শিরোনাম :
এটি পরিকল্পিত: গুলশান অগ্নিকান্ড সম্পর্কে ব্যবসায়ীরা
রাজধানীর গুলশানে ডিসিসি মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে দেড় শতাধিক দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
রিক্ত, নি:স্ব হয়ে অনেকেরই পথে বসার উপক্রম। অনেকেরই সন্দেহ, লাগানো হয়েছে এই আগুন।
সোমবার রাত ২টার দিকে আগুন লাগার পর ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও পুরোপুরি নেভাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস, তবে তা নিয়ন্ত্রণে বলে জানানো হয়েছে। দ্বিতল মার্কেট ভবনের পূর্ব দিকের একটি অংশ ধসে পড়েছে ভোরের দিকেই।
গুলশান-১ নম্বরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রায় সাত বিঘা জমির ওপর নির্মিত এই বিপণি বিতানে কাঁচা ও পাকা মার্কেট মিলিয়ে প্রায় ছয়শরমত দোকান রয়েছে।
পাকা মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সভাপতি এস এম তালাল রিজভী বলেন, রাত আড়াইটার দিকে আগুন লেগেছে খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
“তখন ফায়ার সার্ভিসের মাত্র দুটি ইউনিট ছিল। ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটের স্বল্পতার কারণে দুই মার্কেটই আগুনে পুড়েছে। ভোর ৪টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট বাড়ানো হয়। আগে বাড়ালে ক্ষতি এত হত না।”
ফায়ার সার্ভিস তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ জানাতে না পারলেও দুই মার্কেট মিলিয়ে কমপক্ষে দেড়শ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে দাবি করেন রিজভী।
তবে ব্যবসায়ীরা এটি নাশকতা ধরে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানাচ্ছেন।
তবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক বলছেন, নাশকতা নয়, বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকেই আগুন লেগেছে বলে তিনি ধারণা করছেন।
মার্কেটের আগুন কীভাবে লেগেছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা। এ বাহিনীর পরিচালক (অপারেশন্স অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) মেজর শাকিল নেওয়াজ বলেন, “একটা বিল্ডিং কলাপস করেছে। কোনো ক্যাজুয়ালটি হয়নি। এখানে কমবাস্টেবল ও ফ্লেইমেবল লিকুইড ছড়িয়ে আছে। ডেঞ্জারাস জিনিসপত্র আছে।”
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে সাংবাদিকদের বলেন, এ অগ্নিকাণ্ড দুর্ঘটনা, নাকি পরিকল্পিত নাশকতা-তা খতিয়ে দেখতে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি পুলিশ, দোকান মালিক ও স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের নিয়ে আলাদা একটি তদন্ত কমিটি করা উচিৎ।
ব্যবসায়ীরা ফায়ার সার্ভিসের কাজে ধীরগতির অভিযোগ আনলেও অগ্নি নির্বাপক বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, মার্কেটে অগ্নি নিরাপত্তার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না।
এ বিষয়ে কাঁচা মার্কেট সমিতির সহসভাপতি হুমায়ুন সিদ্দিকী বলেন, তাদের গোটা ১৫ এক্সটিংগুইশার ছিল। আগুন লাগার পর সেগুলো ব্যবহার করে নেভানোর চেষ্টাও হয়েছিল। কিন্তু তাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঢাকার পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, “কীভাবে আগুন লেগেছে তা তদন্ত করে দেখা হবে।”.
এসএন/আরবি/আরপি/৪ জানুয়ারি, ২০১৭