শিরোনাম :
জাতিসংঘ প্রতিনিধি দল আসছেন
রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখতে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের কর্মকর্তরা অচিরেই ঢাকা সফরে আসছেন।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর সশস্ত্র বাহিনীর নিধনযজ্ঞ নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ-উৎকন্ঠা চলছেই। জাতিসংঘের একটি প্রতিনিধিদল পরিস্থিতি জানতে বাংলাদেশে আসছেন। এ নিয়ে মুসলিম দেশগুলোর অবস্থান স্পষ্ট ও জোরালো অবস্থান নিতে কুয়ালালামপুরে প্রথমবারের মতো রোহিঙ্গাদের নিয়ে আলোচনায় বসবেন ওআইসি জোটের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
আন্তর্জাতিক উদ্বেগের পরও রোহিঙ্গাদের উপর দমন-পীড়ন, নির্যাতনের অস্বীকারের নীতি থেকে সরে আসেনি মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। মিয়ানমারের সরকারি কমিশনের এক অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের দায়ে সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো আনা হয়েছে তা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
৪ জানুয়ারি, বুধবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনারের দপ্তর বেশ কিছুদিন ধরেই রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখতে বাংলাদেশে একটি প্রতিনিধিদল পাঠানোর অনুমতি চাইছিল। সরকার সম্প্রতি প্রতিনিধিদলটিকে বাংলাদেশে আসার অনুমতি দিয়েছে। জাতিসংঘের প্রতিনিধিদলটি জানুয়ারিতে বাংলাদেশ সফরের সময় কক্সবাজার ও এর আশপাশের এলাকায় যাবে। এ সময় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সম্প্রতি রাখাইন থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলবেন। বাংলাদেশ সফর শেষে ওই প্রতিনিধি দল মানবাধিকার কমিশনারের দপ্তরে একটি মূল্যায়ন প্রতিবেদন দেবে।
এদিকে রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি নিয়ে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আগামী ১৯ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে বিশেষ আলোচনায় বসছেন। বৈঠকের পর ওআইসির সদস্যদেশগুলোর রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে একটি সর্বসম্মত প্রস্তাব গ্রহণ করার কথা রয়েছে। জাতিসংঘ এবং ওআইসির এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে এটা স্পষ্ট হচ্ছে যে, ধীরে ধীরে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক জনমত আরও জোরালো হচ্ছে।
রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর সশস্ত্র বাহিনীর নিধনযজ্ঞের অভিযোগ প্রত্যাখ্যাত হলেও রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রথমবারের মতো আলোচনায় আগ্রহ দেখাচ্ছে মিয়ানমার। রাখাইনে নিধনযজ্ঞ অব্যাহত থাকায় গত ৯ নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ৫০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে। সার্বিকভাবে এ নিয়ে কথা বলার জন্য মিয়ানমারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিউ তিন অং সান সু চির বিশেষ দূত হয়ে এ মাসে বাংলাদেশ সফরে আসছেন। জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে সফরটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এসএন/আরবি/আরপি/ ৫ জানুয়ারি, ২০১৭