শিরোনাম :
গ্যাসলাইন বিস্ফোরণের ঘটনায় তিশা গোমেজের মৃত্যু
ম্যাগডেলিন ডি’সিলভা ।। চট্টগ্রাম
না ফেরার দেশে তিশা ডোরিন গোমেজ, চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন চ্ট্টগ্রামের ক্যাথিড্রাল প্যারিশের সমাধিস্থানে ।
চ্ট্টগ্রামের পাথরঘাটার গ্যাসের রাইজার বিস্ফোরণে আহত খ্রিষ্টান তরুণী তিশা ডোরিন গোমেজ ১৩দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে ২৯নভেম্বব সকালের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
চিকিৎসকরা জানান, তিনি মাথায় এবং পেটে মারাত্মক আঘাত পান। তিশার মাথায় মারাত্মক আঘাতের কারণে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাছাড়া তার কিডনীও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
২২ বছরের যুবতী তিশা কলেজে লেখাপড়ার পাশাপাশি সেন্ট জন’স কিন্ডারগার্টেন স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। ঘটনার সময় তিনি রিক্সা করে স্কুলে যাচ্ছিলেন।
তিশার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। বিশেষ করে খ্রিষ্টান সমাজ, তিশার বন্ধুবান্ধব, সহপাঠী এবং সহকর্মীরা অসময়ে তিশার চলে যাওয়াকে মেনে নিতে পারছেন না।
উল্লেখ্য, গত ১৭নভেম্বর সকাল ৯টার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে পাথরঘাটার ব্রিকফিল্ড রোড এবং এর আশেপাশের এলাকা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঐসময় বিকট শব্দ হয় এবং মুহূর্তের মধ্যে ব্রিকফিল্ড রোডের পাঁচতলা বিশিষ্ট বড়ুয়া বিল্ডিংয়ের নিচতলার বাউন্ডারী দেয়াল ভেঙ্গে পথচারীদের উপর পড়লে দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় ৭জন। আহত হন অন্তত ৩০জন। এখনও হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন মারাত্মক আহত ৪জন।
৩০ নভেম্বর সকাল ১০টায় পাথরঘাটার জপমালা রাণীর গীর্জায় শেষকৃত্যের খ্রিষ্টযাগের পর পাথরঘাটা কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়েছে।