শিরোনাম :
ডিভাইন মার্সি জেনারেল হাসপাতালের নির্মাণ কাজের চুক্তিপত্র স্বাক্ষর
ডিসিনিউজ:
অনুষ্ঠিত হলো ঢাকা ক্রেডিটের স্বপ্নের প্রকল্প ডিভাইন মার্সি জেনারেল হাসপাতাল নির্মাণ কাজের চুক্তিপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠান।
আজ (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা ক্রেডিটের বি. কে গুড কনফারেন্স হলে ঢাকা ক্রেডিটের পক্ষে সমিতির প্রেসিডেন্ট তথা হাসপাতাল কিমিটির আহ্বায়ক বাবু মার্কুজ গমেজ ও নির্মাণ প্রতিষ্ঠান স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক খান মোহাম্মদ আফতার উদ্দিন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে সমিতির প্রেসিডেন্ট ও হাসপাতাল কিমিটির আহ্বায়ক বাবু মার্কুজ গমেজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সেক্রেটারি ও হাসপাতাল কিমিটির সদস্য-সচিব পংকজ গিলবার্ট কস্তা, ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালটেন্স এসোসিয়েশন লি: এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর রশিদ আহমেদ খান, হাসপাতাল কিমিটির সদস্য ও সমবায় অধিদপ্তরের উপ-নিবন্ধক (অডিট, আইন ও সমিতি) মোছা নূর-ই-জান্নাত, হাসপাতাল কিমিটির সদস্য ও সমবায় অধিদপ্তরের তেজগাঁও মেট্রোপলিটান থানা সমবায় অফিসার তাসলিমা আক্তার, হাসপাতাল কমিটির সদস্য ও সমিতির প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও, হাসপাতাল কমিটির সদস্য ও সমিতির প্রাক্তন সেক্রেটারি হেমন্ত আই কোড়াইয়া, হাসপাতাল কমিটির সদস্য (এক্স-অফিসিও) ও ঢাকা ক্রেডিটের সিইও লিটন টমাস রোজারিও, হাসপাতাল কমিটির সদস্য (এক্স-অফিসিও) ও হাসপাতালের সিইও মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) জন গমেজসহ ঢাকা ক্রেডিটের ব্যবস্থাপনা পরিষদের সদস্যবৃন্দ।
ঢাকা ক্রেডিটের কার্যক্রম ও প্রকল্পের সংক্ষিপ্ত বিবরণ উল্লেখ করে বাবু মার্কুজ গমেজ বলেন, ‘নির্মাণ প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ করি নির্ধারিত সময়ের আগে নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য। আমরা আশা করি এই হাসপাতাল বাংলাদেশে চিকিৎসা ক্ষেত্রে একটি মাইল ফলক হবে। সমবায় সিমিতি যেখানে শুধু ঋণ দেওয়া নেওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ, সেখানে আমরা হাসপাতাল তৈরি করছি। আশা করছি আমাদের হাসপাতালের সেবার মাধ্যমে মানুষ উপকৃত হবেন।’
[wp1s id=”10629″]
পংকজ গিলবার্ট কস্তা বলেন, ‘আমরা কল্যাণের জন্য হাসপাতাল নির্মাণ করছি, তাই অনুরোধ করি এর নির্মাণ কাজ যেন আন্তরিকতার সাথে করা হয়। এই সমিতি গড়ে উঠেছে প্রান্তিক মানুষদের নিয়ে। তাদের টাকা দিয়েই নির্মিত হবে এই হাসপাতাল। আমরা আশা করছি, এই হাসপাতালের সেবা দেশ-বিদেশের সুনাম অর্জন করবে। সমবায় অঙ্গনে একটা ইতিহাস হতে যাচ্ছে যে সমবায়ীরা একটা হাসপাতাল নির্মাণ করতে যাচ্ছে।’
খান মোহাম্মদ আফতার উদ্দিন বলেন, “আশ্বস্ত করতে চাই আমরা নির্মাণ কাজ সঠিক সময় ও গুণগত মান ঠিক রেখে সম্পন্ন করবো। ঢাকা ক্রেডিটের সাথে আমাদের সম্পর্ক অটুট থাকবে।’
মোছা নূর-ই-জান্নাত বলেন, এই হাসপাতালে সরকারের পক্ষে কোন অবদান নাই। সমবায়ীদের অবদানে নির্মিতি হতে যাচ্ছে এই হাসপাতাল। প্রত্যাশা করি, দেশের বাইরে থেকেও মানুষ এই হাসপাতালে সেবা নিতে আসবে।
একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন মেজর (অব) জন গমেজ। তিনি বলেন, ‘আমাদের একটা বিরাট স্বপ্ন এই হাসপাতাল নিয়ে। আমরা ৭ ডিসেম্বর এই হাসপাতালের নির্মাণ কাজ শুরু করবো। সেখানে একজন বিশপ উপস্থিত থেকে প্রার্থনার মধ্য দিয়ে এটার নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
হাসপাতাল নির্মাণ কমিটির সদস্য ও সমিতির প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও বলেন, আমি জানি স্পেক্ট্রা ভাল কাজ করে। তারপরও অনুরোধ করি কাজটার মান যেন ঠিক থাকে এবং সময় মতো কাজ শেষ হয়। এটা মানব সেবার জন্য নির্মিত হতে যাচ্ছে। নিশ্চয় সৃষ্টি কর্তা আমাদের সাথে থাকবেন।
প্রসঙ্গত, ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট সাত তলার এই হাসপাতালটি গাজীপুরের কালীগঞ্জের মঠবাড়িতে ৩০ বিঘা জমির ওপর নির্মিত হতে যাচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে আড়াই বছরের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হবে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ সকলে এই হাসপাতালের সেবা গ্রহণের সুযোগ পাবে। দেশের ইতিহাসে এটিই হবে প্রথম কোন সমবায় প্রতিষ্ঠানের একটি হাসপাতাল।