ঢাকা ,
বার : সোমবার
তারিখ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ৯ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা ঢাকা ক্রেডিট ঢাকা ক্রেডিটের নতুন প্রডাক্ট পেনশন বেনিফিট স্কীমের উদ্বোধন (ভিডিও)

ঢাকা ক্রেডিটের নতুন প্রডাক্ট পেনশন বেনিফিট স্কীমের উদ্বোধন (ভিডিও)

0
1571

ডিসিনিউজ ।। ঢাকা

ঢাকা ক্রেডিটের নতুন প্রডাক্ট পেনশন বেনিফিট স্কীমের উদ্বোধন হয়েছে সমিতির প্রধান কার্যালয়সহ ১২টি সেবাকেন্দ্রে। প্রথমদিনই ৬৫০ জন এই স্কীমের সদস্য হয়েছেন।

১৫ মে এই জনকল্যাণকর স্কীমের উদ্বোধন করেন ঢাকা ক্রেডিটের ব্যবস্থাপনা পরিষদের সদস্য ও অতিথিগণ। প্রধান কার্যালয়ে এই স্কীমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট পংকজ গিলবার্ট কস্তার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন দি সেন্ট্রাল এসোসিয়েশন অব খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান নির্মল রোজারিও, বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের সাবেক প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ, ঢাকা ক্রেডিটের সেক্রেটারি ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া, ঢাকা ক্রেডিটের উপদেষ্টা জেমস সুব্রত হাজরা ও ঢাকা ক্রেডিটের সিইও লিটন টমাস রোজারিওসহ আরও অনেকে।

ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট পংকজ গিলবার্ট কস্তা বলেন, সরকারি চাকরিজীবীরা অবসরে গেলে পেনশন পান। বেসরকারি চাকরিজীবীরা পেনশন পান না। তাই তারা যেন অবসরে মর্যাদাপূর্ণ জীবন যাপন করতে পারে তাই এই স্কীম হাতে নেওয়া হয়েছে।

দি সেন্ট্রাল এসোসিয়েশন অব খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান নির্মল রোজারিও এই স্কীমটা উদ্যোগ নেওয়ায় বর্তমান বোর্ডকে প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘মানুষের জীবন সব সময় এক রকম যায় না। বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাঁর শারীরিক শক্তি ক্রমে কমে যায়। যৌবনে আমরা ভালো আয় করকে পারি। কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে অবসরে গেলে আয় কমে যায়। অবসরে যখন নিয়মিত আয় থাকবে না, তখন এই স্কীম দুঃসময়ের বন্ধুর মতো ভূমিকা পালন করবে।’

ঢাকা ক্রেডিটের সাবেক প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ বর্তমান বোর্ড ও কর্মীদের অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ঢাকা ক্রেডিট একজন সদস্যের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সকল আর্থসামাজিক যে চাহিদা রয়েছে তা মেটানোর জন্য প্রডাক্ট ও প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এই স্কীম সেরকমই একটা নতুন সংযোজন।

ঢাকা ক্রেডিটের সেক্রেটারি ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আমার বাবা সরকারি চাকরি করে অবসরে যাওয়ার পর পেনশস সুবিধা পাচ্ছেন, ফলে তাঁর মর্যাদা রয়েছে। আমি আহ্বান জানাই ক্রেডিটের সকল সদস্যদের এই প্রডাক্টের সদস্য হওয়ার জন্য।’

ঢাকা ক্রেডিটের সিইও লিটন টমাস রোজারিও বলেন, ঢাকা ক্রেডিটের নতুন এই সঞ্চয়ী প্রডাক্ট পেনশন বেনিফিট স্কীমে সদস্যরা অবসরে গেলেও মর্যাদাপূর্ণ জীবন যাপন করতে পারবেন, সুখে থাকতে পারবেন। তাঁদের অর্থ কষ্ট থাকবে না।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের প্রাক্তন কর্মকর্তা সুবল যোসেফ গমেজ, উপদেষ্টা জেমস সুব্রত হাজরা, সিসিলিয়া রোজারিও, ঢাকা ক্রেডিটের মিডিয়া কমিটির সদস্য মোশী মন্ডল, প্রধান কার্যালয়ের ম্যানেজার-ইনচার্জগণ প্রমুখ।

