু প্রতিনিধি রাখার কথা দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী এনামুর।
বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশন প্রেসিডেন্ট এবং খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব নির্মল রোজারিও বলেন, ‘সেন্ট যোসেফস্ স্কুল একটি অসাম্প্রদায়িক স্কুল। এই স্কুলের উন্নয়ন কাজে সবার অংশগ্রহণ করা উচিত।’
তিনি মাননীয় প্রতিমন্ত্রীর দৃষ্টি আর্কষণ করে বলেন, ‘আমাদের স্কুলে পর্যাপ্ত ভবন নেই। ভবন নির্মাণে আপনার সহযোগিতা কামনা করছি।’
‘আজ পিছনে ফিরে তাকানোর দিন, সকলের সাথে মিলনের এবং পরিকল্পনা গ্রহণের দিন, আগামি ২৫ বছরে স্কুলের কতটুকু উন্নয়ন সম্ভব। স্কুল থেকে কলেজে রূপান্তর ঘটেছে, একদিন বিশ^বিদ্যালয়ে পরিণত হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন’ ঢাকা ক্রেডিটের সেক্রেটারি পংকজ গিলবার্ট কস্তা।
অনুষ্ঠানে শেষে ধন্যবাদ বক্তব্য প্রদান করে সেন্ট যোসেফস্ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সিস্টার মেরী নমিতা এসএমআরএ।
সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পরে লটারি ড্র’র মধ্যদিয়ে ৫০ বছরের সুবর্ণ জয়ন্তীর আনন্দ অনুষ্ঠান শেষ হয়।
ডিসিনিউজ/আরবি.এইচআর. ২৭ জানুয়ারি ২০১৯