ঢাকা ,
বার : সোমবার
তারিখ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ৯ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা দেশ সুরকার সমর দাসের ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন (ভিডিও)

সুরকার সমর দাসের ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন (ভিডিও)

0
444

ডিসিনিউজ ॥ ঢাকা

স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়া সুরকার সমর দাসের ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়েছে আজ (২৫ সেপ্টেম্বর)। ২০০১ সনের আজকের দিনে তিনি ৭২ বছর বয়সে মারা যান।

তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সমর দাস স্মৃতি সংসদ, দি খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:, ঢাকা ও বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ ওয়ারী খ্রিষ্টান কবরস্থানে সমর দাসের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ও তাঁর আত্মার কল্যাণে প্রার্থনা করেন।

এই সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের মহাসচিব ও দি খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:, ঢাকা এর সেক্রেটারি ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া, বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের বনানী থানা শাখার সেক্রেটারি ও দি খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:, ঢাকা এর ট্রেজারার পিটার রতন কোড়াইয়া, বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের যুগ্ম সচিব-১ জেমস সুব্রত হাজরা, বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের মোহাম্মদপুর থানা শাখার সেক্রেটারি ও দি খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি: এর ডিরেক্টর পল্লব ডি’রোজারিও প্রমুখ।

শুরুতে প্রার্থনা করেন পালক যোসেফ সরকার। এর পর নেতৃবৃন্দ সমর দাসের জীবনের ওপর আলোকপাত করেন।

বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের মহাসচিব ও দি খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:, ঢাকা এর সেক্রেটারি ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া বলেন, ‘সমর দাসের সুর করা গান যুদ্ধকালীন সময় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা দিয়েছে। ফলে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। আমরা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ। তাঁর গুণাবলী, দেশ প্রেম যেন আমরা আমাদের জীবনে ধারণ করতে পারি।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের লক্ষ্মীবাজার শাখার প্রেসিডেন্ট রঞ্জন রোজারিও, সেক্রেটারি ভিক্টর রে, মহিলা সম্পাদিকা রিনা রায়, বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের মিরপুর থানা শাখার প্রেসিডেন্ট যোসেফ স্বপন চৌধুরী, বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের মগবাজার শাখার সদস্য টমাস অধিকারী।

সংগীতে সমর দাসের অবদান

১৯৫০ সালে তিনি কালিপদ সেনের ‘লটারি’ ছবির যুগ্ম সংগীত পরিচালক ও সলিল চৌধুরীর ‘জিঘাংসা’ ছবির অসমাপ্ত আবহ সংগীতের সার্থক রূপায়নের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৯৫৫ সালে বাংলাদেশের প্রথম চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’- এর সংগীত পরিচালনা করেন। ১৯৫৬ সনে ‘আছিয়া’, ১৯৫৭ সনে ডকুমেন্টারি ফিল্ম ‘নবারুন’, ১৯৬৩ সনে ‘মাটির পাহাড়’, ‘রাজা এলো শহরে’, ১৯৬৭ সনে ‘গৌরী’, ‘দুই বউ’ ছায়াছবি সংগীত পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধে তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রধান সংগীত পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। সেই সময়ে উল্লেখযোগ্য গানগুলোর মধ্যে ছিল পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে, নঙ্গর তোলো তোলো, মা গো ভাবনা কেন ইত্যাদি।