শিরোনাম :
৬২ বছরে ঢাকা ক্রেডিটের অগ্রগতি: ১৯৫৫ থেকে ২০১৭
১৯৫৫ থেকে ২০১৭। মোট ৬২ বছর। এই দীর্ঘ পথচলার মাঝে অর্জিত হয়েছে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন। ঋণ দেওয়া-নেওয়ার মধ্যেই রইল না এই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ।
এই প্রতিষ্ঠানের নানা প্রডাক্টস, নতুন নতুন সেবা ও প্রকল্প সেবার উদ্ভাবন ঘটে। দি খ্রিষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিমিটেড, ঢাকা-এর পরিবর্তে ‘ঢাকা ক্রেডিট’ নামে জনপ্রিয় পরিচিতি লাভ করে। অতীত ও চলমান ব্যবস্থাপনা পরিষদের একনিষ্ঠ শ্রম ও সততার ফলস্বরূপ প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে রয়েছে আটটি নিজস্ব অফিস ভবন, ৭১টি প্রডাক্টস ও সেবা, ১১টি সেবাকেন্দ্র, ১৭টি কালেকশন বুথসহ প্রায় ৪০ হাজার সক্রিয় সদস্য।
৬২ বছরের এই দীর্ঘ ইতিহাসের পরিক্রমায় ঢাকা ক্রেডিটের বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিন বছরের জন্য এই স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। মেয়াদান্তে তিনি ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ জানুয়ারি আবারো ২২ জনের প্যানেলসহ বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়ে পরবর্তী তিন বছরের মেয়াদে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর কার্যকালেই ৪০ হাজার সদস্যের এই মহীরূহ প্রতিষ্ঠান পূর্ণ যৌবনে পদার্পণ করে।
বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিষদের মধ্যে চারজন অফিস বিয়ারার হলেন: প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ, ভাইস-প্রেসিডেন্ট শীরেন সিলভেস্টার গমেজ, সেক্রেটারি পংকজ গিলবার্ট কস্তা, ট্রেজারার বিপুল লরেন্স গমেজ। আটজন ডিরেক্টর হলেন: পিটার গোমেজ, পিটার রতন কোড়াইয়া, রূপন পিউরিফিকেশন, পাপিয়া রিবেরু, নিলু জন চাম্বুগং, উইলসন রিবেরু, আনন্দ ফিলিপ পালমা এবং আলবার্ট আশিস বিশ্বাস।
নির্বাচিত পাঁচজন ক্রেডিট কমিটি সদস্যের মধ্যে চেয়ারম্যান সলোমন আই রোজারিও, সেক্রেটারি সজল যোসেফ গমেজ, সদস্য জেমস নিখিল দাস, ডমিনিক রঞ্জন গমেজ ও প্রত্যেশ রাংসা। সুপ্রাভাইজরি কমিটির পাঁচজন সদস্যের মধ্যে চেয়ারম্যান পূর্ণিমা মারীয়া গমেজ, সেক্রেটারি জন গমেজ, সদস্য ষ্টেলা হাজরা, মানিক লরেন্স রোজারিও ও অবিনাশ নকরেক।
২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ ফেব্রুয়ারি নবগঠিত ব্যবস্থাপনা কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ঢার্কা অবসরপ্রাপ্ত সহকারী বিশপ থিয়োটনিয়াস গমেজ সিএসসি এক জনাকীর্ণ অনুষ্ঠানে তাঁদের শপথ গ্রহণ করান। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন এবং সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। খ্রিষ্টীয় সমাজের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রধান, বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব বিশেষ অতিথি এবং প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা, শুভানুধ্যায়ীসহ অনেকেই এই তাৎপর্যপূর্ণ অনুষ্ঠানে অংশীদার হন।
২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা ক্রেডিট ৬০ বছরে পদার্পণ করায় এ বছরটি ছিল ঢাকা ক্রেডিটের জন্য একটি বিশেষ মাইল ফলক। বছরটি স্মরণীয় করে রাখার জন্য প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজের নেতৃত্বে ৬০ বছরের ডায়মন্ড জুবিলি উদ্যাপন করা হয়। বিভিন্ন ধর্মের ও পর্যায়ের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব/উপদেষ্টা ও শুভাকাঙ্খী এই বর্ণাঢ্য আয়োজনে উপস্থিত থেকে উদ্যাপনকে মহিমান্বিত করেছেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সরকারের সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন এমপি, মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপি এবং সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ।
