শিরোনাম :
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে ঢাকা ক্রেডিটের শোক!
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন দেশসেরা সমবায় প্রতিষ্ঠান ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট পংকজ গিলবার্ট কস্তা ও সেক্রেটারি হেমন্ত আই. কোড়াইয়া।
এক যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে তারা ঢাকা ক্রেডিট ও খ্রিষ্টান সমাজের পক্ষে এই শোক প্রকাশ করেন। বিৃবতিতে তারা সাবেক এই মন্ত্রীর আত্মার কল্যাণ কামনা করেন। সেই সাথে তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর ব্রেইন স্ট্রোকে সঙ্কটাপন্ন হয়ে উঠেছিল সাবেক মন্ত্রীস্বাস্থ্য মোহাম্মদ নাসিমের জীবন, সেই সঙ্কট আর কাটল না।
১৩ জুন, বেলা ১১টা ১০ মিনিটে মোহাম্মদ নাসিম মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
১৪ জুন, রোববার সকাল সাড়ে ১০ বনানী জামে মসজিদে মোহাম্মদ নাসিমের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে।
এর আগে টানা প্রায় দুই সপ্তাহ রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
স্বাস্থ্য বিধি ও স্বাস্থ্য সচেতনতার দিকটি বিবেচনায় নিয়ে নাসিমের মরদেহ জন্মভূমি সিরাজগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না বলে জানান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং মোহাম্মদ নাসিমের বড় ছেলে তানভীর শাকিল জয়।
১ জুন রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম। পরে রাতে তার করোনা ভাইরাস পজেটিভ আসে।
করোনাভাইরাস আক্রান্ত অবস্থায় মোহাম্মদ নাসিম ৫ জুন ভোরে স্ট্রোক করেন। পরে জরুরিভাবে তার অপারেশন করা হয়। অপারেশনের পর চিকিৎসকরা তাকে প্রথমে ৭২ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখেন। পরে পর্যবেক্ষণের সময় আরও ৭২ ঘন্টা বৃদ্ধি করা হয়। এরপরে অবশ্য তার করোনা টেস্ট দুইবারই নেগেটিভ আসে।
১৯৮৬, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন মোহাম্মদ নাসিম। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে তিনি সিরাজগঞ্জ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন এবং ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান। এছাড়াও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি সিরাজগঞ্জ-১ আসন থেকে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এর আগে ১৯৯৬ সালের সরকারে তিনি স্বরাষ্ট্র, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ১৪ দলীয় মহাজোটের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
মোহাম্মদ নাসিম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি সমাজকল্যাণমূলক বিভিন্ন কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ঢাকাসহ নিজ এলাকা সিরাজগঞ্জে বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছেন।