শিরোনাম :
সুরমা চা বাগান ও সাতছড়ি ত্রিপুরা বস্তিতে মানবাধিকার ও আদিবাসীদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির আলোচনা সভা
গতকাল ১০ জুলাই (মঙ্গলবার) হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সুরমা চা বাগান ও চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান ত্রিপুরাপুঞ্জিতে আইপিডিএস এর উদ্যোগে স্হানীয় জনপ্রতিনিধি, ছাত্র ও যুব প্রতিনিধিদের নিয়ে “আদিবাসী ও মানবাধিকার সচেতনতা মূলক” এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথমেই সুরমা চা বাগানে আদিবাসী চা শ্রমিকদের নিয়ে মানবাধিকার সচেতনতা সম্পর্কিত মূল্যায়ন নিয়ে আলোচনা হয়। চা শ্রমিকরা তাদের অনেক সমস্যা তুলে ধরেন। চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি, শিক্ষা,স্বাস্হ্য, অর্থসামাজিক সমস্যার পাশাপাশি আদিবাসীর সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যময় জীবনধারা বিলুপ্তির আশংকার কথা জানান আদিবাসী চা শ্রমিক।
এই চা শ্রমিকদের এমন পর্যায়ে রেখেছে যার ফলে নিজেকে চা জনগোষ্ঠি বলে পরিচয় দিতে বাধ্য করছে এবং ‘আদিবাসী’ পরিচয় দিতে সংকোচবোধ-ভয় অনুভূতি হয় জানালেন স্হানীয় চা শ্রমিক আদিবাসী এর জনপ্রতিনিধিগন।
নানা আদিবাসী, নানা বর্ণ ও নানা ভাষা এবং সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধ্য হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলা। যার মধ্যে ৬১ টি জাতিগোষ্ঠির মধ্যে ত্রিপুরা আদিবাসী বাস করে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের পাশে। তাদের রয়েছে নিজস্ব সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যময় জীবনধারা, রয়েছে নিজস্ব ভাষা, নিজস্ব খাবার প্রভূতি। পাহাড়ের গায়ে লেবু, আঁনারস, নানা ফল মূল চাষ করে জীবিকা নির্বাহ।
আলোচনার পর্যায়ে চলে আসে, ত্রিপুরা আদিবাসীর বাপ দাদারা আদিকাল থেকেই এখানে বসবাস করে আসচ্ছে অথচ বাংলাদেশতো সেদিন মাত্র হলো। ১৯৭২ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে অনেকে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। সেদিন মুক্তিযুদ্ধের পর মাত্র সরকার গঠন হলো, বন বিভাগ নাম হলো, হয়ে গেল পর্যটকদের জন্য জাতীয় উদ্যান। দীর্ঘ দিন থেকেই ত্রিপুরা আদিবাসীদেরকে জিন্মি করে রাখচ্ছে, করছে নানা ধরনের নির্যাতন। বলছিলেন দুঃখ-ভারাকান্ত মনে ত্রিপুরা পুঞ্জির হেডম্যান চিও দেববর্মাসহ স্হানীয় জনপ্রতিনিধি ও যুব প্রতিনিধিগন।
ত্রিপুরা আদিবাসীগন আরো জানান, সৌন্দর্য্য বর্ধনের নামে লেবুর ফাঁকে ফাঁকে ফুল গাছ রোপন করে। আস্তে আস্তে সেই ফুল গাছ পরির্চ্চার নামে পরির্চ্চা করতে গিয়ে লেবু গাছ কেটে ফেলে। বনবিভাগ বলছে এখানে অনেক বিভিন্ন গাছ লাগানো হবে।
ত্রিপুরাদের নানা অভিযোগ নানা দাবী, আমরা কার কাছে যাবো, আমাদের পেশা জীবিকাকে ধ্বংস করছে, বনবিভাগ আমাদেরকে তারিয়ে দেওয়ার অনেক পরিকল্পনা চলছে। তাই সাহায্যর দাবী রাখেন, বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্হার কাছে।
আরবি.আরপি. ১১ জুলাই ২০১৮