৫০ জন প্রাথমিক সদস্য ও পঁচিশ টাকা শেয়ার মূলধন নিয়ে ঢাকা ক্রেডিট যাত্রা শুরু করলেও এর বর্তমান সদস্য সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার এবং সম্পদ-পরিসম্পদ প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজার চার্চের জরাজীর্ণ একটি কক্ষে এর যাত্রা শুরু করে বর্তমানে অবস্থান নিয়েছে এর নিজস্ব চমৎকার একটি ভবনে। এর কার্যক্রম ঢাকাকেন্দ্রিক শুরু হলেও বর্তমানে এর কার্যক্রমের ব্যাপ্তি ঘটেছে চারটি জেলায়: ঢাকা, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ ও নারায়নগঞ্জে।
সঞ্চিত অর্থের উপযুক্ত ব্যবহারের জন্য বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটির উদ্যোগে আরম্ভ করা হয়েছে নানা সম্ভাবনাময় লাভজনক প্রকল্প। উল্লেখযোগ্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে: পূর্বাচলের সন্নিকটে নিজস্ব জমিতে ডিসি রিসোর্ট অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার, তারই সন্নিকটে নিজস্ব ২২ বিঘা জমিতে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ঢাকা ক্রেডিট সমন্বিত কৃষিখামার প্রকল্প, ঢাকার মনিপুরীপাড়ায় নিজস্ব ভবনে ডিসি চাইল্ড কেয়ার অ্যান্ড এডুকেশন সেন্টার, ডিসি সিকিউরিটি সার্ভিস, উচ্চশিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির জন্য ঢাকার প্রাণকেন্দ্র সাধনপাড়া ও মনিপুরীপাড়ায় দুটি গার্লস হোস্টেল, শরীরচর্চার জন্য ব্যায়ামাগার বা জীম, প্রধান কার্যালয়ের নিচতলায় ও সাভার সেবাকেন্দ্র সংলগ্ন দুটি বিরাট সমবায় বাজার, নদ্দাতে ঢাকা ক্রেডিট ইউনিয়ন স্কুল, কালচারাল একাডেমি, স্পেশাল ইংলিশ কোর্স ও আইইএলটিএস, বান্দুরা সেবাসেন্টার-গেস্ট হাউস ও কমিউনিটি সেন্টার প্রকল্প,সেলাই প্রশিক্ষণ, কনফেকশনারী প্রশিক্ষণ, চাইনিজ রান্না প্রশিক্ষণ, ম্যাকার্থী লাইব্রেরি, জব লিংকিং সেল, স্বাস্থ্য প্রকল্প, এ্যাম্বুলেন্স সর্ভিস, ইত্যাদি । আরো সম্ভাবনাময় ও উদ্ভবনী প্রকল্পগুলো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পূর্বাচলের সন্নিকটে তেতুইবাড়িতে সদস্যদের মধ্যে প্লট বিতরণের জন্য ঢাকা ক্রেডিট পল্লি স্থাপন করেছে ঢাকা ক্রেডিট।
সদস্যদের ব্যক্তিস্বার্থ ও উন্নয়নের জন্য নানা সুবিধাসম্বলিত প্রডাক্টস বা সেবার সৃষ্টি করা হয়েছে। তার মধ্যে সাধারণ ঋণ, বাড়ি নির্মান ঋণ, ব্যবসায়িক ঋণ, উচ্চশিক্ষা ঋণ, ক্রেডিট সিলিং ঋণ ও শিশু-কিশোরদের জন্য বী-সেভার্স ও স্মার্ট সেভার্স-এর মাধ্যমে মানবোন্নয়নের যাবতীয় সেবার উৎসস্থল হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ঢাকা ক্রেডিট প্রতিষ্ঠান। সদস্যরা এই প্রতিষ্ঠানে সঞ্চয়ী হিসাবসহ নানা রকমের স্থায়ী আমানত করতে পারেন তাদের নিশ্চিত ভবিষ্যত গড়ার মানসে।
