শিরোনাম :
হাজারো ভক্ত সমাগমে কাতুলীতে সাধু আন্তনীর তীর্থোৎসব অনুষ্ঠিত
কামনা কস্তা || পাবনা
প্রতিবারের ন্যায় এবার ও পাদুয়ার সাধু আন্তনীর প্রতি বিশ্বাস ও ভক্তিতে অনুষ্ঠিত হলো মথুরাপুর ধর্মপল্লীর কাতুলীতে সাধু আন্তনীর তীর্থোৎসব।
২২ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) আন্তনী ভক্তগণ পাদুয়ার আন্তনীর পর্ব পালনে অংশগ্রহণ করে।দূর দুরান্ত থেকে পর্বীয় খ্রীষ্টযাগে খ্রিষ্টভক্তগণ অংশ নেয়।পর্বীয় খ্রীষ্টযাগ অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে নয়টায়। পর্বীয় খ্রীষ্টযাগে প্রধান পৌরহিত্য করেন রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের বিশপ জের্ভাস রোজারিও। খ্রীষ্টযাগে উপদেশে বিশপ জের্ভাস বলেন, “আজকে আমরা আমাদের ভক্তি, শ্রদ্ধা ও মানত সাধু আন্তনীর নিকট নিবেদন করতে এসেছি, যেন আমাদের কল্যাণ হয়। সাধু আন্তনী সব মানুষের প্রতি সদয় ছিলেন। তার অলৌকিক কর্মসাধনের উদ্দেশ্য নিজেকে গৌরবানিত্ব করা নয়। তার উদ্দেশ্য ছিল যেন মানুষ ঈশ্বরের প্রশংসা ও গৌরব করে। তাই আমরা যারা এখানে সমবেত হয়েছি আমাদের এটাই গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা যেন সাধু আন্তনীর আর্দশ ধারণ করতে পারি।”
মথুরাপুর ধর্মপল্লীর পাল পুরোহিত ফাদার দিলীপ এস কস্তা বলেন, ” কাতুলী নিভৃত পল্লীতে সাধু আন্তনীর তীর্থস্থান এক সময় হয়ে উঠবে অনেক বড় তীর্থস্থান। এজন্য প্রয়োজন আমাদের একান্ত বিশ্বাস ও সাধু আন্তনীর উপর নির্ভরতা। আমাদের প্রার্থনা, বিশ্বাস ও সাধু আন্তনীর নিত্য অনুগ্রহের মাধ্যমে তা সম্ভব হয়ে উঠবে।”
তীর্থোসবে আন্তনী ভক্তরা বিভিন্ন মানত পূরণ, সুস্থতা লাভ, পরিবারের সুখ-শান্তি,হারানো জিনিস ফিরে পাওয়া এসব উদ্দেশ্য নিয়ে প্রার্থনা করেন। এছাড়া মোমবাতি, বিস্কুট, অর্থ সাধু আন্তনীর পদতলে উৎসর্গ করে বিশ্বাসের গভীরতার সাক্ষ্য দেয়। পর্বীয় খ্রিষ্টযাগে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের বিশপ জের্ভাস রোজারিও,রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের ভিকার জেনারেল ফাদার পল গমেজ, কারিতাস রাজশাহী অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক সুক্লেশ জর্জ কস্তা, মথুরাপুর ধর্মপল্লীর পাল পুরোহিত ফাদার দিলীপ এস কস্তা, বিভিন্ন ধর্মপল্লীর ফাদার – সিস্টারগণ এবং আন্তনী ভক্তজনগণ।
পর্বে অংশগ্রহণকারী স্কলাস্টিকা কস্তা(৫৫) বলেন, প্রতিবারই আসি সাধু আন্তনীর তীর্থে। সাধু আন্তনীর মধ্যস্ততায় প্রার্থনা করি ছেলেমেয়েরা ঢাকায় থাকে যেন তারা সুস্থ শরীরে থাকে। পরিবারে সবাই যেন ভালো থাকি। ২০০৪ সালে মথুরাপুরের কাতুলীতে এ তীর্থের যাত্রা শুরু হয়।সময়ের সাথে সাথে এ তীর্থস্থানের পরিধি যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে তেমন বিশ্বাসের তীর্থযাত্রায় ও হয়েছে সমৃদ্ধ।