শিরোনাম :
সেবাপক্ষ সদস্যদের বিশেষ সন্তুষ্টি এবং সুযোগ গ্রহণের সময় : সেবাপক্ষ-২০১৮
সদস্যদের বিশেষ সুযোগদান এবং সন্তুষ্ঠি প্রদানের লক্ষ্যে প্রতি বছরের মতো এবারও ঢাকা ক্রেডিটে শুভ সূচনা হলো সেবাপক্ষ।
শনিবার (২ জুন) ঢাকা ক্রেডিট বিকে গুড কনফারেন্স হলে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাকা ক্রেডিটের ভাইস-প্রেসিডেন্ট শীরেন সিলভেষ্টার গমেজের সভাপতিত্বে সেবাপক্ষের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসবি ঢাকার বিশেষ পুলিশ সুপার (প্রশাসন) প্রলয় চিসিম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ঢাকা ক্রেডিটের সেক্রেটারি পংকজ গিলবার্ট কস্তা।
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের ট্রেজারার বিপুল লরেন্স গমেজ, দি সেন্টাল এসোসিয়েশন অব খ্রিষ্টান কো-অপারেটিভস্ (কাককো) লি:এর চেয়ারম্যান নির্মল রোজারিও, ডিরেক্টর পিটার গোমেজ, পিটার রতন কোড়াইয়া, রূপন পিউরিফিকেশন, পাপিয়া রিবেরু, নিলু জন চাম্বুগং, আনন্দ ফিলিপ পালমা, ক্রেডিট কমিটির চেয়ারম্যান সলোমন আই. রোজারিও, প্রত্যেশ রাংশা, সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য মানিক লরেন্স রোজারিও এবং অবিনাশ নকরেক, সেক্রেটারি জেনারেল হেমন্ত আই. কোড়াইয়া, ঢাকা ক্রেডিটের প্রাক্তন ভাইস-প্রেসিডেন্ট বেঞ্জামিন গমেজ, উপদেষ্টা রুবেন গনসালভেস, উপদেষ্টা রুবেন গমেজসহ আরো উপদেষ্টা, ঢাকা ক্রেডিটের কর্মকর্তা, কর্মী এবং সদস্যরা।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘ঢাকা ক্রেডিট প্রতি বছর ১-১৫ জুন সেবাপক্ষ পালন করে আসছে। মূলত সেবাপক্ষ সদস্যদের বিভিন্ন সুবিধা প্রধাদসহ কর্মীদের সবোর্চ্চ সেবারমান বাস্তবায়ন করা হয়। বিশেষ করে যারা দীর্ঘদিন ঋণ খেলাপি হয়ে আছেন, তারা ইচ্ছে করলে সেবাপক্ষের সুযোগ গ্রহণ করে বিশেষ সুবিধা নিয়ে ঋণখেলাপির কবল থেকে সহজেই মুক্তি পেতে পারেন।’
‘ঢাকা ক্রেডিটের কর্মীরা সবসময়ই মানসম্পন্ন সেবা দিয়ে থাকেন। এরপরও সেবাপক্ষের সময় তাদের সবোর্চ্চ সেবারমান প্রদান করে থাকেন। যদি কখনো কোনো সদস্য কর্মীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে, তাহলে কর্মীদের কাছে ভাল সেবা পাওয়ার আশা করা যায় না। কর্মীদেরও যোগ্য সম্মান দেওয়া উচিত। যদি কোনো কর্মীকে তুই-তুমি বলে সম্বোধন করি, তাহলে তাকে ছোট করা হয় এবং তার কাছে সম্মান পাওয়ার আশা করা যায় না। আবার কর্মীদেরও সদস্যদের সম্মান দিয়ে তাদের সেবা প্রদান করা প্রয়োজন। কোনো সদস্য সমস্যায় পড়লে তাকে সঠিক পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করতে হবেন’ বলেন বক্তারা।
ঢাকা ক্রেডিটের সেবাপক্ষের সুবিধা গ্রহণ করে সদস্যরা লাভবান হবেন এবং সমিতির সমৃদ্ধিতে অংশীদার হবেন বলে বক্তারা আশা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, সেবাপক্ষের সুবিধা গ্রহণ করে খেলাপি ঋণ এককালীন পরিশোধ করলে সদস্যরা ১০০% জরিমানা মওকুফ করা হয়। খেলাপি ঋণের সম্পূর্ণ বকেয়া টাকা পরিশোধ করলে ৫০% জরিমানা মওকুফ, খেলাপি ঋণ পুনঃতফশীল করলে ৫০% জরিমানা মওকুফ করা হবে যা ঋণ পরিশোধের শেষ কিস্তিতে সমন্বয় করা হবে। এ ছাড়াও খেলাপি ঋণে বকেয়া সুদ ও জরিমানা ফ্রিজ করে রেখে চলতি মাসের সুদ ও সদস্যদের সামর্থ্য অনুযায়ী কিস্তি প্রদান এবং রিলিজের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ঋণের অংশ নিয়ে রিলিজ করা যাবে।
আরবি.এসআর. ২ জুন ২০১৮