ঢাকা ,
বার : শুক্রবার
তারিখ : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ১৩ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা দেশ সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা ৪১, দগ্ধ-আহত ৪ শতাধিক: খ্রিষ্টান নেতৃবৃন্দের শোক প্রকাশ

সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা ৪১, দগ্ধ-আহত ৪ শতাধিক: খ্রিষ্টান নেতৃবৃন্দের শোক প্রকাশ

0
278

ডিসিনিউজ ।। ঢাকা

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪১ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় ৪ শতাধিক দগ্ধ ও আহত হয়েছেন। তবে আহতদের মধ্যে ৪০-৫০ জনের অবস্থা গুরুতর। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের সহকারী পরিচালক রাজীব পালিত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

শীতাকুণ্ডের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট পংকজ গিলবার্ট কস্তা। তিনি শোক প্রকাশ করে বলেন, শীতাকুণ্ডের ঘটনা সত্যিই হৃদয়বিদারক। এতবড় বিস্ফোরণ এর আগে কখনো হয়নি। তারচেয়ে কষ্টদায়ক হলো এত মানুষের প্রাণহানী ও আহত হওয়ার বিষয়টি। সৃষ্টিকর্তা যেন নিহতদের আত্মার শান্তি দান করেন এবং যারা স্বজন হারিয়েছে তাদের যেন সহায় থাকেন। এ ছাড়াও আহতদের সুস্থতা কামনা করি, যেন অচিরেই তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে। সেই সাথে সরকার যেন অসহায় পরিবারগুলোর পাশে থাকেন সেই কামনা করি।’

শোক জানিয়েছে বাংলাদেশ খ্রিষ্টান এসোসিয়েশন। এসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল ইগ্নাসিওস হেমন্ত আই. কোড়াইয়া গভীর শোক প্রকাশ করে নিহতদের আত্মার কল্যাণ ও আহতদের সুস্থতা কামনা করেন। সেই সাথে এই দুর্ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি জানান। তিনি বলেন, যদি কোনো অবহেলাজনিত কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে, তবে প্রশাসন যেন কঠিন ব্যবস্থা নেয় জড়িতদের বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও সরকারের পক্ষ থেকে যেন অসহায় পরিবারগুলোর প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়।

পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার রাত ১০টার দিকে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুর এলাকায় অবস্থিত বিএম কন্টেইনার ডিপোতে  সাবেক কাশেম জুট মিল) লোডিং পয়ন্টের ভেতরে আগুন লাগে। প্রথমে কুমিরা ও সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরে রাত পৌনে ১১টার দিকে এক কনটেইনার থেকে অন্য কনটেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। হঠাৎ একটি কনটেইনারে রাসায়নিক থাকায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পুলিশের সদস্য, ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও শ্রমিকসহ ৪ শতাধিক মানুষ দগ্ধ ও আহত হন।

পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও শ্রমিকসহ ৪০-৫০ জনের বেশি মানুষকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চট্টগ্রাম, ফেনী ও কুমিল্লা থেকে ফায়ার সার্ভিসের মোট ২৫টি টিম এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। কিন্তু রবিবার সকাল পৌনে ১১টা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। বিস্ফোরণে আশপাশের ঘরবাড়ি ও মসজিদের কাচের দরজা-জানালা ভেঙে যায়। এমনকি শিশুরাও বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁদে ওঠে।

চমেক মেডিক্যাল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম বলেন, ‘হতাহতদের মধ্যে ডিপোর শ্রমিকদের পাশাপাশি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও রয়েছেন।’