শিরোনাম :
সোলার এলইডি সড়কবাতি জ্বলবে ৮ সিটি করপোরেশনে
কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করে বিদ্যুতের বিকল্প উৎস ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দীর্ঘ পাঁচবছর পর অবশেষে দেশের আট সিটি করপোরেশনের সড়কে সোলার এলইডি সড়কবাতি স্থাপন করতে যাচ্ছে সরকার।
সোডিয়াম সড়কবাতির স্থলে বিদ্যুৎসাশ্রয়ী সোলার সড়কবাতি স্থাপন করা হবে। সৌরশক্তি কাজে লাগিয়ে পরিবেশবান্ধব টেকসই বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে জ্বলবে এসব সড়কবাতি।
বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল ও রংপুর সিটি করপোরেশনে এই উদ্যোগ নেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে প্রতি সিটি করপোরেশনের ২০ কিলোমিটার সড়কে বসবে সোলার এলইডি সড়কবাতি। পাশাপাশি ২০০ কিলোমিটার সড়কে নন-সোলার এলইডি সড়কবাতি স্থাপনও করা হবে।
কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কে (গাজীপুর) এক কোটি ৯৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৯৬টি সোলার সড়কবাতি স্থাপন করা হয়েছে। একই আদলে দেশের এসব সিটি করপোরেশনের সড়কে সোলার সড়কবাতি স্থাপিত হবে।
‘সোলার স্ট্রিট লাইটিং প্রোগ্রাম ইন সিটি করপোরেশন’ প্রকল্পের আওতায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ২২২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
প্রকল্পের আওতায় ২০১৭ সালের জুন মাসের মধেই সোলার এলইডি সড়কবাতি স্থাপন শেষ হবে। সেই লক্ষ্যে ১ হাজার ৪৫২ সেট সোলার এবং ১৩ হাজার ৪৩১ সেট এলইডি বেজড সোলার সড়কবাতি কেনা হবে। তবে কোন কোন সিটি করপোরেশনের আওতায় কতটি স্ট্রিট লাইট স্থাপন করা হবে তার কোনো নির্দিষ্ট তালিকা এখনও করা হয়নি। তবে সিটি করপোরেশনের প্রয়োজন অনুযায়ী এলইডি সড়কবাতিগুলো স্থাপিত হওয়ার কথা রয়েছে।
আগামী একবছরের মধেই সব সিটি করপোরেশনের ২০ কিলোমিটার সড়কে বসবে এলইডি সড়কবাতি। প্রকল্পটি পাঁচবছর আগে শুরু হয়েছিলো। অর্থায়নসহ নানা কারণে প্রকল্পের অগ্রগতি হতাশাব্যাঞ্জক ছিলো। তবে এবার তা বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিলো ২০১২ সালের জানুয়ারিতে। প্রকল্পের আওতায় এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ১৫৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা ঋণ দিচ্ছে। এ ঋণ পেতে দেরি হওয়ায় থেমে ছিলো প্রকল্পটি। বর্তমানে ঋণটি পাওয়া গেছে। ফলে প্রকল্পটি এক বছরের মধেই বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং গবেষণা ও উন্নয়ন পরিদফতর।
আটটি লটে সোলার এলডটি সড়কবাতির সেটগুলো কেনা হবে। পরে সিটি করপোরেশনগুলোর সহায়তায় তা স্থাপন করা হবে। সড়কবাতিগুলো হবে একটি পরিপূর্ণ সেট। এলইডি লাইট, খুঁটি, সোলার, সৌরশক্তিচালিত ডিভাইস ও সহজে বহনযোগ্য আয়তাকার আকারের সোলার প্যানেল। প্রতি সেটের খরচ বাবদ ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ হতে পারে।
এতে আরও থাকবে রিচার্জেবল লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি এবং সোলার প্যানেলের মাধ্যমে ব্যাটারিটি সূর্যালোকের পাশাপাশি মাইক্রোইউএসবি পোর্টের মাধ্যমেও চার্জ করার ব্যবস্থা।
সড়কবাতিগুলোতে মধ্যরাতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আলোর তীব্রতা কমিয়ে ড্রিম লাইটে পরিণত করার ব্যবস্থাও থাকবে বলে জানা যায়।
আরবি/এসএন/আরপি/৯ জানুয়ারি, ২০১৭