শিরোনাম :
মঠবাড়ী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
ডিসিনিউজ || মঠবাড়ী
গাজীপুরের কালীগঞ্জের উলুখোলার মঠবাড়ী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লি: (কেএসবি) এর ৯ম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয় ।
২৭ নভেম্বর মঠবাড়ী গির্জার পালকীয় সেবাকেন্দ্র হল রুমে অনুষ্ঠিত কেএসবি’র চেয়ারম্যান সুরেন রিচার্ড গমেজের সভাপতিত্বে সমিতির জেনারেল সেক্রেটারি পলাশ হিউবার্ট গমেজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৮ নং নাগরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ অলিউল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট পংকজ গিলবার্ট কস্তা, দি সেন্ট্রাল এসোসিয়েশন অব খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান নির্মল রোজারিও, ঢাকা ক্রেডিটের সেক্রেটারি ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া, ট্রেজারার পিটার রতন কোড়াইয়া, ডিরেক্টর মনিকা গমেজ, ঢাকা ক্রেডিটের আইনবিষয়ক পরামর্শক অ্যাডভোকেট শাহীন বেপারী, নাগরী ক্রেডিটের চেয়ারম্যান সুমন লরেন্স রোজারিও, সমিতির আধ্যাত্মিক উপদেষ্টা ফাদার জেরি গমেজ এসজে ও মঠবাড়ী ক্রেডিটের চেয়ারম্যান সঞ্চয় ডিমিনিক রোজারিও।
অতিথিগণ কেএসবি’র সমৃদ্ধি ও সুশাসনের প্রশংসা করেন। ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট পংকজ গিলবার্ট কস্তা বলেন যে সরকার চায় সমবায় সমিতিগুলো উৎপাদন মুখী কিছু করুক। সরকারের চাওয়া যেকয়েকটি সমিতি শুনেছে, তার মধ্যে মঠবাড়ী ক্ষুদ্র ব্যবসায় সমিতি (কেএসবি) অন্যতম। তারা জমি ক্রয়, বেকারী ব্যবসা, জমি ক্রয়সহ বিভিন্ন প্রকল্প ধর্মী কাজ করছে। এই সমিতিতে সুশাসন ভালোভাবে প্রতিপালন হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন।
তিনি আরো বলেন, ‘আপনি আমি আর কত কাজ করবো, আসুন আমরা সবাই মিলে কিছু নেতা তৈরী করি যেন আগামী দিনে আমাদের এই বৃহৎ অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে সার্বিক নেতৃত্বের সুযোগ তৈরি হয়। সমবায় সমিতিতে সৎ নেতৃত্ব না আসলে, সুশাসন না থাকলে সমিতিগুলো হারিয়ে যাবে।
দি সেন্ট্রাল এসোসিয়েশন অব খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান নির্মল রোজারিও বলেন যে কেএসবি একটি নতুন ধারার সমিতি। কেএসবি-তে ৫৩ জন চাকরি করছেন। পর্যালোচনা করে দেখা উচিত কীভাবে এই সমিতি এই অগ্রগতি সাধন করেছে। তাঁরা আউট অব বক্স কাজ করছে। নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে যুগপোযোগী সমবায় সমিতি আমাদের গড়ে তুলতে হবে।
ঢাকা ক্রেডিটের সেক্রেটারি ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া উল্লেখ করেন যে সমবায় সমিতিগুলোকে এখন শুধু ঋণ দেওয়া নেওয়ার মধ্য সীমাবদ্ধ না থেকে কেএসবি’র মতো উৎপাদন মুখী কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, ‘কেএসবি অর্থ সঠিকভাবে বিনিয়োগ করে কর্মসংস্থান করছে যা অন্য সমিতিগুলোর নিকট উদাহরণ সৃষ্ট করেছে। আমি এই সমিতির নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানাই।’
সাড়ে আট বছর বয়সী কেএসবি’র ৫২৭ জন সদস্য এবং সম্পাদ-পরিসম্পদ রয়েছে ১২২ কোটি টাকা। এই সমিতি ৩৮টি প্রডাক্ট ও সার্ভিসের মধ্য দিয়ে ৫৩ জনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে।