শিরোনাম :
২৫শে মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস ঘোষণার দাবীতে ‘স্মরণ ও আলোর মিছিল’
‘বাংলাদেশ কখনোই পাকিস্তানের গণহত্যার দায় ভুলবে না। পৃথিবীতে শুধুমাত্র বাংলাদেশই দেশের জন্য এত প্রাণ দিয়েছে’ বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও। ২৫শে মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস ঘোষণার দাবীতে ‘স্মরণ ও আলোর মিছিলে’ তিনি এ কথা বলেন।
১৯৭১’র ২৫ মার্চের কালো রাত্রি ও গণহত্যা দিবস স্মরণে এবং ২৫শে মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস ঘোষণার দাবীতে ‘স্মরণ ও আলোর মিছিল’ অনুষ্ঠিত।
১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ২৫ মার্চের কালো রাত্রি ও গণহত্যা দিবস স্মরণে এবং ২৫শে মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস ঘোষণার দাবীতে বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশন শনিবার, সন্ধ্যা ৭.০০ টায় মানিক মিয়া এভিনিউর খেজুর বাগানে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে এ ‘স্মরণ ও আলোর মিছিল’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আলোর মিছিলটি বঙ্গবন্ধু চত্ত্বর থেকে শুরু হয়ে বিজয় স্মরণীতে গিয়ে শেষ হয়।
বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন এসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জর্জ রোজারিও, মহাসচিব হেমন্ত আই কোড়াইয়া, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং, ঢাকা মহানগর উত্তর-এর সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল হক জিল্লু, কাওরান বাজার জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মাজহারুল ইসলাম, দি খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি: , ঢাকা-এর সেক্রেটারি পংকজ গিলবার্ট কস্তা। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রার্থনা পরিচালনা করেন রঞ্জন পিউরীফিকেশন এবং মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মাজহারুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে পল্লব গমেজ-এর নেতৃত্বে তেজগাঁও সম্মিলিত গানের দল জাগরণের গান পরিবেশন করে। অনুষ্ঠানে পাঁচ শতাধিক লোক উপস্থিত ছিলো।
অনুষ্ঠানে এসোসিয়েশনের সভাপতি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ ৭১র সকল শহীদদের স্মরণ করছে। আজ আমরা জাতিসংঘের কাছে আবেদন করছি, বাংলাদেশের ৭১র ২৫ মার্চ গণহত্যার দিনকে যেন আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।’ আমরা আজ সকল শহীদদের আত্মার কল্যাণ কামনা করছি।’
অন্যান্য বক্তারা বলেন, ‘ বাংলাদেশ সব সময় অসাম্প্রদায়িক নীতিতে চলে। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশে মুসলমান, খ্রিস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধসহ আদিবাসীরাও নিজেদের জীবন দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছে।’ আমরা আজ এখানে এক হয়েছি পৃথিবী যেন এই দিনটাকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করে।’ জাতিসংঘের নিকট আমাদের আবেদন থাকবে, অচিরেই জাতিসংঘ যেন এই দিনটাকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে ঘোষণা দেয়।
আরবি/ আরএসআর/ ২৫ মার্চ, ২০১৭