ঢাকা ,
বার : সোমবার
তারিখ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ৯ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা ফিচার এফ-কমার্সে সফল লীলা রোজারিও

এফ-কমার্সে সফল লীলা রোজারিও

0
1414

সুমন কোড়াইয়া || ঢাকা
যেখানে মানুষের সমাগম বেশি, সেখানে জমে উঠে ব্যবসা। প্রযুক্তি নির্ভর এই যুগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন মানুষের সমাগম হচ্ছে। এই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে এই প্রজন্মের তরুণ উদ্যোক্তারা। তাই ফেসবুক কমার্স বা এফ-কমার্স এখন জনপ্রিয় একটি ব্যবসা। তরুণ-তরুণীরা এই পেশায় যুক্ত হচ্ছেন। লীলা রোজারিও তেমনই একজন। ঢাকার ইন্দিরা রোডের বাসায় বসে এফ-কমার্সের সাথে যুক্ত হয়েছেন তিনি। তার ফেসবুক ফেন পেজের নাম রেড রোজ ক্রিয়েশন। মাত্র পনের হাজার টাকা নিয়ে শুরু করা লীলা রোজারিওর এখন ব্যবসার মুলধন ১০ লাখ টাকার মতোন।
তারা বাসায় সরেজমিনে দিয়ে দেখা গেছে, বসার ঘরটিতে রয়েছে ভারত থেকে আনা নারীদের পোশাক কুর্তি থরে থরে সাজানো। ঘরে থেকে তিনি সংসার সামলান, পাশাপাশি করেন ব্যবসা।
লীলা রোজারিও মনে করেন, এফ কমার্সে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে দামের সাথে পণ্যের মান ঠিক রাখা। তিনি বলেন, ‘আমি একটি পণ্য বিক্রি করলাম কিন্তু পণ্যের মান ভালো হলো না, এটা ত্রেতা ভালোভাবে নিবেন না। তাই পণ্যের দামের সাথে পণ্যের গুণগত মানও বজায় রাখতে হবে। এই ব্যবসায় পুঁজির চেয়ে ইচ্ছা শক্তিই বেশি দরকার বলে মনে করেন তিনি। থাকতে হবে ধৈর্য।’
ঘরে বসে ব্যবসা করায় দিতে হয় না দোকান ভাড়া, দোকানের জন্য অগ্রিম টাকা তো লাগেই না। যাদের ঘরে শিশু আছে, বাইরে কাজে যেতে পারেন না, তারা এফ কমার্সের সাথে যুক্ত হতে পারেন লীলার মতো। লীলা বলেন, ‘এফ-কমার্স হচ্ছে সময়কে উপযুক্তভাবে কাজে লাগানোর একটি ভালো মাধ্যম। সময়কে কাজে লাগিয়ে আয় করা যাচ্ছে, সংসারে অবদান রাখা যাচ্ছে।’
যারা এফ কমার্সের সাথে যুক্ত হতে চান, তাদের জন্য লীলার পরামর্শ, আগে মার্কেট বুঝতে হবে। যে পণ্যের ব্যবসা করতে চান সেই পণ্য বাজারে চলে কিনা তা যাচাই করতে হবে।

তিনি ভারত থেকে কুর্তি এনে বাংলাদেশে সেগুলো বিক্রি করছেন। এই ব্যবসায় তার স্বামী তাকে সাহায্য করছেন। তার স্বপ্ন ভবিষ্যতে শো রুম নেওয়ার। তিনি চান তার সন্তানরা চাকরি না করে ব্যবসার সাথে যুক্ত হোক।
তার ব্যবসা ভালো চলছে। ঘরে বসে ব্যবসা করতে পেরে তিনি আনন্দিত। তার পণ্য ‘ই-কুরিয়ার’ ও ‘পাঠাও’ দ্বারা ত্রেতাদের নিকট প্রেরণ করে থাকেন।
সারা বিশ্বে ফেসবুকে ব্যবসা করে প্রায় ৬০ মিলিয়ন পাতা, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যাক ক্ষুদ্র ব্যবসা। ই ক্যাবের মতে, ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশে ৮ হাজার ফেসবুকভিত্তিক ব্যবসা ছিলো। ২০১৯-এ এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার।
২০১৮ সালের শেষে বাংলাদেশে ৯ কোটির মতো ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিলেন, যাঁদের ৮ কোটিই ছিলেন মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। ২০১৯ এর নভেম্বর পর্যন্ত মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ কোটির কিছু বেশি, যার ৯ কোটি মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী।
রেড রোজ ক্রিয়েশন এর ফেসবুক পেজ ফলো করুন: রেড রোজ ক্রিয়েশন

[wp1s id=”11176″]