শিরোনাম :
আত্মসাৎ সম্পর্কে যারা তথ্যসন্ত্রাস করছেন তাদের অধিকাংশই ঢাকা ক্রেডিটের সদস্য নন
সম্মানিত সকল সদস্য/সদস্যাদের আসন্ন বড়দিন ও খ্রীস্টিয় নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই।
গতকাল শুক্রবার ২৩/১২/১৬ ইং তারিখে মি. দীপক পিরিছ কর্তৃক লিখিত একটি বক্তব্য সোস্যাল মিডিয়া ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছে। উক্ত বক্তব্যের মাধ্যমে মি. পিরিছ কিছু মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে ঢাকা ক্রেডিটের সদস্য-সদস্যাদের বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করেছেন। এই অপচেষ্টার বিরুদ্ধে বর্তমান বোর্ডের বক্তব্য নি¤œরুপ:
১। যুগ্ম নিবন্ধক কর্তৃক গঠিত ৩ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিটির নেতৃত্বে নমিনেশন পেপার বিক্রি ও যথাসময়ে জমা হয়। নির্বাচন কমিটি নিয়মতান্ত্রিকভাবে বিভিন্ন সমিতিতে প্রার্থীদের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চেয়ে চিঠি দেয় যেখানে বোর্ডের কোন হাত ছিলনা। বিভিন্ন সমিতি থেকে গৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে সমবায় আইন ও বিধি অনুযায়ী মি. গাব্রিয়েল রোজারিওসহ ৭ জনের নমিনেশন পেপার প্রাথমিক বাছাইয়ে খেলাপী থাকার কারণে বাতিল ঘোষিত হয়। সুতরাং মি. দীপক পিরিছের যে বক্তব্য বোর্ডের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে নমিনেশন বাতিল তা সম্পূর্ণ কল্পনাপ্রসুত, মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এমনকি প্রাথমিক বাতিলের পর গব্রিয়েল রোজারিও সহ ঐ সাতজন যুগ্ম নিবন্ধকের নিকট আপিল করেন এবং বর্তমান সুপারভাইজরী কমিটির একজন সদস্যের বিরুদ্ধেও আপিল করেন। যথাযথ শুনানীর পর মাননীয় যুগ্ম নিবন্ধক গাব্রিয়েল রোজারিও সহ ৭ জনের আপিল আদেশ বহাল রাখেন এবং বর্তমান কমিটির একজনের নমিনেশন বাতিল করেন। যুগ্ম নিবন্ধকের এই আদেশের সঙ্গে বোর্ডের কোন সংশ্লিষ্টতা থাকে না। কারণ এখানে বাদী বিবাদী কোন পক্ষই ঢাকা ক্রেডিট নয়। সুতরাং মি. পিরিছের বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যে পরিপূর্ণ।
২। সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপের জন্য সমিতি মি. হেমন্ত টি গমেজ, ডা. নোয়েল চার্লস গমেজ, মি. দিলীপ পিউরীফিকেশন ও মি. উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার (বাপ্পি) কে সমিতি তাদের সদস্যপদ বতিল করে। পরবর্তীতে তারা সমবায়ে আপিল করে ভোটার লিষ্টে নাম উঠালেও দেশের সর্বোচ্চ আদালত মহামান্য হাইকোর্ট শুনানীর পর ঢাকা ক্রেডিটের গৃহীত সিদ্ধান্ত সঠিক বলে বহাল রাখেন এর ফলে মি. হেমন্ত টি. গমেজের প্রার্থীতা পদ বাতিল হয়।
৩। ঢাকা ক্রেডিটের টাকা অপচয়/আত্মসাৎ সম্পর্কে যারা তথ্যসন্ত্রাস করছেন তাদের অধিকাংশই ঢাকা ক্রেডিটের সদস্য নন এবং বিদেশে অবস্থান করছেন এবং তাদের অনেকে ঢাকা ক্রেডিটসহ বিভিন্ন সমিতিতে ঋণ খেলাপী এবং দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত। বর্তমান বোর্ড অপচয় ও আত্মসাৎ করলে তা সদ্য সম্প্রতি নিরীক্ষিত অডিট রিপোর্টে প্রতিফলিত হতো। সুতরাং মিথ্যা তথ্যে সদস্যদের বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ রইল। অতএব মি. দীপক পিরিছসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এই ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট ও অসত্য তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য বলা হল। ধন্যবাদান্তে,
ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া
সেক্রেটারি
দি সিসিসি ইউ লি:, ঢাকা।