ঢাকা ,
বার : সোমবার
তারিখ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ৯ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা দেশ হলি আর্টিজান মামলায় ৭ জঙ্গির ফাঁসির রায়

হলি আর্টিজান মামলায় ৭ জঙ্গির ফাঁসির রায়

0
275

ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল বুধবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।

২০১৬ সালে ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার মামলায় সাতজন জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ঢাকার একটি বিশেষ আদালত।

যাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে তারা হলেন: জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজিব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে রাশ, সোহেল মাহফুজ ওরফে হাতকাটা মাহফুজ, হাদিসুর রহমান সাগর, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, মামুনুর রশিদ রিপন এবং শরিফুল ইসলাম খালিদ।

মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান নামে অভিযুক্ত আরেকজনকে খালাস দিয়েছে আদালত।

রায় ঘোষণার সময় বিচারক বলেছেন, ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্য-ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠির দৃষ্টি আকর্ষণ করা এবং জনমনে ভয় তৈরি করার জন্য ওই হামলা চালানো হয়েছিল বলে আদালত উল্লেখ করেছে।

এই রায় ঘোষণোকে কেন্দ্র করে নাশকতার আশংকায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় গোয়েন্দা নজরদারী বাড়ানো হয়েছে।

তিন বছর আগে ২০১৬ সালের ১লা জুলাই রাতে ঢাকার গুলশানে অভিজাত রেস্তোরাটিতে জঙ্গিদের হামলায় ১৮ জন বিদেশি নাগরিকসহ ২২ জন নিহত হয়।

নিহতদের মধ্যে নয় জন ইতালির, সাত জন জাপানের, তিন জন বাংলাদেশী, যাদের একজনের দ্বৈত নাগরিকত্ব ছিল এবং এক জন ভারতীয় নাগরিক। এছাড়া দুইজন পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হয়েছিলেন জঙ্গিদের গুলিতে।

হামলার উদ্দেশ্য

দুই বছরের বেশি সময় ধরে তদন্তের পর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র দেন।

সেখানে বলা হয়, হলি আর্টিজানে হামলার পেছনে মূলত তিনটি উদ্দেশ্য ছিল জঙ্গিদের। ১. কূটনৈতিক এলাকায় হামলা করে নিজেদের সামর্থ্যের জানান দেওয়া; ২. বিদেশি নাগরিকদের হত্যা করে নৃশংসতার প্রকাশ ঘটানো এবং ৩. দেশে বিদেশে গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার পাওয়া এবং বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা।

হামলা : এক নজরে

হামলা১ জুলাই, ২০১৬ , রাত পৌনে ৯টা।

হামলাস্থল: গুলশান দুই নম্বরের ৭৯ নম্বর সড়কের পাঁচ নম্বর বাড়ির হলি আর্টিজান বেকারি।

হামলাকারী: মীর সামেহ মোবাশ্বের, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ ওরফে মামুন, নিবরাজ ইসলাম, খায়রুল ইসলাম পায়েল ও শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল। (সবাই অভিযানে নিহত)।

হামলায় নিহত: বিদেশিদের মধ্যে ৯ জন ইতালীয়, ৭ জন জাপানি, একজন ভারতীয় নিহত হন। নিহত বাংলাদেশিরা হলেন ইশরাত আকন্দ, ফারাজ আইয়াজ হোসেন ও অবিন্তা কবীর।

নিহত পুলিশ কর্মকর্তাঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম এবং বনানী থানার ওসি মো. সালাহউদ্দিন খান।

জীবিত উদ্ধার: ভোরে কমান্ডো অভিযান শেষে জীবিত উদ্ধার করা হয় নারী-শিশুসহ ১৩ জনকে।

বিচার: এক নজরে

মামলা দায়ের২০১৬ সালের ২ জুলাই, সন্ত্রাস দমন আইনে, গুলশান থানায়।

মামলাকারী: গুলশান থানার এসআই রিপন কুমার দাস।

তদন্তকারীকাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির।

জিজ্ঞাসাবাদ: জিম্মি অবস্থা থেকে উদ্ধার হাসনাত রেজাউল করিম ও তাহমিদ হাসিব খানকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও পরে আসামি করা হয়নি।

অভিযোগপত্র দাখিল: ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই। হামলায় জড়িত মোট ২১ জনকে চিহ্নিত করা হলেও জীবিত আটজনকেই কেবল আসামি করা হয়।

হামলায় জড়িত, অভিযানে নিহততামিম আহমেদ চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মারজান, সরোয়ার জাহান, তানভীর কাদেরী, বাশারুজ্জামান চকলেট, মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, মিজানুর রহমান ছোট মিজান ও রায়হানুল কবির রায়হান।

স্বীকারোক্তি: ৬ আসামি দিয়েছেন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি। দেননি শরিফুল ও মামুনুর।

অভিযোগ গঠন২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর, ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে।

সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু: ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর। প্রথম সাক্ষ্য দেন বাদী এসআই রিপন।

সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ: ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর।

রায়ের তারিখ ঘোষণা২০১৯ সালের ২৬ নভেম্বর।