ঢাকা ,
বার : সোমবার
তারিখ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ৯ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা দেশ বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সাথে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বিনিময়

বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সাথে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বিনিময়

0
7519

সুমন কোড়াইয়া || ঢাকা
আজ বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টানদের একটি প্রতিনিধি দল গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। এই সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এ দেশে সকল ধর্ম-বর্ণ-জাতির মানুষ সমান অধিকার নিয়ে বাস করবে। আমরা সেই নীতিতে বিশ্বাস করি।’ বড়দিন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী খ্রিষ্টভক্তদের শুভেচ্ছা জানান। বড়দিনের কেক কাটেন। খ্রিষ্টভক্তদের সাথে বড়দিনের গানের সাথে সুর মিলান। খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের পক্ষে তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় বড়দিনের কার্ড।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘প্রতিবার যখন বড়দিন আসে, বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে কল্যাণ তহবিল থেকে টাকা দেই। এ বারও আমরা টাকা দিয়েছি, সেই টাকা কিন্তু কোনো সংগঠনের জন্য না, সেই টাকা চার্চের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়। এই টাকা কোনো সংগঠনে যায় না। এটা চার্চের মাধ্যমে দেওয়া হয়।
তিনি তাঁর বক্তব্যে জানান, ২০১২ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এই পর্যন্ত ৩৯২টি গীর্জা-উপাসনালয় নির্মাণ, সংস্থার বা উন্নয়নের জন্য কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা ব্যয় করা হয়েছে।
খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মীয় গুরু ঢাকা আর্চবিশপ কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’রোজারিও সিএসসি অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আগামী বছর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শত বার্ষিকীতে দেশের চার লক্ষ কাথলিক চার লক্ষ ফলের বৃক্ষ রোপণ করবে।’
তিনি আরো বলেন, দুই সপ্তাহ আগে পোপ মোহদয়ের সাথে আমার দেখা হয়েছে, তখনো তিনি বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছেন। তিনি জিজ্ঞেসা করেছিলেন, তোমরা খ্রিষ্টানরা কী রোহিঙ্গাদের যত্ন নিচ্ছ, ভালবাসার কাজ করছ? আমি বলেছি, হ্যাঁ আমরা কারিতাসের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের জন্য কাজ করছি।
কার্ডিনাল বলেন, কয়েকদিন আগে ডিভাইন মার্সি জেনারেল হাসপাতাল নামে গাজীপুরের মঠবাড়িতে একটি হাসপাতাল নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। ঢাকায় সেন্ট জন ভিয়ানী হাসপাতাল ইতিমধ্যে সেবা দেওয়া শুরু করেছে। আমরা শুধু সেবা করতে চাই, ভালবাসা মানুষের কাছে দিতে চাই।

বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর নিকট যা যা চেয়েছিলাম তিনি সবই দিয়েছেন। তিনি বিভিন্ন সময় আমাদের দাবি দাওয়া বুঝে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি দুর্বার গতিতে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তাই আমরা গর্ব বোধ করি।
সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ খ্রিষ্টান এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি জুয়েল আরেং তাঁর বক্তব্যে বলেন, মানেনীয় প্রধানমন্ত্রী বড়দিন উপলক্ষে আজ আমাদের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য একটি দিন বরাদ্দ রেখেছেন, তাই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষ আমরা আপনার সাথে আছি।
সংসদ সদস্য গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার প্রধানমন্ত্রীর নিকট অনুরোধ করে বলেন, আমরা খ্রিষ্টানরা চল্লিশদিন রোজা রেখে ইস্টার সানডে পালন করি। আপনার নিকট অনুরোধ ইস্টার সানডে সরকারী ছুটি ঘোষণা করার জন্য।
অনুষ্ঠানে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ, ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট পংকজ গিলবার্ট কস্তা, সেক্রেটারি হেমন্ত আই কোড়াইয়াসহ খ্রিষ্টান সমাজের প্রায় ১২০০ খ্রিষ্টভক্ত, উল্লেখযোগ্য সংখ্যাক ফাদার-সিস্টার উপস্থিত ছিলেন।