শিরোনাম :
সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে দৃর্বৃত্তদের হামলা
পুরোনো ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল অ্যন্ড কলেজে বহিরাগত দুর্বৃত্তরা হামলা ও ভাংচুর করে।
২৪ নভেম্বর, বিকেলে প্রতিষ্ঠানটিতে শতাধিক দুর্বৃত্ত অতর্কিতে হামলা করে অধ্যক্ষের কক্ষ, ডিসিপ্লিন কমিটির কক্ষ, শিক্ষক-মিলনায়ত, কফেটেরিয়া অফিস কক্ষসহ বেশ কিছু শ্রেনীকক্ষে ব্যাপক ভাংচুর ও ধ্বংসযোগ্য চালায়।
প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল ব্রাদার প্লাসিড পিটার রিবেরু স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় এই হামলায় সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান ফটকে দায়িত্বরত দুইজন অফিস সহায়ক গুরুতর আহত হয়, যাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
“হামলা ও ভাংচুরের সময়ে বিদ্যালয়টি বন্ধ ছিল। পরে, খবর পেয়ে শিক্ষক, প্রাক্তন ও বর্তমান গ্রেগরিয়ান, অবিভাবকগণ শিক্ষালয়ে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সহযোগীতা করে। পরে আইনশৃক্সক্ষলা রক্ষাকারী বাহিনী এসে পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক করে।” প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়
আর্মি ও পুলিশের সমন্বয়ে একটি টিম সার্বিক নিরাপত্তার প্রদানের বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষকে আশ্বস্ত করে।
প্রতিষ্ঠানটির প্রিন্সিপাল বলেন, “এমতাবস্থায় বর্তমান ও প্রাক্তন গ্রেগরিয়ান, অভিভাবক ও শুভাকাক্সক্ষীদের ধৈর্য ধারণ ও পূর্বের ন্যায় সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য বিনীত অনুরোধ জানাই।” একই সাথে তিনি নিজ দায়িত্বে কোনো প্রকার সহিংসতায় বা বিবাদে কাউজে জড়িয়ে না পড়ারও আহ্বান জানায়।
সূত্রে জানা যায়, ঘটনায় দিন প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ কোনো ধরণের অভিযোগ নেয়নি।
এই অনাকাক্সিক্ষত ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই নিন্দা জানিয়ে সুস্কৃতিকারীদের নিহ্নিত করে বিচারের দাবি জানান এবং খ্রিষ্টান প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা জোরদারের জন্য সরকারের প্রতি আহŸান জানায়।
দি খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের (ঢাকা ক্রেডিট) প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের মহাসচিব ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া উক্ত ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বলেন, “সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে হামলার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দুস্কৃতিকারীদের যথার্থ শাস্তি দেয়া হউক, মানুষ গড়ার প্রতিষ্ঠানে অমানুষেরা যা তা করবে, তা হতে পারে না।”