শিরোনাম :
২৩তম জলবায়ু সম্মেলন সামনে রেখে সনাকের সম্মেলন এবং মানববন্ধন
জলবায়ু অর্থায়নে সমতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, সংগতি, জনঅংশগ্রহণ এবং শুদ্ধাচার নিশ্চিতে টিআইবি’র প্রস্তাবসমূহ বিবেচনার দাবি নিয়ে সনাক মধুপুরে ২৩ তম জলবায়ু সম্মেলন এবং মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
২৯ অক্টোবর, সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) মধুপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন আনারস চত্বরে আগামী ৬-১৭ নভেম্বর জার্মানির বন শহরে দ্বীপরাষ্ট্র ফিজি’র সভাপতিত্বে ২৩তম জলবায়ু সম্মেলন (কপ২৩) সামনে রেখে এই সম্মেলন এবং মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
টিআইবি’র দাবি সমূহ উপস্থাপন করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও বাংলাদেশ সরকারে প্রতি আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, অগ্রসর অর্থনীতি’র দেশগুলোর প্রস্তাবিত ‘১০০ বিলিয়ন ডলার এর রুপরেখা’য় অভিযোজনকে অগ্রাধিকার দিয়ে উন্নয়নশীল দেশসমূহের চাহিদাকে অগ্রাধিকার দেওয়া এবং জলবায়ু তহবিল বরাদ্দে অভিযোজন ও প্রশমন বাবদ অনুমোদিত ৫০:৫০ অনুপাত বজায় রাখতে হবে। জলবায়ু-তাড়িত বাস্তুচ্যুতদের পুনর্বাসন, কল্যাণ এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিশ্চিতে জিসিএফ এবং অভিযোজন তহবিল থেকে বিশেষ তহবিল বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়া এলাকা-ভিত্তিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব যাচাই এবং প্রাপ্ত বৈজ্ঞানিক তথ্যের ভিত্তিতে চাহিদা অনুযায়ী উন্নয়ন সহযোগী দেশসমূহের সরকারি উৎস হতে অনুদানকে অগ্রাধিকার দিয়ে ২০৩০ পর্যন্ত অর্থায়নের রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে; দূষণকারী কর্তৃক ক্ষতিপূরণ প্রদান’ নীতি বিবেচনা করে ঋণ নয়, শুধু সরকারি অনুদান, যা উন্নয়ন সহায়তার ‘অতিরিক্ত’ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে; জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ন্যূনতম পর্যায়ে পরিকল্পিত কার্যক্রম বাস্তবায়নে বিসিসিটিএফ এবং বিসিসিআরএফ এ উন্নয়ন সহযোগী দেশসমূহের প্রয়োজনীয় তহবিল বরাদ্দ অব্যাহত রাখতে হবে এবং সরকারি, বেসরকারি, এনজিও, সুশীল সমাজ এবং বিশেষজ্ঞসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে জিসিএফ সংক্রান্ত কার্যক্রমের জন্য নির্দিষ্ট বিভাগ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সর্বোপরি মানববন্ধনে প্যারিস চুক্তিতে প্রস্তাবিত স্বচ্ছতা কাঠামোর আওতায় জলবায়ু তহবিলের চাহিদা এবং যোগানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা তথা ‘সামগ্রিক সুশাসন’ এর ওপরে গুরুত্বারোপ করা হয়।
সনাক সভাপতি ডা. মীর ফরহাদুল আলম মনি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এসময় সমাজের বিভিন্ন পেশার নাগরিকগণ অংশগ্রহণ করেন।
আরবি/আএসআর/৫ নভেম্বর, ২০১৭