শিরোনাম :
৭৪ এ পা রাখলেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ
রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ৭৪ বছরে পদার্পণ করলেন। ১৯৪৪ সালের ১ জানুয়ারি তিনি কিশোরগঞ্জের মিটামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি।
১ জানুয়ারি, রোববার রাষ্ট্রপতির জন্মদিন উপলক্ষে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁকে শুভেচ্ছা জানান। এসময় রাষ্ট্রপতি তাঁর নির্বাচনী এলাকার জনগনকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, তাদের কাছে আমি ঋণী। তারা বারবার ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করে আমাকে মহান সংসদে পাঠিয়েছেন। তাদের দোয়া ও ভালবাসা এবং জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আমাকে আজকের এই সম্মানের জায়গায় নিয়ে এসেছে। বাকি জীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করে বাঁচতে চাই এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা যেন দেখে যেতে পারি এটাই প্রত্যাশা। ভবিষ্যতে সফলভাবে দায়িত্ব পালনের জন্যে তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। এসময় রাষ্ট্রপতির সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু এবং দেশ ও জাতির অব্যাহত শান্তি এবং সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের রয়েছে বর্ণাঢ্য এক রাজনৈতিক ক্যারিয়ার। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি রাজনীতি করে আসছেন। জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ হিসাবে। কিশোরগঞ্জ-৪ আসন থেকে ১০টি সংসদ নির্বাচনের মধ্যে ৭ বার এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে জাতীয় সংসদে তিনি ডেপুটি স্পিকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ২০০১ সালের জাতীয় সংসদে তিনি বিরোধী দলীয় উপ-নেতা ছিলেন।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের বর্তমান সংসদ সদস্য হিসেবে সংসদের স্পিকাররূপে নিযুক্ত হন ২৫ জানুয়ারি, ২০০৯ তারিখে।
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর তিনি তাঁর স্থলাভিসিক্ত হন। কোনরূপ প্রতিদ্বন্দ্ব্বিতা ছাড়াই আব্দুল হামিদ বাংলাদেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। এরফলে তিনি জাতীয় সংসদের ইতিহাসে দ্বিতীয় স্পিকার হিসেবে দেশের তৃতীয় অবস্থান থেকে প্রথম অবস্থানে উন্নীত হলেন । নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ২৪ এপ্রিল, ২০১৩ তারিখে ভারপ্রাপ্ত স্পিকার শওকত আলী’র কাছ থেকে শপথ গ্রহণের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখায় তাঁকে ২০১৩ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করা হয়। অত্যন্ত হাস্যরসিক এই প্রেসিডেন্ট তাঁর উদার রাজনৈতিক মানসিকতার জন্যে সবার কাছে সমান ভাবে গ্রহণযোগ্য।
দাম্পত্য জীবনে তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জনক।
এসএন/আরপি/ ২ জানুয়ারি, ২০১৭