শিরোনাম :
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের ১০ম ত্রি-বার্ষিক জাতীয় সম্মেলন
ডিসিনিউজ ।। ঢাকা
শুরু হলো হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের ১০ম ত্রি-বার্ষিক জাতীয় সম্মেলন।
৭-৮ জানুয়ারি ঢাকার শাহবাগে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘অস্তিত্বের লড়াইয়ে আসুন, সবাই ঐক্যবদ্ধ হই’ শ্লোগানে এবার ঐক্য পরিষদের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
৭ জানুয়ারি বর্ণাঢ্য সাজে উদ্বোধন করা হয় এই জাতীয় সম্মেলন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন জাতীয় সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি নির্মল রোজারিও, ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক, সাধারন সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত, সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত আই. কোড়াইয়া, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রী কমিটির নির্বাহী সদস্য উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং প্রমুখ।
দেশের বিভিন্ন জেলার শাখা সংগঠনগুলো জাতীয় সম্মেলনে দলে দলে যোগ দেয়। সকালে তেজগাঁও র্চাচ কয়ারের জাগরণের গান দিয়ে পরিষদের কার্যক্রম শুরু হয়।
সকাল ১০ টায় উদ্বোধক অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন ও অতিথিবৃন্দরা জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা ও সাংগাঠনিক পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে এবং প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন ১০ম বার্ষিক সাধারণ সভার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এরপর এক বর্ণাঢ্য র্যালী অনুষ্ঠিত হয়।
উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, ‘৭২-এর সংবিধানে একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশের কথা বলা হয়েছে। স্বৈরাচারী সরকার এসে বঙ্গবন্ধুর প্রণীত গণতান্ত্রিক সংবিধানের পরিবর্তে ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা শুরু করেছে। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকার এসে ৭২-এর সংবিধান পুনঃস্থাপন করলেও ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র রয়েই গেছে। সংবিধানে ইসলাম রাষ্ট্র ধর্ম এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুরাও ধর্ম পালন করতে পারবে বলে উল্লেখ রয়েছে, কিন্তু তা হলো কৃপা করার মতো। ধর্ম হলো ব্যক্তিগত বিষয়, তা রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দিয়ে ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র করা উচিত নয়। তাই পূর্ণাঙ্গভাবে আমাদের ৭২-এর সংবিধানে ফিরে গিয়ে অসাম্প্রদায়িক দেশ করতে হবে।’
জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন ও বৈষম্যবিলোপ আইন প্রনয়ণ করা, বঙ্গবন্ধুর ৭২-এর সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা, পার্বত্য শান্তিচুক্তি দ্রæত বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে জাতীয় সম্মেলনে পরিষদের নেতারা সোচ্চার ছিলেন।
এ ছাড়াও বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটি ও বিভিন্ন শাখার নেতৃবৃন্দ এই সম্মেলনে যোগ দিয়ে একাত্মতা প্রকাশ করেন।