শিরোনাম :
সেবাপক্ষের সুবিধা যেন প্রান্তিক পর্যায়েও পৌঁছে যেতে পারে: ঢাকা ক্রেডিটের সেবাপক্ষ-২০২২ উদ্বোধন
ডিসিনিউজ ।। ঢাকা
‘ঢাকা ক্রেডিটের সেবাপক্ষের সুবিধা যেন শুধু নির্দিষ্ট সদস্যরা না পায়, এই সুবিধা যেন প্রান্তিক পর্যায়েও পৌঁছায়’ ঢাকা ক্রেডিটের সেবাপক্ষ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন প্রেসিডেন্ট পংকজ গিলবার্ট কস্তা।
৯ জুন, ঢাকা ক্রেডিটের প্রধান কার্যালয়ের বিকে গুড কনফারেন্স হলে ঢাকা ক্রেডিটের সেবাপক্ষ-২০২২ উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমিতির প্রেসিডেন্ট পংকজ গিলবার্ট কস্তা। এ ছাড়াও বিশেষ অতিথির আসন গ্রহণ করেন ভাইস-প্রেসিডেন্ট আলবার্ট আশিস বিশ্বাস, সেক্রেটারি ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া, প্রতিষ্ঠানের সিইও লিটন টমাস রোজারিও, ক্রেডিট কমিটির চেয়ারম্যান সুকুমার লিনুস ক্রুশ প্রমুখ। এ ছাড়াও ঢাকা ক্রেডিটের বোর্ড অব ডিরেক্টর, ক্রেডিট কমিটি ও সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য, সমিতির উর্ধ্বতন কর্মীসহ প্রধান কার্যালয়ের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিই স্বপন রোজারিও।
মি. প্রেসিডেন্ট এবং অন্যান্য অতিথিবৃন্দরা এদিন ফিতা কেটে সেবাপক্ষের শুভ উদ্বোধন করেন। ৯-২৩ জুন পর্যন্ত (১৫ দিন) ঢাকা ক্রেডিটের সদস্যদের জন্য এই সেবাপক্ষ উন্মুক্ত থাকবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট পংকজ গিলবার্ট কস্তা কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘এই সময়ে আপনাদের সেবারমান আরো উন্নত করতে হবে। শুধু এ সময়ে নয়, বরং সেবাপক্ষের সেবার মান্নোয়ন করে সারা বছর সদস্যদের স্মার্ট ও সন্তোসজনক সেবা প্রদান করতে হবে। এ ছাড়াও, ‘ঢাকা ক্রেডিটের সেবাপক্ষের সুবিধা যেন শুধু নির্দিষ্ট সদস্যরা না পায়, এই সুবিধা যেন প্রান্তিক পর্যায়েও পৌঁছায়’ সেই দিকেও কর্মীদের লক্ষ্য রাখতে হবে।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘সেবাপক্ষ শুধু মাত্র ১৫দিন সদস্যদের অধিকমাত্রায় সেবা প্রদান নয়। বরং এই সময়ে আপনারা নিজেদের নবায়ন করে সারা বছর ভাল সেবা দেওয়ার জন্য নবীকৃত হওয়ার সময়। সেবাপক্ষে সদস্যদের জন্য কিছু সুবিধা দেওয়া হয়, সদস্যরা যেন সেই সকল সেবা গ্রহণ করে লাভবান হন, সেই দিকে নজর রেখে আপনাদের কাজ করতে হবে।’
উল্লেখ্য, প্রতি বছর জুন মাসে ঢাকা ক্রেডিট সদস্যদের সুবিধার্থে সেবাপক্ষ পালন করে থাকে। এই সময় সদস্যদের জন্য বিশেষ কিছু সুবিধা প্রদান করা হয়। এতে সদস্যরা যেমন লাভবান হন, তেমনি সমিতিও উপকৃত হয়।
২০২২ সালের ৯-২৩ জুন সেবাপক্ষে যে সকল সুবিধা রয়েছে: ক) খেলাপী ঋণ এককালীন পরিশোধে ১০০% জরিমানা মওকুফ করা হবে। খ) মেয়াদ উত্তীর্ণ ঋণ সম্পূর্ণ পরিশোধ করলে হিসাব বন্ধ করা সাপেক্ষে সম্পূর্ণ জরিমানা ও সুদের ২৫% মওকুফ করা হবে গ) মৃত: ব্যক্তিদের সম্পূর্ণ ঋণ পরিশোধ করলে সম্পূর্ণ জরিমানা ও সুদের ৩০% মওকুফ করা হবে। ঘ) আমানতের বিপরীতে ঋণের সুদ ২.৫% থেকে কমিয়ে সুদ ২% করা হবে। ঙ) ঋণ খেলাপী সদস্য রিফান্ড বেইজ পদ্ধতিতে ঋণ পরিশোধ করার সুবিধা পাবেন। চ) এই সময় যারা এমএফএস ইউজার ও পিবিএস হিসাব খুলবেন তাদের লটারীর মাধ্যমে পুরস্কার প্রদান করা হবে (পূর্বের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে)।