ঢাকা ক্রেডিটের নানামুখি সেবা প্রদানের জন্য প্রায় ৭০টি উপ-কমিটি রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে নারীবিষয়ক উপ-কমিটি অত্যন্ত সক্রিয় ও গতিশীলতার স্বাক্ষর রেখে সমাজে অবদান রেখে চলেছে। এই কমিটির কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও ওয়ার্কশপের আয়োজন করা, আন্তর্জাতিক নারী দিবস ও মা দিবস পালনের মাধ্যমে নারী নেতৃত্ব উন্নয়ন ও মায়েদের সন্মাননা প্রদান করা, প্রাক-বড়দিনের আয়োজন করে মা ও শিশুদের বিনোদনের ব্যবস্থা করা, কিশোর-কিশোরীদের সংগঠিত করে জীবনগঠনভিত্তিক নানা সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা, ঢাকা ক্রেডিটের বিভিন্ন ত্রি-বার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে ঢাকা ক্রেডিটের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অবদান রাখাসহ প্রতিনিয়ত ঢাকা ক্রেডিটের সঙ্গে সহযোগিতা করা। এভাবে নারী উপ-কমিটি ঢাকা ক্রেডিটের সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে সম্পৃক্ত থেকে নানা ক্ষেত্রে অবদান রেখে চলেছে।
আজকের যুবক-যুবতী আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। বিষয়টি বিবেচনায় রেখে প্রগতিশীল সমাজ ও জাতি গঠনে ছাত্র ও যুববিষয়ক উপকমিটিও ঢাকা ক্রেডিটের মাধ্যমে দৃশ্যমান অবদান রেখে চলেছে। যুবসমাজের ভবিষ্যৎ এজেন্ডাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে ঢাকা ক্রেডিটের এই যুববিষয়ক উপ-কমিটি যুবক-যুবতীদের নিয়ে দিনব্যাপী যুবদিবস উদ্যাপন, সচেতনতামূলক সেমিনার-ওয়ার্কশপ, পেশাগত জীবনে প্রবেশের নানা দিকনির্দেশনামূল ইভেন্টের আয়োজনের মাধ্যমে নিজেদের জীবনের সঠিক লক্ষ্যপথে এগিয়ে চলার সুযোগ সৃষ্টি করছে।
আমাদের সমাজের যুবকেরা নেশামুক্ত থেকে নির্মল বিনোদনের মাধ্যমে যেন স্বাস্থ্য সচেতন হতে পারে, তার জন্য বিভিন্ন সমিতির প্রতিনিধি যুবকেরা ২০১৬ সালে ঢাকা ক্রেডিটের প্রতিষ্ঠাতার নামে ফাদার চার্লস জে ইয়াং আন্তঃক্রেডিট টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করে। এতে ঢাকা ক্রেডিটের কর্মএলাকার বিভিন্ন ক্রেডিটের যুব-প্রতিনিধি দলগুলো খেলায় অংশগ্রহণ করে যুব সমাজে নতুন প্রাণের সঞ্চার করে।
অক্টোবর ২০১২ সাল থেকে স্বাস্থ্যনিরাপত্তা প্রকল্প সদস্যদের জন্য এক সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টি করেছে। শুরু থেকে আজ পর্যন্ত এই প্রকল্পের সদস্য সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ২৬৬ জন। বয়সের আধিক্যের ভিত্তিতে মাসিক ৫০ থেকে শুরু করে ৬০০ টাকা পর্যন্ত জমা দিয়ে এক বছর অতিক্রান্ত করে বিভিন্ন সুনির্দিষ্ট হাসপাতাল সেবার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয় এই পৃকল্প। প্রকল্প শুরুর পর থেকে এযাবতকাল পর্যন্ত ২০৫ জন সদস্য মোট ১ কোটি ১১ লক্ষ ১৬ হাজার ৮৬৬ টাকার হাসপাতাল সেবা পেয়েছেন। নতুন এই প্রকল্পসেবা তাদের জীবনে যোগ করেছে এক নতুন মাত্রা।
এসব সেবা দিয়েই প্রতিষ্ঠানটি ক্ষান্ত নয়। স্বপ্ন দেখছে আগামিতে প্রতিষ্ঠা করতে একটি প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, একটি দৈনিক পত্রিকা প্রকাশ, স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল, এবং দৃশ্যমান স্থানে একটি সু-উচ্চ ঢাকা ক্রেডিট টাওয়ার।
ইতিমধ্যে ঢাকা ক্রেডিটের অন-লাইন নিউজ পোর্টালের জেলাভিত্তিক আঞ্চলিক প্রতিনিধি নিয়োগ ও পেশাদার সাংবাদিক দ্বারা প্রশিক্ষণ দিয়ে ডিসিনিউজ বিডিডটকম-এর কার্যক্রম আরম্ভ করা হয়েছে। এ ছাড়াও এই প্রতিষ্ঠানের রয়েছে ইন্টারনেটভিত্তিক টিভি নেটওয়ার্ক ও মাসিক সমবার্তা। নারী কর্মীদের অগ্রাধিকার দিয়ে প্রধান কার্যালয়, সেবাকেন্দ্র ও প্রকল্পভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে প্রায় ৫০০ প্রতিশ্রুতিশীল কর্মী। দুর্বার গতিতে তারা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমকে।
