শিরোনাম :
১০১তম আন্তর্জাতিক সমবায় দিবস ২০২৩ উপলক্ষে আলোচনা সভা
ডিসিনিউজ।। ঢাকা
৯ জুলাই, সমবায় অধিদপ্তরে ১০১তম আন্তর্জাতিক সমবায় দিবস ২০২৩ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক ড. তরুণ কান্তি শিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব স্বপন ভট্টাচার্য্য এমপি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব জনাব মোসাম্মৎ হামিদা বেগম, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব জনাব সত্যজিত কর্মকার, বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড (মিল্কভিটা) -এর চেয়ারম্যান শেখ নাদির হোসেন লিপু, বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় ইউনিয়নের সভাপতি জনাব মহিউদ্দিন আহমেদ ও সমবায় অধিদপ্তরের অতিরিক্ত নিবন্ধক জনাব আহসান কবির। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রাক্তন সচিব ও সমবায় নিবন্ধক জনাব মো. হুমায়ুন খালিদ।
আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ খ্রিষ্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি নির্মল রোজারিও, ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া, সেক্রেটারি মাইকেল জন গমেজ, ডিরেক্টর প্রত্যেশ রাংসা, নিরাপদ হালদার, মনোজ ক্লেমেন্ট গমেজ, ক্রেডিট কমিটির চেয়ারম্যান বার্নার্ড পংকজ ডি’রোজারিও, সদস্য উমা ম্যাগডেলিন গমেজ, বকুল রোজারিও, সুপারভাইজরি কমিটির সেক্রেটারি সুহৃদ গমেজ, সদস্য মারিয়া ডি’কুনা, মলয় নাথ, বারিধারা মহিলা সমবায় সমিতি লি: এর সাবেক সভানেত্রী গোলাপ ভানু, সমবায় অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন সমবায় সমিতি থেকে আগত প্রতিনিধিবৃন্দ এবং ঢাকা ক্রেডিটের কর্মীবৃন্দ।
প্রধান অতিথি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব স্বপন ভট্টাচার্য্য এমপি বলেন, “এখানে সমবেত সকল সমবায়ী ভাই-বোনদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। মূলত সমবায় নিয়ে বঙ্গবন্ধুর যে চিন্তা-ভাবনা ছিল আমরা শুধু তা অনুসরণ করি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রহমান দুটি লক্ষ্য নিয়ে সংগ্রাম ও আন্দোলন করেছেন। একটি হচ্ছে বাঙ্গালী জাতি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে এবং অন্যটি তার সংস্কৃতি তার চেতনা ও আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হবে। তিনি যে পন্থাগুলো অবলম্বন করেছিলেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল সমবায়ের মাধ্যমে মানুষকে একত্রিত করা। সমবায়ের মাধ্যমে অর্থনৈতিক মুক্তি আনা এবং কৃষিকে সমবায় এর মাধ্যমে কৃষকদের স্ব-নির্ভর করা। এই সমবায় আইনকে সংস্কার করার জন্য আমরা দীর্ঘ দুইবছর চেষ্টা করেছি। আমাদের সমবায়ের যে নিয়ম ছিল যুগের পরিবর্তন এর সাথে সাথে সেগুলো পরিবর্তন হওয়া দরকার। সমবায় হচ্ছে আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তিদাতা এই কথাটি আমাদের মন থেকে মানতে হবে। খ্রিষ্টানদের দ্বারা পরিচালিত সমবায়গুলো কিন্তু ভালোভাবে চলছে। অর্থবিলে সমবায়কে কোম্পানী আইনে ফেলা হয়েছে যার ফলে আরো ২৭.৫% ট্যাক্স দিতে হবে, এই ব্যাপারে আমরা কাজ করছি। আমরা লিখিতভাবে এই ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীকে জানিয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে জানিয়েছেন যে বাজেট পাস হওয়া মানেই যে তা পরিবর্তনশীল নয়, তা নয়। জনস্বার্থে যদি এগুলো প্রত্যাহার করতে হয়, আমরা যাচাআ-বাছাই করে তা অর্ডিনেন্স এর মাধ্যমে প্রত্যাহার করার সুযোগ রয়েছে বলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন। ”
ঢাকা ক্রেডিটের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এবং বাংলাদেশ খ্রিষ্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও বলেন, “ আমাদের সমবায়ের অবারিত সম্ভাবনা রয়েছে এবং এই সমবায়ের মাধ্যমেই কিন্তু আমরা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে বদলে দিতে পারি। আমরা যদি নিষ্ঠার সাথে কাজ করি এবং সেই সততা যদি আমাদের মধ্যে থাকে, আমরা বাংলাদেশের সমবায় আন্দোলনকে আরো বেগবান করতে পারবো। সমবায় আইন অনুসারে সমিতির নীট লাভের ১৫% সংরক্ষিত তহবিল, ৩% সমবায় উন্নয়ন তহবিল ও ১০% কুঋণ তহবিলে স্থানান্তর করতে হয়। এর পর ২০১৫ সালে সমবায়ের উপর ১৫% আয়কর যুক্ত করা হয়েছিল। আমরা তার বিরোধিতা করেছিলাম, কিন্তু সে কর এখনো বহাল আছে। এখন অর্থবিলে সমবায়কে কোম্পানী আইনে ফেলা হয়েছে যার ফলে আমাদের আরো ২৭.৫% ট্যাক্স দিতে হবে। ফলে সমবায় মুখ থুবরে পড়বে। এর মাধ্যমে সদস্যদের আমরা কম লাভ দিতে পারবো, এর মাধ্যমে তারা সমবায়ে টাকা রাখতে নিরুৎসাহিত হবে। সদস্যরা যদি সমবায়ে নিরুৎসাহিত হয় তাহলে তাদের নিয়ে সমবায় আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে না।”