সাধানপাড়া সেবাকেন্দ্র: এই সেবাকেন্দ্রে  স্কীমটি উদ্বোধন করেন ঢাকা ক্রেডিটের ভাইস-প্রেসিডেন্ট আলবার্ট আশিস বিশ্বাস, ঢাকা ক্রেডিটের প্রাক্তন ডিরেক্টর নীলু জন চাম্বুগং। আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের প্রাক্তন কর্মী রাফায়েল পালমা, উইলিয়াম কেরী ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষ সমীর বৈদ্য, বৃহত্তর কুষ্টিয়া সমবায় সমিতির ডিরেক্টর অনিমা মল্লিক, সিও খোকন মার্ক কস্তা, সেবাকেন্দ্রের এ্যাসিসট্যান্ট ম্যানেজার-ইনচার্জ ঝুমা রিবেরু সহ আরও অনেকে।

ঢাকা ক্রেডিটের ভাইস-প্রেসিডেন্ট আলবার্ট আশিস বিশ্বাস উপস্থিত সকলকে পেনশন বেনিফিট স্কীমের যেসব সুবিধা রয়েছে তা বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয় স্বজনদের জানানোর অনুরোধ করেন যেন তাঁরাও এই স্কীমের সদস্য হন।

শুলপুর সেবাকেন্দ্র: শুলপুর সেবাকেন্দ্রে পেনশন বেনিফিট স্কীমের ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন ঢাকা ক্রেডিটের ট্রেজারার পিটার রতন কোড়াইয়া ও ক্রেডিট কমিটির সদস্য উমা ম্যাগডেলিন গমেজ। আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের সিও জোনাস গমেজ, শুলপুর ক্রেডিটের ম্যানেজার ভিনসেন্ট পংকজ রোজারিও, শুলপুর সেবাকেন্দ্রের ইনচার্জ জনি লিও রড্রিক্স  সহ ১৬ জন সদস্য।

নদ্দা সেবাকেন্দ্র: এই সেবাকেন্দ্রে পেনশন বেনিফিট স্কীমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের ডিরেক্টর প্রত্যেশ রাংসা, ঢাকা ক্রেডিটের ক্রেডিট কমিটির সদস্য অন্তর মানখিন ও পিটার লরেন্স গমেজ। আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের প্রাক্তন ট্রেজারার বাবলু ডেভিড গমেজ, নদ্দা সেবাকেন্দ্রে পরিচালনা কমিটির সচিব শিপন রোজারিও, রাজধানী সমিতির প্রাক্তন চেয়ারম্যান ডন এ. অধিকারী, ঢাকা ক্রেডিটের মার্কেটিং সিনিয়র ম্যানেজার এলিয়াস পিন্টু কস্তা, সেবাকেন্দ্রের ম্যানেজার বিপুল টি. গমেজ সহ আরও অনেকে।

লক্ষ্মীবাজার সেবাকেন্দ্র: এই সেবাকেন্দ্রে ঢাকা ক্রেডিটের ডিরেক্টর আনন্দ ফিলিপ পালমা, উপদেষ্টা রঞ্জন এডুয়ার্ড রোজারিও, খ্রিষ্টান এসোসিয়েশনের লক্ষ্মীবাজার শাখার সেক্রেটারি ভিক্টর রে, আইন উপদেষ্টা অ্যাড. রেবেকা পলিনা গমেজ, সেবাকেন্দ্রর ইনচার্জ লরেন্স কাজল রোজারিও স্কীমটির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে প্রথম আট জন সদস্য এই স্কীমের সদস্য হন। 

সাভার সেবাকেন্দ্র: এই সেবাকেন্দ্রে স্কীমটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের ডিরেক্টর পল্লব লিনুস ডি’রোজারিও, সুপারভাইজরি কমিটির সেক্রেটারি প্রিয়ন্ত সি কস্তা, ঢাকা ক্রেডিটের উপদেষ্টা প্রভাত ডি’রোজারিও, সাভার থানার ওসি (ইনটেলিজেন্স) মাকারিয়াস দাস, সেবাকেন্দ্রের ইনচার্জ প্রদীপ এল দাসসহ আরও অনেকে।