সমিতিটি ২০০৪ খিষ্টাব্দ থেকে পর্যায়ক্রমে প্রতি তিন বছরমেয়াদী কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রথম ত্রি-বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা পরিকল্পনা ২০০৪-২০০৭, দ্বিতীয় ত্রি-বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা ২০০৮-২০১১, তৃতীয় ত্রি-বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা ২০১১-২০১৪ এবং চতুর্থ ত্রি-বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা ২০১৪-২০১৭ গ্রহণ করে নিবিড়ভাবে বাস্তবায়ন চলছে। এই পদক্ষেপগুলো ঢাকা ক্রেডিটের ৬২ বছরের ইতিহাসে বিশেষ মাইলফলক।
বাবু মার্কুজ গমেজের নেতৃত্বে কার্যকরী পরিষদ গঠনের পর ৩০ জুন ২০১৪ সালে সমিতির সদস্য সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ৮০৭ জন। ৩০ জুন ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের জন্য লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৩৮ হাজার। এই লক্ষমাত্রার বিপরীতে সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজার ১০২ জন।
৩০ জুন ২০১৪ সালে সমিতির মোট সঞ্চয় আমানতের পরিমান ছিল ১৮১.৭৬ কোটি টাকা। ৩০ শে জুন ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের জন্য মোট আমানতের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৩৩০ কোটি টাকা। তার বিপরীতে ৩০ শে জুন ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে আমানতের পরিমান বেড়েছে ৩৭৭.৮৪ কোটি টাকা, যা নির্ধারিত লক্ষমাত্রার চেয়ে প্রায় ৪৮ কোটি টাকা বেশি।
৩০ জুন ২০১৪ সালে সমিতির ঋণ উদ্বৃত্তের পরিমান ছিল ১২৯.৪৬ কোটি টাকা। ৩০শে জুন ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের জন্য ঋণ উদ্বৃত্তের এক দুরুহ লক্ষমাত্রা ৪০০ কোটি ঠাকা নির্ধারণ করা হয়। বিগত তিন বছরে ঋণ উদ্বৃত্তের সাথে অতিরিক্ত আরো প্রায় ২১১ কোটি টাকা যুক্ত হয়ে ৩০শে জুন ২০১৭তে দাঁড়িয়েছে ৩৪০.৪ কোটি টাকা।
৩০ জুন ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে সমিতির খেলাপি ঋণের হার ছিল ১৪.৬৭ কোটি টাকা। ক্রমবর্ধমান খেলাপির হার ক্রমান্বয়ে নামিয়ে নিয়ে আসার জন্য ৩শে জুন ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে খেলাপি ঋণ শতকরা ৫-এ নামিয়ে নিয়ে আসার জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। খেলাপি ঋণের পরিমান আশংখাজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় বাস্তবতার নিরিখে ৩ শে জুন ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে খেলাপি ঋণের পরিমান ৩৫ কোটিতে নামিয়ে নিয়ে আসার লক্ষ নির্ধারণ করা হয়। চলতি ও বিগত মেয়াদের পরিচালক মন্ডলীর যুগোপযোগী ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে অত্যন্ত দুরুহ এই লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে। ৩ শে জুন ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে মোট খেলাপির পরিমান হ্রাস পেয়ে ৩৫ কোটি টাকায় নেমে এসেছে।
সমিতিতে পেশাদারিত্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে জুন ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের জন্য কর্মী, বোর্ড কর্মকর্তা ও সদস্যদের জন্য পর্যায়ক্রমে ১৮টি, ৯টি ও ২৪টি প্রশিক্ষণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। এর বিপরীতে ৩০ জুন ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত কর্মী, বোর্ড কর্মকর্তা ও সদস্যদের জন্য যথাক্রমে ৪০টি, ৮টি ও ৪৮টি প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।
