ঢাকা ,
বার : সোমবার
তারিখ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ৯ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা দেশ ১৯ বছর অপেক্ষার পরও মেলেনি বানিয়ারচর গির্জার বোমা হামলার বিচার (ছবি)

১৯ বছর অপেক্ষার পরও মেলেনি বানিয়ারচর গির্জার বোমা হামলার বিচার (ছবি)

0
2000

ডিসিনিউজ ॥ ঢাকা
১৯ বছরেও বিচার হয়নি বানিয়ারচর বোমা হত্যা ঘটনার। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ খ্রিষ্টান এসোসিয়েশনসহ খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দরা।
১৯ বছর ধরে বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশন তাদের মূল প্রতিবাদের মধ্যে বানিয়ারচর বোমা হত্যার জন্য বিচার চেয়ে আসছে। বিভিন্ন সময় সরকারের বিভিন্ন মহলে এই হত্যা মামলার বিচার সম্পন্ন করে দৃষ্টান্তমূলক দাবির বিষয়ে উল্লেখ করছে।
২০০১ সালে বানিয়ারচর কাথলিক গির্জায় প্রার্থনানুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে বোমা হামলা চালানো হয়। এতে ১০ জন মৃত্যুবরণ করে এবং আহত হয় প্রায় অর্ধশত খ্রিষ্টভক্ত। বোমা হামলার ১৯ বছর পরও এখনো পর্যন্ত এই নৃশংস হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করতে পারেনি পুলিশ প্রশাসন।
গোপালগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সুভাষ চন্দ্র জয়ধর এ বিষয়ে জানান, মামলাটি এখন সিআইডির কাছে তদন্তাধীন। তারা দ্রুত তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিলে বিচার কাজ শুরু হবে।
সিআইডির গোপালগঞ্জ ক্যাম্প ইনচার্জ ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক ফতেহ মো. ইফতেখারুল আলম মামলাটির বিষয়ে জানান, বানিয়াচরের ঘটনায় দুটি মামলা রয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন জঙ্গি সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছে। তার আগে ২১ জন তদন্ত কর্মকর্তা বদল হয়েছেন। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর এই মামলার তদন্তকাজ গুরুত্ব দিয়ে করছেন। কিছু আসামি বিদেশে পলাতক থাকায় আইনগত একটু সমস্যা রয়েছে। তারপরও যত দ্রুত সম্ভব মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করার চেষ্টা চলছে।
খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও বলেন, ‘প্রতিবছর আমরা স্মরণ করি বোমা হামলায় নিহতদের আত্মার। আমরা জাতীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে দাঁড়িয়ে নিহতদের আত্মার কল্যাণে প্রার্থনা করি। ১৯টি বছর বিচার দাবি করে আসছি এই জঘণ্য হত্যাকান্ডের। বিভিন্ন সময়ে আশ্বাস দিয়েও কোনো অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি না। আশা করছি প্রধানমন্ত্রী এবার নিজেই এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবেন।’
খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের মহাসচিব হেমন্ত আই. কোড়াইয়া ডিসিনিউজকে বলেন, ‘১৯ বছর হয়ে গেল এখনো প্রশাসন মামলাটির বিষয়ে তেমন কোনো অগ্রগতি দেখাতে পারলো না। এ নিয়ে আমাদের খ্রিষ্টানদের মধ্যে যথেষ্ট ক্ষোভ রয়েছে। অচিরেই আমরা এই জঘণ্য হত্যার বিচার চাই।’
বোমা হামলায় নিহতদের পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে এক লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও চার্চের পক্ষ থেকে নিহতদের প্রতি মাসে ৫ শত করে টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু সবকিছু চেয়ে এখন বড় হয়ে উঠছে ১৯ বছর চেয়ে থেকেও এই জঘণ্য বোমা হামলার বিচারের কোনো অগ্রগতি নেই। বোমা হামলার সাথে জড়িত সকল পরিবারসহ বিভিন্ন সংগঠন ও অঙ্গসংগঠনের দাবি অচিরেই এই মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি হবে।
অন্য বছরের মতো এ বছরও বোমা হামলায় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে গির্জায় নেওয়া হয়েছে নানা কর্মসূচি। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে নিহত ব্যক্তিদের আত্মার শান্তি কামনায় ও স্মরণে সকাল সাতটায় গির্জায় প্রার্থনাসভা, সমাধিতে মঙ্গলজল ও ফুল ছিটানো। সন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজ্বালন।
করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে এ বছর অনুষ্ঠানসূচি সীমিত করে বাদ দেওয়া হয়েছে আলোচনা সভা, কাঙালি ভোজ ও আলোক মিছিল। সেই সাথে বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনও তাদের কর্মসূচী স্থগিত করেছে। তবে তারা প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই হত্যাকান্ডের দ্রুত বিচার দাবি করছে।

আরো ছবি

[wp1s id=”12619″]

ছবি: সাপ্তাহিক প্রতিবেশী, বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশন