শিরোনাম :
৩২ ঘণ্টার চেষ্টার পর নিভল সুন্দরবনের আগুন
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জে ধানসাগর স্টেশনে লাগা আগুন প্রায় ৩২ ঘণ্টা পর নিভেছে।
বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকরি পরিচালক (ডিএডি) মাসুদুর রহমান সরদার জানান, শনিবার বেলা সোয় ৪টার দিকে ধান সাগর স্টেশনের নাংলি টহল ফাঁড়ি এলাকায় লাগা আগুন নিভে গেছে।
নাংলি টহল ফাঁড়ির মাদ্রাসার ছিলা এলাকায় শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে আগুনের ধোঁয়া দেখতে পায় বনকর্মী ও স্থানীয়রা। এর পর স্থানীযদের নিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে বন বিভাগের কর্মীরা।
‘দুই দিন চেষ্টার পর শনিবার বেলা ৪টা ২০ মিনিটে সম্পূর্ণ নিভানো সম্ভব হয়েছে। এখন ওই এলাকার আর কোথাও আগুন বা ধোঁয়া নেই’ বলে জানান ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা মাসুদুর।
আগুন লাগার পর শুক্রবার রাতেই আগুন নিয়ন্ত্রণে ওই এলাকার প্রায় পৌনে ৫ একর এলাকা জুড়ে স্থানীয়দের নিয়ে ফায়ার লাইন (অগভীর নালা) কাটে বন বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা
সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সাইদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, বনকর্মী ও ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি স্থানীয় কয়েকশ মানুষ আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেন।
বিকালে আগুন নিভিয়ে সার্ভিস কর্মীরা বন থেকে বেরিয়ে গেছেন। আগুনের কারণ অনুসন্ধানে চাঁদপাই রেঞ্জ সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. মেহেদীজ্জামান প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি হয়েছে বলে জানান তিনি।
বনের যে অংশে আগুন লেগেছে সেখানে বড় কোনো গাছ নেই। গেওয়া, বলা ও সিংড়াসহ লতাগুল্ম জাতীয় গাছ রয়েছে বলে জানান তিনি।
মাসুদুর রহমান সরদার বলেন, “আগুনের কারণ জানতে বন বিভাগ তদন্ত করছে। তবে আমরা যতদূর জানতে পেরেছি বনের যে এলাকায় আগুন লেগেছে সেখানে মধুসহ কোনো প্রকার বনজ সম্পদ আহরণের অনুমিত নেই।
অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে বন বিভাগ গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের কাছে কোন সহযোগিতা চাইলে করবেন বলেও জানান তিনি।
সূত্রে জানা যায়, গত বছর ২৭ মার্চ থেকে পুরো এক মাস নাংলি ক্যাম্প-সংলগ্ন পচাকোড়ালিয়া, টেংরা ও তুলাতুলী এলাকায় জাল পাতার সুবিধার জন্য অন্তত পাঁচ দফা পরিকল্পিত আগুন দেওয়া হয় বলে সে সময় বন বিভাগের কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন। এ ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করা হয়। মামলাও হয়েছিল।
আরবি/আরপি/ ২৭ মে, ২০১৭