৩০শে জুন ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে সম্পদ-পরিসম্পদের পরিমান ছিল ২৯৪.৬৭ কোটি টাকা এবং ৩ শে জুন ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের জন্য সম্পদ-পরিসম্পদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৫০০ কোটি টাকা। চলতি ও বিগত মেয়াদে দায়িত্বপাপ্ত বোর্ডের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার ফলে নির্ধারিত লক্ষমাত্রার চেয়ে ৩৮ কোটি টাকা অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেয়ে সম্পদ-পরিসম্পদের পরিমান দাঁড়িয়েছে ৫৩৭.৯ কোটি টাকা।
বিভিন্ন লক্ষ্যমাত্র গ্রহণ ও বাস্তবায়ন কার্যক্রমে দৃশ্যতই প্রতীয়মান যে, চতুর্থ ত্রি-বার্ষিক পরিকল্পনা হাতে নেওয়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের চিত্র সন্তোষজন, যা ঢাকা ক্রেডিট ইউনিয়নের উন্নয়নেরই স্বাক্ষর বহন করছে।
১৯৯০ ও ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা ক্রেডিট শ্রেষ্ঠ ক্রেডিট ইউনিয়ন হিসেবে জাতীয় স্বর্ণপদক লাভ করে; এবং শ্রেষ্ঠ সমবায়ী হিসেবে সমিতির তিনজন প্রেসিডেন্ট পর্যায়ক্রমে মি. হিউবার্ট গমেজ, প্রয়াত ডানিয়েল কোড়াইয়া ও প্রয়াত অরুন বার্নার্ড ডি’কস্তা ১৯৯৪, ১৯৯৫ ও ১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দে জাতীয় স্বর্ণপদক লাভ করেন।
১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা ক্রেডিটের শিক্ষা তহবিলের অর্থ ব্যবহার করে দি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অব বাংলাদেশ লিমিটেড (কাল্ব) প্রতিষ্ঠা করা হয়।
২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের প্রথমেই পঞ্চম ত্রি-বার্ষিক কৌশলগত পরিকল্পনা হাতে নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি এগিয়ে চলেছে এর স্থির লক্ষ্যের দিকে। অর্থনৈতিক কার্যক্রম ছাড়াও ঢাকা ক্রেডিটের কর্মীদের পেশাদারিত্ব অর্জনের লক্ষ্যে প্রয়োজনমাফিক প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।
প্রতিষ্ঠানটি শুধু মানুষের আর্থিক উন্নয়নেই মনোযোগ দিচ্ছে, তা নয়। একই সাথে উদ্যাপন করে যাচ্ছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিনগুলো। দিনগুলোর প্রতিপাদ্য বিষয়গুলোর সাথে সঙ্গতি রেখে অবদান রেখে চলেছে জাতি ও সমাজের কল্যাণে।
বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ চলতি বছরের প্রথমেই পঞ্চম ত্রি-বার্ষিক কৌশলগত পরিবল্পনা ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, ২০২০ সালের মধ্যে ঢাকা ক্রেডিটের কর্মী সংখ্য হবে ১ হাজার ও সম্পদ-পরিসম্পদের পরিমান হবে ৯০০ কোটি টাকা।
১৫ জুলাই ঢাকা ক্রেডিট তেজগাঁও চার্চ কমিউনিটি সেন্টারে উদযাপন করল ৬২ বছরের বর্ষপূর্তি। ঢাকা ক্রেডিটের সাথে সংশ্লিষ্ট নানা পর্যায়ের ১ হাজার ৫০০ অংশগ্রহণকারীর বর্ণাঢ্য এই আয়োজনের মাধ্যমে ঢাকা ক্রেডিটর তেজগাঁও চার্চ কমিউনিটি সেন্টারে ৬২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করে। ১৫ জুলাই, শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় এই তাৎপর্যপূর্ণ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র অভিনেত্রী তথা সাবেক সংসদ সদস্য কবরী সারোয়ার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দি সেন্ট্রাল এসোসিয়েশন অব খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভস (কাকেকো) লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান নির্মল রোজারিও, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি হিউবার্ট গমেজ, দি মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান আগষ্টিন পিউরীফিকেশন এবং হেল্প বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক রেভারেন্ড ডেভিড অনিল হালদার। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ।
