ঢাকা ,
বার : সোমবার
তারিখ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ৯ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা ঢাকা ক্রেডিট নিরবিচ্ছিন্নভাবে চলছে ফাদার চার্লস জে. ইয়াং ফাউন্ডেশনের ত্রাণকার্যক্রম

নিরবিচ্ছিন্নভাবে চলছে ফাদার চার্লস জে. ইয়াং ফাউন্ডেশনের ত্রাণকার্যক্রম

0
335

ডিসিনিউজ ।। ঢাকা

নিরবিচ্ছিন্নভাবে ফাদার চার্লস জে. ইয়াং ফাউন্ডেশনের ত্রাণ কার্যক্রমপরিচালিত হচ্ছে।

১২ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া এই ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহতভাবে ১৩ আগস্টও পরিচালিত হয়েছে। ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকাসহ পাশের জেলার বিভিন্ন এলাকায়ও এই কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।

আজ সকাল ১০টায় মহাখালীর চার্চ কমিউনিটি সেন্টারে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে করোনা অতিমারিতে ক্ষতিগ্রস্ত দুস্থদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। একইভাবে বিকাল ৩টায় ঢাকা ক্রেডিটের সাধনপাড়া সেবাসেন্টারে, বিকাল ৪টায় মনিপুরীপাড়া সেবাসেন্টারে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। এ ছাড়াও বিকাল ৫টায় তেজগাঁও চার্চের ফাদারের হাতে কবরাস্থানের কবরখোরকদের জন্যও স্বাস্থ্য সামগ্রী প্রদান করা হয়।

সকাল ১০টায় ঢাকা ক্রেডিটের বোর্ড অব ডিরেক্টর ও ফাউন্ডেশনের ত্রাণ বিতরণ কমিটির আহ্বায়ক পাপিয়া রিবেরু’র পরিচালনায় ঢাকা ক্রেডিটের মহাখালী সেবাসেন্টারের ইনচার্জ মিল্টন পিনারু, মার্কেটিং সহকারী ম্যানেজার ইনচার্জ স্ট্যানিসলাউস সোহেল রোজারিও ত্রাণ বিতরণ করেন। এ সময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

বিকাল ৩টায় সাধনপাড়া ও ৪টায় মনিপুরীপাড়া সেবাসেন্টারে ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট ও ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান পংকজ গিলবার্ট কস্তা, ঢাকা ক্রেডিটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি লিটন টমাস রোজারিও ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচীতে অংশ নেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের বোর্ড অব ডিরেক্টর আনন্দ ফিলিপ পালমা, ক্রেডিট কমিটির সদস্য উমা ম্যাগডেলিন গমেজ, চিপ অফিসার সুইটি সিসিলিয়া পিউরীফিকেশন, সেবা সেন্টারের ম্যানেজার প্রফুল্ল রোজারিও, ঝুমা বিবেরু, মার্কেটিং ম্যানেজার ইনচার্জ সোহেল রোজারিওসহ আরো অনেকে।

ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট পংকজ গিলবার্ট কস্তা বলেন, ‘ফাদার ইয়াং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য ক্রেডিট ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন সাধারণ মানুষের যেন দুর্দশা দূর হয়। এই উদ্দেশেই ফাদার ইয়াংকে স্মরণীয় করে রাখতে আমরা তাঁর নামে ফাউন্ডেশন করেছি। এই করোনা অতিমারিতে আমরা দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে থেকে ত্রাণ সহায়তার মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছি। এই ফাউন্ডেশনের উদ্দেশ্যই হচ্ছে অসহায় দুস্থদের সহযোগিতা করা। এ ছাড়াও এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আমরা গবেষণাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখবো।’

প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লিটন টমাস রোজারিও বলেন, ‘আজ ফাদার চার্লস জে. ইয়াং ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আপনাদের মাঝে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে পেরে ভাল লাগছে। বর্তমানে আমরা একটি ক্রান্তিকাল অতিবাহিত করছি। হয়তো এক সময় এই করোনার ক্রান্তিলগ্ন থাকবে না, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে আমাদের একত্রিত প্রচেষ্টায়। ঢাকা ক্রেডিট এই ফাউন্ডেশনে অনেক বড় অংশিদারিত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন ব্যক্তি পর্যায়ও সহযোগিতা পেয়েছি এবং অনেক প্রতিষ্ঠানও এই প্রক্রিয়ার অংশ নিতে অঙ্গিকার করেছে। সুতরাং আমাদের সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এই অতিমারি আমরা মোকাবেলা করতে পারবো বলে আশা করছি।’
আহ্বায়ক পাপিয়া রিবেরু বলেন, ‘ফাদার চার্লস জে. ইয়াং ফাউন্ডেশন আজ দুস্তদের সাহায্যার্থে ত্রাণ বিতরণ করছে। এভাবে বিভিন্ন ধাপে এই করোনা সংকট মোকাবেলায় ঢাকা ক্রেডিট ও ফাউন্ডেশন অব্যাবাহিতভাবে মানুষের সেবায় কাজ করবে।’

সুতরাং আমাদের সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এই অতিমারি আমরা মোকাবেলা করতে পারবো বলে আশা করছি।’
আহ্বায়ক পাপিয়া রিবেরু বলেন, ‘ফাদার চার্লস জে. ইয়াং ফাউন্ডেশন আজ দুস্তদের সাহায্যার্থে ত্রাণ বিতরণ করছে। এভাবে বিভিন্ন ধাপে এই করোনা সংকট মোকাবেলায় ঢাকা ক্রেডিট ও ফাউন্ডেশন অব্যাবাহিতভাবে মানুষের সেবায় কাজ করবে।’

করোনা অতিমারি মোকাবেলা ও সাধারণ জনগণের পাশে থেকে এই দুর্যোগকালীন সময়ে সহযোগিতার হাত প্রসারণ করতে ফাদার চার্লস জে. ইয়ং ফাউন্ডেশন করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে খাদ্যপণ্য ও স্বাস্থ্য সামগ্রী প্রদান করছে। ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডমিনিক রঞ্জন পিউরীফিকেশনের ত্বত্তাবধানে কয়েকটি ধাপে এই ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলবে।

করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ পণ্যের মধ্যে ছিল চাল, ডাল, তেল, আলুসহ খাদ্য দ্রব্য এবং ৫টি করে মানসম্পন্ন মাক্স ও স্বাস্থ্য সামগ্রী। এ ছাড়াও অংশ হিসেবে ছিল করোনা ও ডেঙ্গু প্রতিরোধী ডাক্তারী পরামর্শ। তাছাড়া এর অংশ হিসেবে থাকবে অভিজ্ঞ ডাক্তারদের ফ্রি টেলিমেডিসিন সেবা। এ ছাড়াও বিভিন্ন চার্চের কবরখোরকদের জন্য প্রদান করা হয়েছে পিপি, হ্যান্ড স্যানিটারাইজ, মাক্সসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সামগ্রি।

এই ত্রাণ কার্যক্রমের সবচেয়ে বড়ো অংশিদার হয়েছে দেশসেরা সমবায় প্রতিষ্ঠান ঢাকা ক্রেডিট। ফাউন্ডেশনটির মাধ্যমে ত্রাণ কার্যক্রমে প্রায় ৭৫ শতাংশ অর্থ সহায়তা দিয়েছে ঢাকা ক্রেডিট। এ ছাড়াও বিভিন্ন ক্রেডিট, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি পর্যায়েও অর্থ সহায়তার মাধ্যমে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে।