ঢাকা ,
বার : সোমবার
তারিখ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ৯ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা ঢাকা ক্রেডিট সেবার দরজা খোলা : ঢাকা ক্রেডিটের সেবা পক্ষ- ২০১৭

সেবার দরজা খোলা : ঢাকা ক্রেডিটের সেবা পক্ষ- ২০১৭

0
963

ঢাকা ক্রেডিটের বোর্ড সদস্য এবং কর্মী মিলে সাধারণ সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে এক সাথে এগিয়ে যেতে হবে, তাহলে ক্রেডিট উন্নতি করবে বলে ঢাকা ক্রেডিটের সেবা পক্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন ঢাকা ক্রেডিটের কর্ণধার প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ।

১ জুন (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায়, বিকে গুড কনফারেন্স হলে ঢাকা ক্রেডিটের সেবাপক্ষের উদ্বোধন করা হয়। প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দি সেন্ট্রাল এসোসিয়েশন অব খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভস (কাক্কো) লিমিটেড এর চেয়ারম্যান তথা বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের উপদেষ্টা পাস্টর আনোয়ার হোসেন, মিসেস হেলেন রোজারিও, মিসেস দিপ্তী ক্লারা রড্রিক্স, মি. পল মিস্ত্রী, ডা. রবার্ট ডি’ ক্রুজ ও প্রাক্তন সেক্রেটারি হেমন্ত আই. কোড়াইয়া। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের ভাইস-প্রেসিডেন্ট শীরেন সিলভেস্টার গমেজ, সেক্রেটারি পংকজ গিলবার্ট কস্তা, বোর্ড সদস্য, উপদেষ্টা কমিটির সদস্য, নারাী কমিটির সদস্যসহ বিভিন্ন কমিটির সদস্য, কর্মী এবং সাধারণ সদস্য।

সভাপতির বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট মার্কুজ বলেন, ‘বোর্ড, কর্মী এবং সাধারণ সদস্যদের মাধ্যমে একটি টিম নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। বর্তমানে ঢাকা ক্রেডিটসহ সকল ক্রেডিটেই একটি ব্যধি দেখা দিয়েছে, যা হলো ঋণখেলাপি ব্যধি। তাই সেবা পক্ষের মাধ্যমে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে ঋণখেলাপিদের ক্রেডিটমুখী করার প্রয়াস নেওয়া হয়। এছাড়াও সেবা পক্ষে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়।’

unnamedঋণ খেলাপি নিয়ে প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, ‘ঋণখেলাপি নিয়ে আমরা ঝুঁকিতে রয়েছি। যেকোনো মূল্যে আমাদের তা প্রতিহত করতে হবে। একটি মহল বিভিন্নভাবে ক্রেডিটের উন্নয়নকে প্রতিহত করতে চায়, যারা বেশির ভাগই ঋণখেলাপি। অনেকেই রয়েছেন যারা ঋণের টাকা ফেরত দিতে পারে, কিন্তু দিচ্ছেন না।’

তিনি আরো বলেন, আপনারা বিভিন্নভাবে অবগত রয়েছেন, আমরা কৌশলগত কর্মপরিকল্পনায় যে সকল পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি, তার বেশিরভাবই পূরণ হয়েছে।

ক্রেডিট থেকে সরকারের প্রস্তাবিত ১৫ শতাংশ ট্যাক্সের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট মার্কুজ বলেন, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বাজেটে সমবায়ের উপর যে ১৫ শতাংশ ট্যাক্সের কথা উল্লেখ করেছেন, তা গৃহীত হলে ঢাকা ক্রেডিটসহ দেশের সকল ক্রেডিটের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। তাই সকল ক্রেডিটকে এক জোট হয়ে এ বিষয়ে আন্দোলনে যেতে হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে নির্মল রোজারিও বলেন, সদস্যরা ভোট দিয়ে বোর্ডকে দায়িত্ব দিয়েছে। তাই সদস্যদের সেবা নিশ্চিত করতে হবে। সেবা পক্ষে সেবার মান বৃদ্ধি করাই হবে সেবা পক্ষের মানদন্ড।

রোজারিও আরো বলেন, ঢাকা ক্রেডিটকে এমন একটি স্থানে নিয়ে যেতে হবে যেখানে ঢাকা ক্রেডিট নেতৃত্ব দিবে।

সেবা পক্ষ নিয়ে তিনি বলেন, পূর্বে কর্মী এবং বোর্ড সদস্যদের নিয়ে অনেক অভিযোগ পাওয়া যেত, কিন্তু এখন আর এসব হয় না। বিভিন্ন উন্নয়ন এবং সেবা পক্ষের কার্যক্রমের মাধ্যমে সবকিছু পরিবর্তন হয়েছে। তাই সকলের উচিত সেবা পক্ষের সর্বোচ্চ সেবার অনুকরণ করে সারা বছর সেই মতো সেবা প্রদান করা। এতে সাধারণ সদস্যদেরও এগিয়ে আসতে হবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেন, সেবা পক্ষের কারণে আচরণগত এবং পদ্ধতিগত অনেক পরিবর্তন হয়েছে। সেবা পক্ষ সব সময় ক্রেডিটের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসে।

ঋণ খেলাপি নিয়ে তারা বলেন, যারা ঋণ নিয়ে বাড়ি-গাড়ি করেন এবং পরে ঋণ ফেরত দেন না, তার চেয়ে লজ্জাজনক কিছু নেই! আমাদের উচিত সেবা পক্ষের সুযোগগুলো কাজে লাগিয়ে ঋণখেলাপির দায় এড়ানো। এছাড়াও সেবা পক্ষের সর্বোচ্চ সেবা নেওয়া সকল সদস্যের অধিকার।

অনুষ্ঠানে ফুলের মালা কেটে সভাপতি, প্রধান অতিথি এবং অন্যান্য অতিথিবৃন্দ সেবা পক্ষের উদ্বোধন করেন।

সেবা পক্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন ঢাকা ক্রেডিটের সেক্রেটারি পংকজ গিলবার্ট কস্তা। ধন্যবাদ জানানোর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন ভাইস-প্রেসিডেন্ট শীরেন সিলভেস্টার গমেজ।

আরবি/আরপি/ ১জুন, ২০১৭