শিরোনাম :
করোনা মহামারির স্মৃতি ধরে রাখতে মর্নিং স্টার ক্রেডিটের প্রকাশনা ‘সাড়া দাও’
ডিসিনিউজ ॥ ঢাকা
করোনা মহামারির স্মৃতি ধরে রাখতে দি মর্নিং স্টার কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি: প্রকাশ করেছে ‘সাড়া দাও’ নামের একটি গ্রন্থ। এতে স্থান পেয়েছে করোনায় কীভাবে সমিতিটি কার্যক্রম পরিচালনা করেছে তার চালচিত্র, করোনা আক্রান্ত কর্মী ও সদস্যদের অভিজ্ঞতা ও সংগ্রামের গল্প।
গ্রন্থে করোনাকালের কথা সহভাগিতা করেছেন মর্নিং স্টার সমিতির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলফন্স পংকজ গমেজ। তিনি তাঁর নিবন্ধে লিখেন, ‘প্রতিদিন সদস্যরা আমাকে ফোন করতো, বলতো ‘স্যার অফিস কবে খুলবেন? কিস্তি কি করবো? আমি ও আমার কর্মীরা বলতাম, কিস্তির টাকা আলামারিতে রেখে দাও, নষ্ট করো না। অফিস খুললে জমা দিবা।…’
‘সাড়া দাও’ গ্রন্থের প্রধান সম্পাদক ও মর্নিং স্টার সমিতির লোন ম্যানেজার কেনেট ক্রুশ ডিসিনিউজকে বলেন, ‘আমাদের সমিতির সদস্য, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও কর্মীরা করোনার সময় অনেক আতংকে ও ভয়ে এক দুঃসহ সময় পার করেছি। এই সময় আমাদের কী ধরনের অভিজ্ঞতা হয়েছে, করোনা মহামারির লক ডাউন শেষে আমরা কীভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি- তা সহজ সরল লেখনী ও আলোকচিত্রের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এই বইটি।’
তিনি আরো বলেন, করোনা মহামারি হয়ত এক সময় চলে যাবে কিন্তু, করোনকালীন সময়ের অভিজ্ঞতা পরবর্তী প্রজন্মের মানুষ জানতে পারবেন এই প্রকাশনা সাড়া দাও থেকে। করোনা কালীন সময়কে ধরে রাখতেই এই প্রয়াশ।’
গ্রন্থের বেশির ভাগ লেখাই লিখেছেন সমিতির কর্মী ও সদস্যরা। সাড়া দাও শিরোনামকরণের বিষয়ে কেনেট ক্রুশ বলেন, করোনা মহামারিতে বেশির ভাগই নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, আবার কিছু ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। সেগুলোকে আমরা সাড়া দিয়েছে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও প্রাকৃতিকগতভাবে। মহামারিকে আমরা ইতিবাচকভাবে মোকাবেলা করেছি। প্রকৃতিতে এসেছে সজীবতা। মানুষের সম্পর্কের বন্ধন হয়েছে দৃঢ়। এইসব সাড়া দান করা ছিল করোনার কারণেই। তাই গ্রন্থটির নাম রাখা হয়েছে ‘সাড়া দাও’।