শিরোনাম :
সিটিএসপি সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশের উন্নয়নে নিরবে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে
উন্নয়নের দিকে তাকালে আমরা বেশকিছু সূচকে এগিয়েছি বলে প্রতীয়মান হয়। আমরা শিক্ষার ক্ষেত্রে এগিয়েছি, সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি টেক্যনিক্যাল ট্রেনিং ক্ষেত্রে ছেলেমেয়েরা উন্নত হচ্ছে এবং আগ্রহও বাড়ছে।” সিটিএসপির প্রজেক্ট ম্যানেজার দিলু পিরিছ এসব কথা বলেন।
২৪ নভেম্বর, ২০১৬ (বৃহস্পতিবার), সকাল সাড়ে ৮টায়, ঢাকার মিরপুরে কারিতাস কমপ্লেক্সে মট্স হলরুমে কারিতাস টেকনিক্যাল স্কুল প্রজেক্ট’র (সিটিএসপি) ২৭তম ষান্মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সিটিএসপির প্রজেক্ট ম্যানেজার ডমিনিক দিলু পিরিছ, মট্স’র পরিচালক আখিলা ডি’রোজারিও, কারিতাস ঢাকা অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক জ্যোতি এফ. গমেজ, সিটিএসপি অফিসের কর্মীবৃন্দসহ কারিতাস বাংলাদেশের বিভিন্ন আঞ্চলিক অফিসের অফিসারবৃন্দ এবং সিটিএসপির মাঠ পর্যায়ের কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় প্রজেক্ট ম্যানেজার পিরিছ বলেন, প্রকল্পের দাতা সংস্থার সহযোগীতা দিনের পর দিন কমে যাচ্ছে। এর মধ্যে দিয়েই আমাদের কাজ করে যেতে হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার বর্তমানে কারিগরি শিক্ষার উপর জোড় দিচ্ছেন। সাম্প্রতিক রস্ক প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার ৯০টি উপজেলায় টেকনিক্যাল ট্রেনিং পরিচালনা করবে। ইতোমধ্যে সিটিএসপি রস্কের সাথে বেশকিছু ট্রেনিং পরিচালনা করেছে। সিটিএসপি সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশের উন্নয়নে নিরবে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে বলে প্রজেক্ট ম্যানেজার পিরিছ উল্লেখ করেন।
তিনি আরো বলেন, ‘আজকের সভা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিষ্ঠানের সেবা কাজ চলমান রাখতে হলে আমাদের পরিবর্তন এবং পরিকল্পনা রাখতে হবে। আমরা যদি নিরাপত্তা, পরিবেশ, দক্ষতা, কোয়ালিটি ট্রেনিং ধরে রাখতে পারি, তবে অবশ্যই স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে পারবো।
সভায় মট্স পরিচালক আখিলা বলেন, কারিগরি শিক্ষায় দক্ষ করে গড়ে তোলার কাজ কারিতাস শুরু করে ১৯৭৩ সাল থেকে। ২০২১ সালের পরিকল্পনা অনুযায়ী সরকারের রুপকল্প হলো ৭-২০ শতাংশে কারিগরি শিক্ষাকে উন্নীত করা, যা সকলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি সকলের উদ্দেশে বলেন, কোয়ালিটি ট্রেনিং এর মাধ্যমে এবং প্রাতিষ্ঠানিক আয় দিয়ে প্রতিটা আঞ্চলিক টেকনিক্যাল স্কুল এক সময় একেকটি মিনি মট্স হবে। এই বিষয়ে আমাদের সকলকে কাজ করতে হবে।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, সিটিএসপি সারা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাজ করে যাচ্ছে। অনেকটা নিরবে সিটিএসপি অবদান রেখে যাচ্ছে বাংলাদেশের উন্নয়নে। দিন পাল্টাচ্ছে, তাই আমাদের প্রশিক্ষণ পদ্ধতিসহ নানা বিষয়ে পরিকল্পনা করে পরিবর্তন করতে হবে। এসময় তারা সভার আলোচনা যেন ফলপ্রসূ হয় সেই কামনা করেন।
উল্লেখ্য, কারিতাস টেকনিক্যাল স্কুল প্রজেক্ট সারা বাংলাদেশের পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠির যুবাদের কারিগরি প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন বিভাগে আঞ্চলিক টেকনিক্যাল স্কুলসহ বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৩ মাস মেয়াদী এবং ৬ মাস মেয়াদী ট্রেনিং পরিচালনা করছে। ট্রেনিং শেষে প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন ফ্যাক্টরি এবং প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থীদের কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরী করে দিচ্ছে।
আরবি/আরপি/আরএসআর
২৪ নভেম্বর, ২০১৬