মিরপুর সেবাকেন্দ্র: এখানে প্রথম দিন ৭০ জন এই স্কীমের সদস্য হয়েছেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য ষ্টেলা হাজরা, ঢাকা ক্রেডিটের প্রাক্তন ভাইস-প্রেসিডেন্ট প্রদীপ বিশ্বাস, অতিরিক্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শীরেন সিলভেষ্টার গমেজ, উপদেষ্টা ড. রবার্ট ডি’ ক্রুশ, বহুমুখী সমিতির প্রেসিডেন্ট প্রদীপ সরকার, মোহাম্মদপর খ্রীষ্টান সমবায় সমিতি ভাইস-প্রেসিডেন্ট আগষ্টিন বাড়ৈ, উত্তরবঙ্গ সমবায় সমিতির ভাইস-চেয়ারম্যান মিলন কর্ণেলিউস ডি’ ক্রুশ, সেবাকেন্দ্রের ইনচার্জ শিল্পী এ ডি’ কস্তা।

হাসনাবাদ সেবাকেন্দ্র: এই সেবাকেন্দ্রে পেনশন বেনিফিট স্কীমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের ট্রেজারার পিটার রতন কোড়াইয়া ও ক্রেডিট কমিটির সদস্য উমা ম্যাগডেলিন গমেজ, সেন্ট উইফ্রেজিস স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল সিস্টার মেবেল কস্তা, বান্দুরা হলিক্রস স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল ব্রাদার তরেন যোসেফ পালমা, সিএসসি, এরএনডিএম, উপদেষ্টা টমাস রোজারিও, অলড্রিন রাজু গমেজ, সুশান্ত আন্তনী গমেজ, হাসনাবাদ ক্রেডিটের চেয়ারম্যান নিকোলাস রাজু কোড়াইয়া, হাসনাবাদ ক্রেডিটের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সেলেষ্টিন রোজারিও, ঢাকা ক্রেডিটের সিও জোনাস গমেজ, সেবাকেন্দ্রের ইনচার্জ জেমস আঞ্জুস প্রমুখ।

মহাখালী সেবাকেন্দ্র: এই সেবাকেন্দ্রে এই স্কীমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের ডিরেক্টর পাপিয়া রিবেরু, সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য মাধবী অনিতা গমেজ, উপদেষ্টা সুকুমার ইউজিন রিবেরু, কিরণ রোজারিও ও  নারী কমিটির সদস্য লিপি লিদিয়া রোজারিও, সেবাকেন্দ্রের ইনচার্জ মিল্টন পিনারু প্রমুখ।

মনিপুড়িপাড়া সেবাকেন্দ্র: এই সেবাকেন্দ্রে ২৩ জন সদস্য এই স্কীমের সদস্য হয়েছেন। স্কীমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ছিলেন ফাদার ইগ্নাসিওস গমেজ, এসজে, ঢাকা ক্রেডিটের ডিরেক্টর সলোমন আই রোজারিও, সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য বার্নার্ড পংকজ ডি’ রোজারিও, উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা জোনাস গমেজ, রবার্ট সাইমন গমেজ, সিও সুইটি সি. পিউরিফিকেশন, সেবাকেন্দ্রের ম্যানেজার প্রফুল্ল রোজারিও প্রমুখ।

তুমিলিয়া সেবাকেন্দ্র: স্কীমটির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের ক্রেডিট কমিটির চেয়ারম্যান সুকুমার লিনুস ক্রুশ, উপদেষ্টা বাদল বেঞ্জামিন রোজারিও, রাখাল সুবাস গমেজ, স্বপন স্টিফেন রোজারিও, ঢাকাস্থ তুমিলিয়া বহুমুখী সমিতির চেয়ারম্যান কলিন্স টলেন্টিনু, সেবাকেন্দ্রের ইনচার্জ জয়ন্তী রোজারিও প্রমুখ। প্রথমদিন ২১ জন সদস্য স্কীমের সদস্য হয়েছেন।

পাগার:  এই সেবাকেন্দ্রে এই স্কীমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের  সুপারভাইজরি কমিটির চেয়ারম্যান জন গমেজ, ঢাকা ক্রেডিটের অতিরিক্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডমিনিক রঞ্জন পিউরীফিকেশন, হারবাইদ ক্রেডিটের চেয়ারম্যান পবিত্র কস্তা, মাউসাইস মাল্টিপারপাস সমিতির প্রাক্তন চেয়ারম্যান চন্দন দিলিপ ডি’কস্তা, পাগার ক্রেডিটের ভাইস-চেয়ারম্যান বাবুল রোজারিও, সেবাকেন্দ্রের ইনচার্জ সজল যোসেফ ক্রুজ প্রমুখ। সেখানে ৮০ জন স্কীমের সদস্য হয়েছেন।

নাগরী সেবাকেন্দ্র: এই সেবাকেন্দ্রে এই স্কীমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের ডিরেক্টর মনিকা গমেজ, ক্রেডিট কমিটির সেক্রেটারি জনি এস গমেজ, ঢাকা ক্রেডিটের উপদেষ্টা ডেভিড রোজারিও, সুপ্রিয়ান রোজারিও, বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তোষ রড্রিক্স, ঢাকা ক্রেডিটের মার্কেটিং বিভাগের ইন-চার্জ স্ট্যানিসলাস সোহেল রোজারিও, সেবাকেন্দ্রের ইনচার্জ শিশির বৈরাগী প্রমুখ। প্রথম দিন ২৫ জন সদস্য এই স্কীমের সদস্য হন।

হিসাবের জমার পরিমাণ, পর্যায়, সুবিধা ও মেয়াদ : হিসাবটির দুইটি পর্যায় থাকবে। একটি জমা পর্যায় এবং একটি সুবিধা পর্যায়। জমা পর্যায়ে হিসবধারী মাসিক জমা প্রদান করবেন এবং সুবিধা পর্যায়ে হিসাবধারী মাসিক হারে সুবিধা প্রাপ্য হবেন।
জমার পরিমাণ: ৫০০ টাকা, ১০০০ টাকা এবং হাজারে গুণিতক হারে সর্বোচ্চ ২৫,০০০ টাকা। হিসাবের জমা পর্যায়: ৬/৯/১২/১৫/১৮/২১/২৪/২৭/৩০ বছর। হিসাবের সুবিধা পর্যায়: ৪/৬/৮/১০/১২/১৪/১৬/১৮/২০ বছর (জমা পর্যায়ের ক্রমানুসারে)।
হিসাবের মেয়াদ:

হিসাব খোলার যোগ্যতা: (ক) যে কোনো সঞ্চয়ী হিসাবধারী নির্ধারিত আবেদনপত্র পূরণ করে হিসাব খুলতে পারবেন। (খ) হিসাব খোলার ক্ষেত্রে সনাক্তকরণের প্রয়োজনে নমিনীর পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি দিতে হবে। (গ) সঞ্চয়ী হিসাবধারী এই স্কীমে একাধিক হিসাব খোলতে পারবেন।
টাকা জমার নিয়ম: প্রতি মাসে হিসাবের ধরন অনুযায়ী টাকা জমা করতে হবে। স্কীমের টাকা অগ্রিম হিসেবে জমা প্রদান করতে পারবেন। মেয়াদ পূর্তির পূর্বে এই হিসাব থেকে কোনো টাকা উত্তোলন করা যাবে না।
বয়স সীমা: কোনো ব্যক্তির হিসাব খোলার বয়সসীমা ২০-৬০ বছর। তবে হিসাবধারীর বর্তমান বয়সের সাথে পলিসির মেয়াদ মিলিয়ে ৭৫ বছরের বেশি হতে পারবে না।
জরিমানা: কোনো মাসে মাসিক জমা প্রদানে ব্যর্থ হলে মাসিক জমার ওপর কোনো জরিমানা হবে না, তবে হিসাবের মেয়াদপূর্তি ১ মাস পিছিয়ে যাবে। তবে পর পর ৬ মাস জমা প্রদানে ব্যর্থ হলে হিসাবটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে এবং হিসাবের টাকা সঞ্চয়ী হিসাবে স্থানান্তর করা হবে।
ঋণের জামিন: এই হিসাবের জমাকৃত অর্থ নিজস্ব সাধারণ ঋণ অথবা পরিবারের যে কোনো একজনের ঋণের বিপরীতে জামিন প্রদান করা যাবে। তবে লোন থাকা অবস্থায় উক্ত হিসাব বন্ধ করতে চাইলে জামিনের সমপরিমাণ টাকা ঋণের সাথে সমন্বয় করার পর বাকি টাকা সঞ্চয়ী হিসাবে স্থানান্তর করা হবে।
ঋণ প্রদান সুবিধা: হিসাবের মেয়াদ এক বছর পূর্ণ হলে আমানতকারী ইচ্ছা করলে এ স্কীমের বিপরীতে জমার ৯০% ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন এবং সুদের হার হবে ১২%।
নমিনী নিয়োগ ও টাকা উত্তোলন: আমানতকারী তার হিসাবের জন্য এক বা একাধিক ব্যক্তিকে নমিনী নিযুক্ত করতে পারবেন। একাধিক নমিনী হলে নমিনীর অংশ তিনি নির্ধারণ করে দিবেন। আমানতকারী যে কোনো সময় লিখিতভাবে বর্তমান নমিনী বাতিল করে নতুনভাবে নমিনী মনোনীত করতে পারবেন। আমানতকারীর জীবিত অবস্থায় নমিনীর মৃত্যু হলে সঙ্গে সঙ্গে নিজ দায়িত্বে অবশ্যই নতুন নমিনী মনোনয়ন দিবেন। হিসাবের মেয়াদের পূর্বে আমানতকারীর মৃত্যু হলে নমিনী/নমিনীগণ হিসাবের অর্থ বন্টননামা অনুযায়ী পাবেন।
হিসাব বন্ধ: (ক) এক বছরের মধ্যে হিসাবটি বন্ধ করা হলে হিসাবধারী কোনো সুদ প্রাপ্য হবেন না। ১ বৎসর পর জমা চলাকালীন সময় হিসাবটি বন্ধ করলে ৫% এবং সুবিধা চলাকালীন সময় হিসাবটি বন্ধ করা হলে ৮% হারে সরল সুদ প্রাপ্য হবেন। (খ) হিসাবের জমা ২৫% সম্পন্ন হওয়ার পূর্বে হিসাবধারীর মৃত্যু হলে হিসাবটি বন্ধ করতে হবে; এ ক্ষেত্রে নির্ধারিত সুদ প্রাপ্য হবেন; হিসাবের জমা ২৫% সম্পন্ন হওয়ার পর হিসাবধারীর মৃত্যু হলে তাঁর নমিনী নিজ নামে হিসাবটি পরিচালনা করতে পারবেন বা বন্ধও করতে পরবেন; এ ক্ষেত্রে নির্ধারিত সুদ প্রাপ্য হবে। (গ) সুবিধা চলাকালীন সময়ে হিসাবধারীর মৃত্যু হলে তাঁর নমিনী নিজ নামে হিসাবটি পরিচালনা করতে পারবেন বা বন্ধও করতে পরবেন।
এই প্রডাক্টের নীতিমালা দি খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:, ঢাকা এর নির্বাচিত পরিচালক মন্ডলী কর্তৃক প্রণীত বিধায় ভবিষ্যতে কোনো পরিবর্তন/পরিবর্ধন/সংযোজন/বিয়োজন সম্পূর্ণ ইউনিয়নের এক্তিয়ারভুক্ত।
এই প্রডাক্টটি চালু করতে যোগাযোগ করুন ঢাকা ক্রেডিটের প্রধান কার্যালয়সহ যেকোনো সেবাকেন্দ্রে।