শিরোনাম :
দিনাজপুরে মিশনারি স্কুলে চুরি
|| লরেন্স রানা ||
দিনাজপুরের সুইহারী মিশনের নভারা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে চুরি হয়েছে। চোর স্কুলে লাগানো প্রায় ৮ টি পিতলের নাম ফলক খুলে নিয়ে গেছে। প্রতিটি নাম ফলকের ওজন ৩-৪ কেজির ওপরে। ইতালির নভেরা এলাকার উপকারী বন্ধুদের নাম খোদাই করে লেখা ছিল এই সব নাম ফলকে। এ সময় চোর স্কুলের মূল নাম ফলকও চুরি করে। যার ওজন আনুমানিক ৫-৬ কেজি।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সিস্টার মালতী কস্তা সিআইসি ডিসিনিউজকে বলেন, গত ২রা জুন সকাল সাড়ে এগারোটা থেকে বিকেল ৫ টার মধ্যে চুরির এ ঘটনা ঘটে। চোর দোতলা স্কুল বিল্ডিং এর নিচতলার প্রতিটি ক্লাস রুমের পিতলের নাম ফলক খুলে নিয়ে যায়। নভারা নিম্ন মাধ্যমিক স্কুলটি একটি নন এমপিও ভুক্ত স্কুল। বিদেশি উপকারী বন্ধুদের বিশেষ করে ইতালির নভেরা এলাকার উপকারী বন্ধুদের আর্থিক সাহায্যে স্কুলটি পরিচালিত হয়ে আসছে। প্রতিটি ক্লাস রুম তৈরিতে যাবতীয় ব্যয়ে যে সকল ইতালিয়ান বন্ধুদের অবদান ছিল কৃতজ্ঞতা প্রকাশে পিতলের ফলকে খোদাই করে লেখা ছিল তাদের নাম। প্রকাশ্য দিবালোকে এ ঘটনা ঘটলেও ছিল না কোনো প্রত্যক্ষদর্শী। তবে এ ব্যাপারে থানায় কোন অভিযোগ করা হয়নি। প্রায় ৯৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করলেও দিনের বেলা স্কুলে কোনো পাহারাদার না থাকায় প্রায়ই ঘটে চুরির ঘটনা। এর আগে চোরের দল স্কুলের টিউবওয়েলসহ অন্যান্য জিনিস চুরি করে নিয়ে যায় । স্কুলের দোতালায় রয়েছে আইসিটি ল্যাব সহ মূল্যবান জিনিস পত্র। তাই দিনের বেলা দারোয়ান না থাকায় স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা নিরাপত্তা নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এ কাজে সাহায্য করার জন্য তিনি সমাজের বিত্তবানদের সাহায্য কামনা করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৬৫ সালে দিনাজপুরের সুইহারী মিশনের গোসাঁইপুরে পিমে সম্প্রদায়ের অধিনে ইতালির নভারা এলাকার উপকারী বন্ধুদের আর্থিক সহযোগিতায় পিছিয়ে পড়া আদিবাসী সহ সকল মানুষের জন্য বিদ্যালয়টি তৈরী করা হয়।