রঙবেরঙের বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানের সভাপতি বাবু মার্কুজ গমেজ প্রধান অতিথি কবরী সারোয়ারসহ সকল অতিথি, ঢাকা ক্রেডিটের কর্মকর্তা, সম্মাননাপ্রাপ্ত ব্যক্তি, উপদেষ্টা, প্রাক্তন কর্মকর্তা, নারী কমিটির প্রতিনিধি, বিভিন্ন সমিতির প্রতিনিধি ও কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ৬২টি মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি বাবু মার্কুজ গমেজ তার সংক্ষিপ্ত উদ্বোধনী বক্তব্যে ঢাকা ক্রেডিটের বিরতিহীন উন্নয়নের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, ঢাকা ক্রেডিটকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা দরকার। প্রামান্যচিত্রের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, ‘এই প্রামান্যচিত্রই আমাদের বাস্তবতা। এখান থেকেই আমাদের প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ত্রি-বার্ষিক কর্মপরিকল্পনার বাস্তবায়ন বোঝা যায়।’
ঢাকা ক্রেডিট প্রতিষ্ঠার ৬২ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে বাবু মার্কুজ গমেজ সমিতির পরলোগত সকল বোর্ড কর্মকর্তাকে কৃতজ্ঞতা জানান ও গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। যাঁরা ২৫ টাকার প্রতিষ্ঠানকে ৫০০ কোটির টাকার প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করেছেন, তাদের তিনি কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন। তিনি ২০১৪-২০১৭ মেয়াদের পরিচালনা পর্ষদ এবং বর্তমান বোর্ডের কর্মকর্তা ও কর্মীদের অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি নারী-পুরুষ সবার ক্ষমতায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপমহাদেশের কিংবদন্তী অভিনেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য কবরী সারোয়ার বলেন, সর্বক্ষেত্রে নারীদের অবদান রয়েছে। একজন মা-ই পারেন ভাল জাতি গড়তে। তিনি বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য নারীদের সম্মাননা প্রদান করার জন্য ঢাকা ক্রেডিটকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি ঢাকা ক্রেডিটের বিভিন্ন কর্মকান্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
কাক্কোর চেয়ারম্যান নির্মল রোজারিও বলেন, দেশের উন্নয়নে ঢাকা ক্রেডিট সামনে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। তাই ঢাকা ক্রেডিটকেই দেশের অন্যান্য কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নগুলো অনুসরণ করছে।
রেভা. ডেভিড অনিল হালদার বলেন, খ্রিষ্টান মিশনারীদের ত্যাগ ও অবদানের কারণেই খ্রিষ্টান প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নতি হয়েছে এবং হচ্ছে। ঢাকা ক্রেডিটের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। ফাদার চার্লস জে ইয়াং-এর নেতৃত্বেই ঢাকা ক্রেডিটের প্রতিষ্ঠা ও অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে। হালদার এই অগ্রযাত্রাকে গতিশীল রাখার আহ্বান জানানএবং ঢাকা ক্রেডিটের উত্তরোত্তর উন্নতি কামনা করেন।
দি মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লি: এর চেয়ারম্যান আগষ্টিন পিউরীফিকেশনের স্থলে সেক্রেটারি ইম্মানুয়েল বাপ্পী মন্ডল তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, প্রামান্যচিত্রে ঢাকা ক্রেডিটের উন্নয়নের যে ধারা প্রদর্শিত হয়েছে তা সদস্যদের কাছে উৎসাহব্যঞ্জক। এই গতিকে অব্যাহত রাখার জন্য তিনি সংশ্লিষ্টজনদের আহ্বান জানান এবং সাফল্যময় কার্যক্রমের জন্য ব্যবস্থাপনা কমিটিকে অভিনন্দন জানান।
সমাজে নানা অবদানের জন্য বর্ষপূর্তির এই অনুষ্ঠানে ১৫ জন নারী ও মাকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়। প্রধান অতিথির হাত থেকে তাঁরা এই স্মরক গ্রহণ করেন। ঢাকা ক্রেডিট তাঁদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য যেমন- শিক্ষা ও সমাজসেবায় মমতা আরেং; সমাজসেবা, সমবায় ও লেখালেখির জন্য হেলেন রোজারিও; শিক্ষা ও সমাজসেবায় দীপ্তি ডি’কস্তা; সমাজ ও স্বাস্থ্যসেবায় বাসন্তী তেরেজা রিবেরু; শ্রেষ্ঠ সমবায়ী হিসেবে পলিন গমেজ; আধ্যাত্মিক সংগঠক হিসেবে মারীয়া গমেজ; উন্নয়নকর্মী ও সংগঠক হিসেবে মঞ্জু মারিয়া পালমা; রাজনীতি ও সমাজসেবায় কল্পনা মারীয়া ফলিয়া; সমাজসেবায় শিশিলিয়া গমেজ; সমাজসেবা ও উন্নয়নকর্মী হিসেবে সিসিলিয়া রোজারিও; স্বাস্থ্যসেবায় মমতা অধিকারী; সাংবাদিকতায় ফিলোমিনা অরুণা গোমেজ; সমাজসেবায় শান্তি কোড়াইয়া; পুলিশ কর্মকর্তা হিসেব লিমা চিসিম ও ব্যাংকার হিসেবে ম্যাগডেলিন দেশাইকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ের মধ্যে ছিল ঢাকা ক্রেডিটের ৬২ বছরের বর্ষপূর্তির উদ্বোধন, ঢাকা ক্রেডিটের কালচারাল একাডেমির শিল্পীদের নৃত্য পরিবেশন, প্রারম্ভিক প্রার্থনা, সমিতির ৬২বছরের কার্যক্রমের ওপর প্রামান্যচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে সমিতির বিভিন্ন ত্রি-বার্ষিক মেয়াদের কর্মপরিকল্পনার ও লক্ষ্য অর্জনগুলোর প্রদর্শন, মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, অতিথিদের আসন গ্রহণ, অতিথিদের ফুলের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন, নারী কমিটির সদস্য কর্তৃক আবৃত্তি-গান পরিবেশনা, কেক কাটা, নারী ও মা’দের সম্মাননা প্রদান, প্রধান ও বিশেষ অতিথিদের বক্তব্য, প্রধান অতিথিকে ক্রেস্ট প্রদান এবং সমাপনী প্রার্থনা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের সেক্রেটারি পংকজ গিলবার্ট কস্তা।
ঢাকা ক্রেডিট বর্তমানে বাংলাদেশের খ্রিষ্টানদের নেতৃত্বের উৎসস্থল হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানব জীবনের প্রয়োজন মেটানোর সকল বিষয়গুলোই যেন প্রদান করতে পারছে ঢাকা ক্রেডিট। শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সকল বয়সের মানুষেরই সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানের সাথে।
এই প্রতিষ্ঠানকে বর্তমান অবস্থানে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে যেসব নিবেদিত প্রাণ আত্মোৎসর্গ করেছেন তাঁদের সাদাকালো ও রঙিন আলোকচিত্রগুলো স্থাপন করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানের দেয়ালে। অনেকের নাম খচিত রয়েছে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ইমারতের প্রধান ফটকের সামনের দেয়ালে শ্বেতপাথরে। তাঁদের ছবি যেন শুধুই ছবি নয়, নাম যেন শুধুই নাম নয়। তাঁরা খ্রিষ্টীয় সেবার মূর্ত প্রতীক। তাঁরা যেন আমাদের সবার প্রেরণার উৎস। তাঁদেরই পদাঙ্ক অনুসরণ করে পথ চলছে বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিষদ, গড়তে অনাগত সুন্দর ভবিষ্যৎ, বর্তমান ও অনাগত প্রজন্মের জন্য।
আরপি/আরবি/২৫ জুলাই, ২০১৭