ঢাকা ,
বার : সোমবার
তারিখ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ৯ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা আন্তর্জাতিক ড. ইউনুসসহ সু চির সমালোচনায় তের জন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী

ড. ইউনুসসহ সু চির সমালোচনায় তের জন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী

0
536

ড. ইউনুস এবং আরো বারো জন নোবেল পুরস্কার বিজয়ীসহ মোট ২৩ জন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির ভূমিকার সমালোচনা করেছেন।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কাছে লেখা এক খোলা চিঠিতে তাঁরা বলেছেন, বার বার আবেদন জানানোর পরও মিয়ানমারের নেত্রী অং সা সু চি যেভাবে রোহিঙ্গাদের পূর্ণ এবং সমান নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছেন, তা হতাশাজনক।

তাঁরা আরও বলেছেন, অং সান সুচি মিয়ানমারের নেত্রী এবং এক্ষেত্রে সাহসিকতা, মানবিকতা এবং সহানুভূতির সঙ্গে বিষয়টি মোকাবেলার প্রাথমিক দায়িত্বটি তাঁরই কাঁধে ছিল।

এই বিবৃতিতে স্বাক্ষরদানকারী নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ীদের মধ্যে আছেন বাংলাদেশের মুহাম্মদ ইউনুস, পূর্ব তিমুরের হোসে রামোস হোর্তা, উত্তর আয়ারল্যান্ডের মেইরিড মগুইয়ের, দক্ষিণ আফ্রিকার আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটু, কোস্টারিকার অস্কার আরিয়াস, যুক্তরাষ্ট্রের জডি উইলিয়ামস, ইরানের শিরিন এবাদি, ইয়েমেনের তাওয়াক্কুল কারমান, লাইবেরিয়ার লেমাহ জিবোইয়ি এবং পাকিস্তানের মালালা ইউসুফজাই।

ঢাকায় মুহাম্মদ ইউনুসের প্রতিষ্ঠান ‘ইউনুস সেন্টারের’ তরফ থেকে বিবৃতিটি সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো হয়।

এছাড়াও ইটালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী রোমানো প্রোডি, হাফিংটন পোস্টের প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক আরিয়ানা হাফিংটন, ব্রিটিশ ব্যবসায়ী স্যার রিচার্ড ব্র্যানসন এই বিবৃতিতে সই করেছেন।

উল্লেখ্য অং সান সু চি নিজেও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী। কিন্তু রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে নিশ্চুপ ভূমিকার কারণে তিনি তীব্র আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে পড়েছেন।

বিবৃতিদাতারা বলেছেন, মিয়ানমারে যা ঘটছে তা জাতিগত নির্মূল অভিযান এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। সেখানে যাতে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের কাছে মানবিক ত্রাণ পাঠানো যায় সেজন্যে মিয়ানমার সরকারকে সব বিধিনিষেধ তুলে নিতে বাধ্য করতে সম্ভাব্য সব কিছু করতে তারা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানান।

বিষয়টি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্যও তারা আহ্বান জানিয়েছেন। তারা জাতিসংঘ মহাসচিবকে রোহিঙ্গাদের অবস্থা দেখতে মিয়ানমারে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।

আরবি/আরপি/৩১ ডিসেম্বর, ২০১৬